ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষকদের ওপর ফের ছাত্রলীগের হামলা
বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার শিক্ষক লাউঞ্জে ঢুকে তারা এ হামলা চালায়। এ সময় তারা লাউঞ্জে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
হামলায় অন্তত ৩০ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঞ্ছিত করেছে আরো অন্তত ৪০ জন শিক্ষককে।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে আন্দোলনের কারণে প্রায় চার মাস ধরে অচল বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর দাবিতে গতকাল সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। বিকেলে শিক্ষক সমিতি আজ রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির প্রায় ৭০ জন শিক্ষক মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করছিলেন। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী বহিরাগতদের নিয়ে লাঠিসোঁটাসহ মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের দিকে আসতে থাকে। এ সময় দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী অনুষদের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। ৩টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তালা ভেঙে অনুষদ ভবনে ঢোকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম এবং ছাত্র উপদেষ্টা টি এম লোকমান হাকিম তাদের বাধা দেন। তাঁদের বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থানরত শিক্ষকদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় তারা শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এরপর বহিরাগতরা শিক্ষক লাউঞ্জের দরজা ভেঙে শিক্ষকদের
ওপর হামলা চালায়। তারা লাউঞ্জের চেয়ার, টেবিল ও বেসিন ভাঙচুর করে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক লাউঞ্জে গিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নজিবুল হককে আন্দোলন থেকে সরে আসার চাপ দেন।
আহত শিক্ষকদের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসাইন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নজিবুল হক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. এম ইয়াকুব আলী, ড. আ ছ ম তরিকুল ইসলাম, ড. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ, অধ্যাপক আবদুল হান্নান শেখ, ড. রুহুল আমিন ভুঁইয়া, ড. মাহবুবুর রহমান, ড. আলীনুর রহমান, অধ্যাপক ড. রহমান হাবিব ও ড. আহসানুল আম্বিয়া। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গুরুতর আহত বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. মাহবুবুর রহমান, ড. আতিকুর রহমান, ও ড. আবদুল লতিফকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষকদের ওপর হামলার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, 'আজ যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা প্রশাসনের ইন্ধনেই হয়েছে। ছাত্রলীগের বহিরাগত নেতা-কর্মীরাও এ হমলায় জড়িত।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হামলার কথা অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান তুহিন বলেন, এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রক্টর ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম বলেন, 'আমি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের থামানোর চেষ্টা করেছি।'
হামলার ঘটনার আগে সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ করে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-মিছিল করে বহুদিন ধরে নিষ্ক্রিয় ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। পরে ১০টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করে। সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আন্দোলন তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের দুই পাশে সহস্রাধিক গাড়ি আটকা পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এইচ এম অক্তারুল ইসলাম মহাসড়ক ছেড়ে দিতে বললেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনড় থাকে। পরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারও শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বলেন। তাতেও সাড়া দেয়নি শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষক সমিতির আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন বলেন, 'বড় কোনো দাবি পূরণ করতে গেলে এমন ছোটখাটো ঘটনা তো ঘটবেই।'
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদভুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গত সেপ্টেম্বরে আন্দোলন শুরু করেন। সম্প্রতি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করা হয়েছে। কোষাধ্যক্ষকে অপসারণ না করায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। আন্দোলনের কারণে চার মাস ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। গত নভেম্বরেও প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় আহত হন অন্তত ৩০ জন শিক্ষক।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে আন্দোলনের কারণে প্রায় চার মাস ধরে অচল বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর দাবিতে গতকাল সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। বিকেলে শিক্ষক সমিতি আজ রবিবার থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির প্রায় ৭০ জন শিক্ষক মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করছিলেন। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী বহিরাগতদের নিয়ে লাঠিসোঁটাসহ মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের দিকে আসতে থাকে। এ সময় দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী অনুষদের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। ৩টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তালা ভেঙে অনুষদ ভবনে ঢোকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম এবং ছাত্র উপদেষ্টা টি এম লোকমান হাকিম তাদের বাধা দেন। তাঁদের বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থানরত শিক্ষকদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় তারা শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এরপর বহিরাগতরা শিক্ষক লাউঞ্জের দরজা ভেঙে শিক্ষকদের
ওপর হামলা চালায়। তারা লাউঞ্জের চেয়ার, টেবিল ও বেসিন ভাঙচুর করে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক লাউঞ্জে গিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নজিবুল হককে আন্দোলন থেকে সরে আসার চাপ দেন।
আহত শিক্ষকদের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসাইন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নজিবুল হক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. এম ইয়াকুব আলী, ড. আ ছ ম তরিকুল ইসলাম, ড. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ, অধ্যাপক আবদুল হান্নান শেখ, ড. রুহুল আমিন ভুঁইয়া, ড. মাহবুবুর রহমান, ড. আলীনুর রহমান, অধ্যাপক ড. রহমান হাবিব ও ড. আহসানুল আম্বিয়া। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গুরুতর আহত বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. মাহবুবুর রহমান, ড. আতিকুর রহমান, ও ড. আবদুল লতিফকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষকদের ওপর হামলার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, 'আজ যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা প্রশাসনের ইন্ধনেই হয়েছে। ছাত্রলীগের বহিরাগত নেতা-কর্মীরাও এ হমলায় জড়িত।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হামলার কথা অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান তুহিন বলেন, এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রক্টর ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম বলেন, 'আমি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের থামানোর চেষ্টা করেছি।'
হামলার ঘটনার আগে সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ করে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-মিছিল করে বহুদিন ধরে নিষ্ক্রিয় ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। পরে ১০টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করে। সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আন্দোলন তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের দুই পাশে সহস্রাধিক গাড়ি আটকা পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এইচ এম অক্তারুল ইসলাম মহাসড়ক ছেড়ে দিতে বললেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনড় থাকে। পরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারও শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বলেন। তাতেও সাড়া দেয়নি শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষক সমিতির আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন বলেন, 'বড় কোনো দাবি পূরণ করতে গেলে এমন ছোটখাটো ঘটনা তো ঘটবেই।'
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদভুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গত সেপ্টেম্বরে আন্দোলন শুরু করেন। সম্প্রতি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করা হয়েছে। কোষাধ্যক্ষকে অপসারণ না করায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। আন্দোলনের কারণে চার মাস ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। গত নভেম্বরেও প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় আহত হন অন্তত ৩০ জন শিক্ষক।
No comments