নিজেকেই দায়ী মনে হচ্ছে-বার কাউন্সিলে পরাজয় নিয়ে হাসিনার উষ্মা
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো গত বছর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী প্যানেলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর অন্যতম কারণ ছিল নিজেদের কোন্দল। এ পরাজয় কতিপয় ব্যক্তির সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্রের ফসল।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দলটির সমর্থক আইনজীবীরা এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা এ সময় বলেন, 'বার কাউন্সিল নির্বাচনের এ ফলাফলের জন্য আমার নিজেকেই দায়ী মনে হচ্ছে। বিষয়টিকে আমার আরো শক্তভাবে নেওয়া উচিত ছিল।' আইনজীবীরা ওই পরাজয়ের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান।
গতকাল গণভবনে ডাকা ওই সভায় আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের দুই গ্রুপের নেতা ও বিভিন্ন জেলার আইন সম্পাদকরা অংশ নেন। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের বিরোধ দূর করার জন্য এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় 'আওয়ামী আইনজীবী সমিতি' ও 'বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ'কে এক করে দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সোচ্চার ছিল। পরে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠিত হয়। এ দুই সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। সংঘাত থাকা উচিত নয়। কাউকে অবহেলা না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।' শেখ হাসিনা এ সময় বিগত সময়ে আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব ও নির্বাচনী কৌশলের দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরে এবার সঠিকভাবে প্যানেল নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন মেহেদী বলেন, 'সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার আইনজীবী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। গুটিকয়েক আইনজীবী বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।' জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম জাহিদ আনোয়ার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের আইনজীবীদের ঐক্য ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রাজশাহী মহানগর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক বলেন, এ পরাজয় কতিপয় ব্যক্তির সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ এক করার দাবিও তোলেন তিনি। কারো নাম উল্লেখ না করে রংপুর থেকে আসা আইনজীবী আব্দুল মালেক বলেন, 'গুটিকয়েক ব্যক্তির জন্য আমাদের মধ্যে এ বিভাজন হয়েছে।'
সিলেট বিভাগ থেকে আসা আজাদুর রহমান বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চায় আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক। আমরা যারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছি, এখন আওয়ামী লীগ করছি, তাদের কমিটমেন্ট আছে। যারা করেনি, তাদের কমিটমেন্ট নেই।' তিনি আরো বলেন, 'সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের ৫০ শতাংশ আমাদের লোক নয়। তাদের বাতিল করে আমাদের লোক নিয়োগ দিতে হবে।' ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, 'আমরা কাউকে ফেলতে চাই না। সকলকে নিয়ে চলতে চাই।'
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সাহা তাঁর বক্তব্যে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের পক্ষে কথা বললে সভায় অনেকে হৈহৈ করে ওঠেন। এ সময় শেখ হাসিনা সবাইকে সবার বক্তব্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান। বক্তারা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠানেরও তাগিদ দেন।
এরপর শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে সবার কথার জবাব দেন। তিনি বলেন, 'নব্বইয়ের দিকে আমরা সাহারা আপাকে (সাহারা খাতুন) দিয়ে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গড়ে তুলি। আর পঁচাত্তরের পর যখন কেউ কোনো কথা বলতে পারত না, তখন বঙ্গবন্ধু পরিষদ করা হয়। এর শাখা হিসেবে হাইকোর্টে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ গড়ে তোলা হয়। গাজীউল হক এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাই একে (বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ) অবহেলা করার কিছু নেই। এ দুই সংগঠনের মধ্যে সংঘাত থাকা ঠিক নয়।'
বার কাউন্সিল নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ নির্বাচন করা হয় সমন্বয় পরিষদের মাধ্যমে। আগামী দিনেও সমন্বয় পরিষদের মাধ্যমেই নির্বাচন হবে। এখানে শুধু আওয়ামী লীগ নয়। আরো দল আছে। আগামী বার কাউন্সিল নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে। বার কাউন্সিল নির্বাচনে সমন্বয় পরিষদের পরাজয়ের জন্য বারবার প্যানেল পরিবর্তন এবং সঠিক প্যানেল না দেওয়াকেও দায়ী করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'কাউকে মনোনয়ন দিয়ে তা বাতিল করলে কেউ কী ছাড়ে?' উপস্থিত আইনজীবী নেতারা বলেন, 'ছাড়ে না।' শেখ হাসিনাও বলেন, 'কেউ ছাড়ে না।' এরপর তিনি বলেন, 'যেটা ঘটে গেছে, তার খেসারত দেওয়া হয়েছে। যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল, তারা এসেই আবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে- এটাও ভাবা ঠিক না। সকলেরই তো আত্মসম্মানবোধ আছে। কাউকে ফেলে দেওয়া যাবে না। নির্বাচন করার সময় সমঝোতা থাকতে হবে।'
অনুষ্ঠান মঞ্চে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সাহারা খাতুন, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ রেজাউর রহমান, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও লায়েকুজ্জামান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু। সভায় আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের এক গ্রুপের নেতা আব্দুল বাসেত মজুমদার উপস্থিত ছিলেন না। আব্দুল মতিন খসরু বলেন, 'ওনাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আসেননি।' তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার জন্য আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মামলা থাকায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি।
গতকাল গণভবনে ডাকা ওই সভায় আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের দুই গ্রুপের নেতা ও বিভিন্ন জেলার আইন সম্পাদকরা অংশ নেন। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের বিরোধ দূর করার জন্য এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় 'আওয়ামী আইনজীবী সমিতি' ও 'বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ'কে এক করে দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সোচ্চার ছিল। পরে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠিত হয়। এ দুই সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। সংঘাত থাকা উচিত নয়। কাউকে অবহেলা না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।' শেখ হাসিনা এ সময় বিগত সময়ে আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব ও নির্বাচনী কৌশলের দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরে এবার সঠিকভাবে প্যানেল নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন মেহেদী বলেন, 'সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার আইনজীবী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। গুটিকয়েক আইনজীবী বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।' জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম জাহিদ আনোয়ার মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের আইনজীবীদের ঐক্য ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রাজশাহী মহানগর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক বলেন, এ পরাজয় কতিপয় ব্যক্তির সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ এক করার দাবিও তোলেন তিনি। কারো নাম উল্লেখ না করে রংপুর থেকে আসা আইনজীবী আব্দুল মালেক বলেন, 'গুটিকয়েক ব্যক্তির জন্য আমাদের মধ্যে এ বিভাজন হয়েছে।'
সিলেট বিভাগ থেকে আসা আজাদুর রহমান বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চায় আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক। আমরা যারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছি, এখন আওয়ামী লীগ করছি, তাদের কমিটমেন্ট আছে। যারা করেনি, তাদের কমিটমেন্ট নেই।' তিনি আরো বলেন, 'সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের ৫০ শতাংশ আমাদের লোক নয়। তাদের বাতিল করে আমাদের লোক নিয়োগ দিতে হবে।' ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, 'আমরা কাউকে ফেলতে চাই না। সকলকে নিয়ে চলতে চাই।'
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সাহা তাঁর বক্তব্যে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের পক্ষে কথা বললে সভায় অনেকে হৈহৈ করে ওঠেন। এ সময় শেখ হাসিনা সবাইকে সবার বক্তব্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান। বক্তারা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠানেরও তাগিদ দেন।
এরপর শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে সবার কথার জবাব দেন। তিনি বলেন, 'নব্বইয়ের দিকে আমরা সাহারা আপাকে (সাহারা খাতুন) দিয়ে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গড়ে তুলি। আর পঁচাত্তরের পর যখন কেউ কোনো কথা বলতে পারত না, তখন বঙ্গবন্ধু পরিষদ করা হয়। এর শাখা হিসেবে হাইকোর্টে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ গড়ে তোলা হয়। গাজীউল হক এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাই একে (বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ) অবহেলা করার কিছু নেই। এ দুই সংগঠনের মধ্যে সংঘাত থাকা ঠিক নয়।'
বার কাউন্সিল নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এ নির্বাচন করা হয় সমন্বয় পরিষদের মাধ্যমে। আগামী দিনেও সমন্বয় পরিষদের মাধ্যমেই নির্বাচন হবে। এখানে শুধু আওয়ামী লীগ নয়। আরো দল আছে। আগামী বার কাউন্সিল নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে। বার কাউন্সিল নির্বাচনে সমন্বয় পরিষদের পরাজয়ের জন্য বারবার প্যানেল পরিবর্তন এবং সঠিক প্যানেল না দেওয়াকেও দায়ী করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'কাউকে মনোনয়ন দিয়ে তা বাতিল করলে কেউ কী ছাড়ে?' উপস্থিত আইনজীবী নেতারা বলেন, 'ছাড়ে না।' শেখ হাসিনাও বলেন, 'কেউ ছাড়ে না।' এরপর তিনি বলেন, 'যেটা ঘটে গেছে, তার খেসারত দেওয়া হয়েছে। যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল, তারা এসেই আবার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে- এটাও ভাবা ঠিক না। সকলেরই তো আত্মসম্মানবোধ আছে। কাউকে ফেলে দেওয়া যাবে না। নির্বাচন করার সময় সমঝোতা থাকতে হবে।'
অনুষ্ঠান মঞ্চে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সাহারা খাতুন, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ রেজাউর রহমান, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও লায়েকুজ্জামান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু। সভায় আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের এক গ্রুপের নেতা আব্দুল বাসেত মজুমদার উপস্থিত ছিলেন না। আব্দুল মতিন খসরু বলেন, 'ওনাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আসেননি।' তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার জন্য আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মামলা থাকায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি।
No comments