দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষার সুযোগ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল রবিবার জাতীয় সমাজসেবা দিবস ও সামাজিক নিরাপত্তাবলয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, �কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
�
শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক কার্যক্রমের অধীনে প্রদত্ত ভাতাগুলো সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব ভাতা দেওয়া হবে। এর ফলে মধ্যস্থভোগীরা কোনো সুযোগ নিতে পারবে না।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের সব মানুষের জন্য নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জনস্বার্থে নেওয়া এসব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার এমনভাবে কার্যক্রমগুলো চালু করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ বন্ধ করতে না পারে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ও সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন্নেছা খানম। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বয়স্ক ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত ও দুস্থ মহিলা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার সুবিধাভোগীদের মধ্যে ভাতার চেক তুলে দেন।
শিশুদের পঙ্গু এবং মেয়েদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত করার মতো খবর উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, �আমরা সব মানুষের জীবন-জীবিকার পথ তৈরির কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কেন মানুষ ভিক্ষা করবে? ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করা হবে।� শেখ হাসিনা শিক্ষানীতি গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, মাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে বই দেওয়া হয়েছে। বিনা মূল্যে ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষা চালু করার ব্যাপারে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বিগত মেয়াদে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছিল। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুস্থ মহিলাদের ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা কার্যক্রম চালু করা হয়। এবার দায়িত্ব নেওয়ার পর সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২৪ লাখ ৭৫ হাজার করা হয়েছে। বয়স্কভাতার হার ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
একইভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতাভোগীর সংখ্যা এক লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ এবং ভাতার পরিমাণ ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুস্থ মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ২০ হাজার করা হয়েছে। ভাতার পরিমাণ ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৮৬ হাজার এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তিভোগীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬২০ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব ভাতা কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বমোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার ৬২০ জন। চলতি অর্থবছর ভাতা খাতে প্রায় এক হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য ছয় বিভাগে ছয়টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির পথে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য ঢাকায় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স স্থাপন এবং দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতিমধ্যে সাভারে শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুর নার্সিংয়ের জন্য সেখানে নার্সিং স্কুল স্থাপন করে নার্সদের বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ১৫৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য গত বছর ঢাকায় একটি হোস্টেল উদ্বোধন করা হয়। অন্যান্য বিভাগীয় শহর এবং জেলা পর্যায়েও এ ধরনের হোস্টেল নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ অবশ্যই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে হবে না। তাদের জন্য উপযোগী তথ্যপ্রযুক্তি তৈরি করা হবে। সেগুলো তাদের জন্য সহজলভ্য করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক কার্যক্রমের অধীনে প্রদত্ত ভাতাগুলো সরাসরি মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব ভাতা দেওয়া হবে। এর ফলে মধ্যস্থভোগীরা কোনো সুযোগ নিতে পারবে না।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের সব মানুষের জন্য নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জনস্বার্থে নেওয়া এসব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার এমনভাবে কার্যক্রমগুলো চালু করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ বন্ধ করতে না পারে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ও সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন্নেছা খানম। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বয়স্ক ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি এবং বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত ও দুস্থ মহিলা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার সুবিধাভোগীদের মধ্যে ভাতার চেক তুলে দেন।
শিশুদের পঙ্গু এবং মেয়েদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত করার মতো খবর উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, �আমরা সব মানুষের জীবন-জীবিকার পথ তৈরির কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কেন মানুষ ভিক্ষা করবে? ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করা হবে।� শেখ হাসিনা শিক্ষানীতি গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, মাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে বই দেওয়া হয়েছে। বিনা মূল্যে ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষা চালু করার ব্যাপারে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বিগত মেয়াদে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছিল। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুস্থ মহিলাদের ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা কার্যক্রম চালু করা হয়। এবার দায়িত্ব নেওয়ার পর সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২৪ লাখ ৭৫ হাজার করা হয়েছে। বয়স্কভাতার হার ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
একইভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতাভোগীর সংখ্যা এক লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ এবং ভাতার পরিমাণ ৯০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুস্থ মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ২০ হাজার করা হয়েছে। ভাতার পরিমাণ ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৮৬ হাজার এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তিভোগীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬২০ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব ভাতা কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বমোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার ৬২০ জন। চলতি অর্থবছর ভাতা খাতে প্রায় এক হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য ছয় বিভাগে ছয়টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির পথে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য ঢাকায় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স স্থাপন এবং দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতিমধ্যে সাভারে শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুর নার্সিংয়ের জন্য সেখানে নার্সিং স্কুল স্থাপন করে নার্সদের বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ১৫৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য গত বছর ঢাকায় একটি হোস্টেল উদ্বোধন করা হয়। অন্যান্য বিভাগীয় শহর এবং জেলা পর্যায়েও এ ধরনের হোস্টেল নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ অবশ্যই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে হবে না। তাদের জন্য উপযোগী তথ্যপ্রযুক্তি তৈরি করা হবে। সেগুলো তাদের জন্য সহজলভ্য করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments