জয় পেল শ্রীলঙ্কা
অবশেষে জয়ের মুখ দেখেছে শ্রীলঙ্কা। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে কোণঠাসা হওয়া সিংহের মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে লঙ্কানরা।
৮ উইকেটের দাপুটে এই জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারীরা। জয়ের জন্য ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানের জয় পেলেও শুরুটা ভালোভাবে করতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারেই ওপেনার উপুল থারাঙ্গার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ক্লিন্ট ম্যাককে। তবে এরপর দীর্ঘ সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের হতাশায় পুড়িয়েছেন আরেক ওপেনার তিলকারত্নে দিলশান ও লাহিরু থিরিমানে। দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৭ রানের চমত্কার এক জুটি গড়ে দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙতে সক্ষম হন বেন কাটিং। ৫১ রান করে ফিরে যান দিলশান। তবে ততক্ষণে জয় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বাকি রানগুলো অনায়াসেই সংগ্রহ করেছেন থিরিমানে ও জানিথ পেরেরা। ১০২ রানের দারুণ এক শতকের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন থিরিমানে।
এর আগে টসে জিতে লঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা বেশ ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। প্রথম সাত ওভারের মধ্যে মাত্র ১২ রান সংগ্রহ করতেই সাজঘরে ফেরেন দুই অসি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ফিলিপ হিউজেস। তৃতীয় উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন অধিনায়ক জর্জ বেইলি ও ডেভিড হাসি। কিন্তু ১৭তম ওভারে বেইলি রানআউটের ফাঁদে পড়লে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় স্বাগতিকেরা। ২৬ রান করে ফিরে যান বেইলি। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরেন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড হাসি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সে সময় ২৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৮৩ রান। দলের ভয়াবহ এই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে লড়াকু মনোভাব নিয়ে মাঠে নামেন ব্রাড হাডিন। সপ্তম উইকেটে বেন কাটিংকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েন ৫৭ রানের এক গুরুত্বপূর্ণ জুটি। শেষ পর্যায়ে হাডিনের ৬৭ বলে ৫০ রানের ইনিংসে ভর করেই ১৭০ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ জমা করে অস্ট্রেলিয়া। কাটিংয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ রান।
No comments