কলেজছাত্র মোমিন হত্যা মামলা-ওসি রফিক ও তাজের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন
কলেজছাত্র কামরুল ইসলাম মোমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওসি রফিক ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মো. রেজাউল ইসলাম গতকাল রবিবার দুই আসামির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন এবং সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষ গত ২৯ ডিসেম্বর রফিক ও তাজের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে মোমিনকে হত্যার প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ যুক্ত করার আবেদন করেন।
নতুন করে গঠিত অভিযোগ আসামি রফিক ও তাজকে পড়ে শোনানো হলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন শুধু হত্যার প্ররোচনা ও নির্দেশসংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষীদের নতুন করে সাক্ষ্য নেওয়া হবে। নতুন করে অভিযোগ গঠনের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগপত্রে মোমিনকে হত্যা ও হত্যার প্ররোচনায় অন্য আসামিদের নাম উল্লেখ করা হলেও ওসি রফিকের নাম বাদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলাটিতে শুধু যোগসাজশে হত্যার অভিযোগে সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। অভিযোগ গঠনে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা ও নির্দেশদানের ধারাটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ওসি রফিক ও তাজের পরিকল্পনা, সহযোগিতা, প্ররোচনা ও নির্দেশে মোমিনকে হত্যা করা হয়। সে কারণে উভয় আসামির বিরুদ্ধে প্ররোচনা ও নির্দেশদানের ধারাটি যুক্ত করার আবেদন করা হচ্ছে।
বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঢাকা কমার্স কলেজের ছাত্র ও জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মোমিনকে ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁদের উত্তর ইব্রাহিমপুরের বাসার সামনে খুন করে সন্ত্রাসীরা। ওই খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওসি রফিককে আসামি করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেননি তদন্ত কর্মকর্তা। এ নিয়ে বাদীপক্ষে নারাজি আবেদন দেওয়া হয়। এরপর বিচার বিভাগীয় তদন্তে ওসি রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সরাসরি আমলে নেন।
বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এ পাঠানোর পর গত ৫ অক্টোবর ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সেখানে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ায় ওই ট্রাইব্যুনালে আর বিচার হয়নি। মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফেরত আসে। পরে আবার দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্দেশে মামলাটি গত ২৯ নভেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ বদলি করা হয়।
৯ আসামির মধ্যে তারেক ওরফে জিয়া, হাসিবুল হক জনি, মো. জাফর, শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও শরীফ উদ্দিন মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।
নতুন করে গঠিত অভিযোগ আসামি রফিক ও তাজকে পড়ে শোনানো হলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন শুধু হত্যার প্ররোচনা ও নির্দেশসংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষীদের নতুন করে সাক্ষ্য নেওয়া হবে। নতুন করে অভিযোগ গঠনের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগপত্রে মোমিনকে হত্যা ও হত্যার প্ররোচনায় অন্য আসামিদের নাম উল্লেখ করা হলেও ওসি রফিকের নাম বাদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলাটিতে শুধু যোগসাজশে হত্যার অভিযোগে সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। অভিযোগ গঠনে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা ও নির্দেশদানের ধারাটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ওসি রফিক ও তাজের পরিকল্পনা, সহযোগিতা, প্ররোচনা ও নির্দেশে মোমিনকে হত্যা করা হয়। সে কারণে উভয় আসামির বিরুদ্ধে প্ররোচনা ও নির্দেশদানের ধারাটি যুক্ত করার আবেদন করা হচ্ছে।
বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঢাকা কমার্স কলেজের ছাত্র ও জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মোমিনকে ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁদের উত্তর ইব্রাহিমপুরের বাসার সামনে খুন করে সন্ত্রাসীরা। ওই খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওসি রফিককে আসামি করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেননি তদন্ত কর্মকর্তা। এ নিয়ে বাদীপক্ষে নারাজি আবেদন দেওয়া হয়। এরপর বিচার বিভাগীয় তদন্তে ওসি রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সরাসরি আমলে নেন।
বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এ পাঠানোর পর গত ৫ অক্টোবর ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সেখানে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ায় ওই ট্রাইব্যুনালে আর বিচার হয়নি। মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফেরত আসে। পরে আবার দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্দেশে মামলাটি গত ২৯ নভেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ বদলি করা হয়।
৯ আসামির মধ্যে তারেক ওরফে জিয়া, হাসিবুল হক জনি, মো. জাফর, শাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও শরীফ উদ্দিন মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।
No comments