আইনজীবীদের সভায় প্রধানমন্ত্রী-তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে কি খালেদা পার পেয়ে যাবেন?
খালেদা জিয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'বিরোধীদলীয় নেতা এখন তত্ত্বাবধায়কের জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে কি তিনি পার পেয়ে যাবেন? গতকাল শনিবার গণভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে ও খালেদা জিয়াকে জেলে পুরেছিল।
তাঁর দুই পুত্রকে দেশছাড়া করেছিল। এসব কি তিনি ভুলে গেছেন।'
আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ নিরসনে শেখ হাসিনা বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ' পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সোচ্চার ছিল। পরে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠিত হয়। এই দুই সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। সংঘাত থাকা উচিত নয়। কাউকে অবহেলা না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'
হলমার্ক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সূত্র ধরলে দেখা যায় এসব ঘটনা অনেক আগে থেকেই ঘটছে। আমরা আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অথচ আমাদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। যেন চোর ধরতে যাওয়াটা অন্যায়।' তিনি বলেন, 'জিয়াউর রহমানের সময়েই ঋণখেলাপির কালচার দেশে প্রথম শুরু হয়।'
'সম্প্রতি খালেদা জিয়া নিজেই হরতাল দিয়ে আবার নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে আদালতে যাননি'- এ কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রশ্ন রাখেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে তিনি কি এই সুযোগ পেতেন? দেশের উন্নয়নের স্বার্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এ বিচার বন্ধ করতে নানা অপচেষ্টা চলছে। এ অপচেষ্টা প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ ঐক্য ছাড়া কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী ও পরাজিত শক্তিরা পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ ২১ বছর অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। ক্ষমতায় থেকে তারা অনেক টাকা মজুদ করেছে। এখন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য লবিস্ট নিয়োগ করে সেই টাকা ব্যয় করছে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সব সময় লেগেই থাকে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'গণতন্ত্র যাতে আর ফিরে না আসে সে চেষ্টা চলে। মার্শাল ল জারি করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেন। ইতিহাস বিকৃত করেন। তাঁর একটাই কাজ ছিল- আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। পরাজিত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়নই যেন ছিল তাঁর প্রধান কাজ।'
'প্রিন্ট মিডিয়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লিখছে' মর্মে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের তৃণমূল নেতৃবৃন্দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অধিকাংশ পত্রিকার স্বত্বাধিকারীরা অনেক ধনসম্পদের মালিক। তাঁদের অর্থ-সম্পদ কিভাবে হয়েছে তা দেখলে বুঝতে পারবেন। তিনি বলেন, বেসরকারি টিভি চ্যানেল, পত্রিকাসহ গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ আওয়ামী লীগই করেছে। এতে কর্মসংস্থান বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বিচার বিভাগকে স্বাধীন করেছি। বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রের এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।' আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'কেউ যাতে অকারণে হাজতবাস না করে, হয়রানি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।'
আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরুর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, শিরিন শারমিন চৌধুরী প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে বিরোধ নিরসনে শেখ হাসিনা বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ' পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সোচ্চার ছিল। পরে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠিত হয়। এই দুই সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। সংঘাত থাকা উচিত নয়। কাউকে অবহেলা না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'
হলমার্ক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সূত্র ধরলে দেখা যায় এসব ঘটনা অনেক আগে থেকেই ঘটছে। আমরা আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অথচ আমাদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। যেন চোর ধরতে যাওয়াটা অন্যায়।' তিনি বলেন, 'জিয়াউর রহমানের সময়েই ঋণখেলাপির কালচার দেশে প্রথম শুরু হয়।'
'সম্প্রতি খালেদা জিয়া নিজেই হরতাল দিয়ে আবার নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে আদালতে যাননি'- এ কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রশ্ন রাখেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে তিনি কি এই সুযোগ পেতেন? দেশের উন্নয়নের স্বার্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এ বিচার বন্ধ করতে নানা অপচেষ্টা চলছে। এ অপচেষ্টা প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ ঐক্য ছাড়া কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী ও পরাজিত শক্তিরা পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ ২১ বছর অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। ক্ষমতায় থেকে তারা অনেক টাকা মজুদ করেছে। এখন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য লবিস্ট নিয়োগ করে সেই টাকা ব্যয় করছে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সব সময় লেগেই থাকে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'গণতন্ত্র যাতে আর ফিরে না আসে সে চেষ্টা চলে। মার্শাল ল জারি করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেন। ইতিহাস বিকৃত করেন। তাঁর একটাই কাজ ছিল- আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। পরাজিত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়নই যেন ছিল তাঁর প্রধান কাজ।'
'প্রিন্ট মিডিয়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লিখছে' মর্মে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের তৃণমূল নেতৃবৃন্দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অধিকাংশ পত্রিকার স্বত্বাধিকারীরা অনেক ধনসম্পদের মালিক। তাঁদের অর্থ-সম্পদ কিভাবে হয়েছে তা দেখলে বুঝতে পারবেন। তিনি বলেন, বেসরকারি টিভি চ্যানেল, পত্রিকাসহ গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ আওয়ামী লীগই করেছে। এতে কর্মসংস্থান বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বিচার বিভাগকে স্বাধীন করেছি। বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রের এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।' আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'কেউ যাতে অকারণে হাজতবাস না করে, হয়রানি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।'
আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরুর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, শিরিন শারমিন চৌধুরী প্রমুখ।
No comments