পতেঙ্গা ও পারকির চরে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে
চট্টগ্রামের সমুদ্রঘেঁষা কাট্টলী থেকে পতেঙ্গা সৈকত এবং কর্ণফুলীর পূর্ব প্রান্তে আনোয়ারার পারকির চর সৈকত এলাকায় জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে রয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সমুদ্রসৈকতে ‘টুরিস্ট পুলিশ’ মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে।
পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও পারকির চর সৈকত এলাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ও দর্শনার্থীরা বেড়াতে যান। কিন্তু সন্ধ্যার পর ওই এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকে না। যে কারণে দর্শনার্থীরা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া পতেঙ্গা ও পারকির চর সমুদ্রসৈকতের পাশে কোনো অবকাঠামো নেই, যেখানে থাকা-খাওয়া যায়। কেবল নিরাপত্তার অভাবে সৈকত এলাকায় কোনো পরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের ৪৭৫ প্রজাতির মাছ বা প্রাণী ডিম ছাড়ে, যা উপকূলে চলে আসে। পোনা ফোটার পর মাছগুলো একটু বড় হলে আবার গভীর সমুদ্রের দিকে চলে যায়। কিন্তু বছরের পর বছর সমুদ্র উপকূল বা সৈকতের কাছে চিংড়ি পোনা ধরার প্রবণতা রয়েছে। এতে একটি চিংড়ি পোনার জন্য আরও শতাধিক অন্য প্রজাতির পোনা ধ্বংস করা হচ্ছে নির্বিচারে, যা উদ্বেগজনক।’
সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান ও ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. এম মারুফ হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ বা প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। তবে সম্প্রতি আমরা চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায় গবেষণা করেছি, যেখানে ২১ ধরনের মাছের খোঁজ আর পাওয়া যাচ্ছে না।’
মারুফ হোসেন বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় নির্বিচারে চিংড়ি আহরণের নামে অন্য মাছের পোনাগুলো ধ্বংস করা, কারেন্ট জালের যথেচ্ছ ব্যবহার, দূষণ এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে নৌকা দিয়ে মাছ ধরার কারণে এসব মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ আমরা জানি না, আমাদের দেশে আমিষের চাহিদা কত। চাহিদা নিরূপণ না করে হাজার হাজার নৌকা দিয়ে সমুদ্র উপকূলে মাছ ধরার দরকার আছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে।’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের নৈসর্গিক সৌন্দর্য কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অথচ সাগর, পাহাড়, নদী—সবকিছু আছে এই চট্টগ্রামে। বিশেষ করে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও পারকির চর সৈকত এলাকায় কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। কারণ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই বলে এই দুটি এলাকা অবহেলিত।’
চট্টগ্রাম নগরের উপপুলিশ কমিশনার (সদর) বনজ কুমার মজুমদার এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারের আদলে চট্টগ্রামে টুরিস্ট পুলিশ থাকলে সমুদ্র উপকূলে শামুক-ঝিনুক কিংবা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নির্বিচারে ধ্বংস করা যাবে না। যুগের পর যুগ ধরে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় নির্বিচারে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে আসছে। এ জন্য এক শ্রেণীর মানুষ দায়ী। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে এটা বন্ধ করতে টুরিস্ট পুলিশ প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের ৪৭৫ প্রজাতির মাছ বা প্রাণী ডিম ছাড়ে, যা উপকূলে চলে আসে। পোনা ফোটার পর মাছগুলো একটু বড় হলে আবার গভীর সমুদ্রের দিকে চলে যায়। কিন্তু বছরের পর বছর সমুদ্র উপকূল বা সৈকতের কাছে চিংড়ি পোনা ধরার প্রবণতা রয়েছে। এতে একটি চিংড়ি পোনার জন্য আরও শতাধিক অন্য প্রজাতির পোনা ধ্বংস করা হচ্ছে নির্বিচারে, যা উদ্বেগজনক।’
সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান ও ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. এম মারুফ হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ বা প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। তবে সম্প্রতি আমরা চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায় গবেষণা করেছি, যেখানে ২১ ধরনের মাছের খোঁজ আর পাওয়া যাচ্ছে না।’
মারুফ হোসেন বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় নির্বিচারে চিংড়ি আহরণের নামে অন্য মাছের পোনাগুলো ধ্বংস করা, কারেন্ট জালের যথেচ্ছ ব্যবহার, দূষণ এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে নৌকা দিয়ে মাছ ধরার কারণে এসব মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ আমরা জানি না, আমাদের দেশে আমিষের চাহিদা কত। চাহিদা নিরূপণ না করে হাজার হাজার নৌকা দিয়ে সমুদ্র উপকূলে মাছ ধরার দরকার আছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে।’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের নৈসর্গিক সৌন্দর্য কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অথচ সাগর, পাহাড়, নদী—সবকিছু আছে এই চট্টগ্রামে। বিশেষ করে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও পারকির চর সৈকত এলাকায় কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। কারণ, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই বলে এই দুটি এলাকা অবহেলিত।’
চট্টগ্রাম নগরের উপপুলিশ কমিশনার (সদর) বনজ কুমার মজুমদার এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারের আদলে চট্টগ্রামে টুরিস্ট পুলিশ থাকলে সমুদ্র উপকূলে শামুক-ঝিনুক কিংবা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নির্বিচারে ধ্বংস করা যাবে না। যুগের পর যুগ ধরে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় নির্বিচারে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে আসছে। এ জন্য এক শ্রেণীর মানুষ দায়ী। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে এটা বন্ধ করতে টুরিস্ট পুলিশ প্রয়োজন।
No comments