আকাশ থেকে পড়ল ভারতীয় গবেষণার যন্ত্র
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আকাশ থেকে আবহাওয়া গবেষণাবিষয়ক ভারতীয় এক কার্টন যন্ত্র মাটিতে পড়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরপাড়া প্রাইমারি স্কুলের পাশের মাঠে কার্টনটি পড়ে। কার্টনের ভেতর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কার্টনটি একটি বেলুনের সঙ্গে লাগানো ছিল। বেলুনটি ফেটে গেলে এটি নিচে পড়ে যায়। দেখার জন্য কৌতূহলী গ্রামবাসী ছুটে কার্টনটি যায় সেখানে। তারা শৈলকুপা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কার্টনের ওপর বাংলা ও হিন্দিতে লেখা আছে, �ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান কেন্দ্র, কলকাতার সম্পত্তি। ইহা কোনোভাবেই বিপজ্জনক নয়�। কার্টনে একটি ফোন নম্বর লেখা রয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি জানার জন্য তিনি বাক্সের চিরকুটে লেখা ওই মোবাইল নম্বরে ফোন করেন। মোবাইল ফোনে কথা হয় সুভাষ মুখোপাধ্যায় নামের একজনের সঙ্গে। তিনি তাঁকে জানান, শনিবার সকালে কলকাতার বীরভূম থেকে আবহাওয়া-সংক্রান্ত গবেষণার জন্য কার্টনটি আকাশে ছাড়া হয়। কার্টনটি এখন শৈলকুপা থানায় রয়েছে বলে ওসি জানান।
কার্টনের গায়ে লেখা ফোন নম্বর ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সূর্যের গামারশ্মি, কসমিক রে ও এক্স-রে ট্র্যাকিং নামের যন্ত্রটি ১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরে মুলুক নামক স্থানের ভারত সেবা আশ্রমের ছাদ থেকে ছাড়া হয়। ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিকস এটি বেলুনের মাধ্যমে আকাশে পাঠায়।
সেন্টারের প্রধান ড. সন্দীপন চক্রবর্তী গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে জানান, বেলুনসহ মহাকাশ যন্ত্রটির ওজন সাড়ে ছয় কেজি। কলকাতার আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া বাতাসের গতিবেগের ওপর নির্ভর করে যন্ত্রটি পাঠানোর জন্য মুলুককে বেছে নেওয়া হয়েছিল। দপ্তর জানিয়েছিল, আকাশে প্রতি ঘণ্টায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বাতাস আছে। কিন্তু পরে দেখা যায় বাতাসের গতি ১২০ কিলোমিটার। সে কারণে যন্ত্রটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরে যায় এবং বাংলাদেশের ভেতরে গিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর কথা হয়েছে বলে তিনি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১২ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন বিজ্ঞানী মিলে ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিকস নামের গবেষণাকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে সরকারের সাহায্য না পেলেও পরে রাজ্য সরকার এই গবেষণাকেন্দ্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করে। সংস্থাটি বর্তমানে পূর্ব ভারতের একমাত্র বৃহত্তম মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। সম্প্রতি গবেষণাকেন্দ্র থেকে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল সূর্যের রশ্মি থেকে বিচ্ছুরিত বিভিন্ন অণু-পরমাণু। এ জন্য ১৩ জন বিজ্ঞানী মিলে ছয় মাসের পরিকল্পনায় যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেন।
ড. সন্দীপন চক্রবর্তী আরো বলেন, �আমরা চেষ্টা করছি মাটি থেকে ৪০ কিলোমিটার ওপরে এ ধরনের যন্ত্র তুলে সেখান থেকে সূর্য এবং মহাকাশ সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করা।� এর আগে ২০০৮ সালের ২২ জুলাই একইভাবে ৪০ কিলোমিটার ওপরে বেলুনে এ ধরনের একটি যন্ত্র পাঠিয়ে চাঁদের পূর্ণগ্রহণের অদ্ভুত ছবি সংগ্রহ করতে পেরেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
ড. সন্দীপন জানান, যে যন্ত্রটি ঝিনাইদহে পাওয়া গেছে তাতে চারটি যন্ত্র আছে�১. নেভিগেশন ইউনিট। এ যন্ত্র দিয়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গবেষণায় নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা যোগাযোগ করতে পারেন। ২. গাইগার মুলার। এটি দিয়ে সূর্যের গামা, এক্স-রে ও কসমিক-রে ট্র্যাক করা হয়। ৩. থার্মাল প্রটেকশন। পুরো যন্ত্রটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয় এটি দিয়ে এবং ৪. হার্ডড্রাইভ বা ডেটা রেকর্ডার। যন্ত্র যে তথ্যগুলো সংগ্রহ করল, সেগুলো সেখানে রেকর্ড থাকে। তিনি বলেন, �২৯ জানুয়ারি সংস্থার দুজন ছাত্র ঢাকায় একটি সেমিনারে যোগ দিতে যাচ্ছে। তারাই যন্ত্রটিকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।� এ ছাড়া এর মধ্যে তিনি নিজেও বাংলাদেশে আসতে পারেন।
শৈলকুপা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি জানার জন্য তিনি বাক্সের চিরকুটে লেখা ওই মোবাইল নম্বরে ফোন করেন। মোবাইল ফোনে কথা হয় সুভাষ মুখোপাধ্যায় নামের একজনের সঙ্গে। তিনি তাঁকে জানান, শনিবার সকালে কলকাতার বীরভূম থেকে আবহাওয়া-সংক্রান্ত গবেষণার জন্য কার্টনটি আকাশে ছাড়া হয়। কার্টনটি এখন শৈলকুপা থানায় রয়েছে বলে ওসি জানান।
কার্টনের গায়ে লেখা ফোন নম্বর ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সূর্যের গামারশ্মি, কসমিক রে ও এক্স-রে ট্র্যাকিং নামের যন্ত্রটি ১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরে মুলুক নামক স্থানের ভারত সেবা আশ্রমের ছাদ থেকে ছাড়া হয়। ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিকস এটি বেলুনের মাধ্যমে আকাশে পাঠায়।
সেন্টারের প্রধান ড. সন্দীপন চক্রবর্তী গতকাল সন্ধ্যায় টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে জানান, বেলুনসহ মহাকাশ যন্ত্রটির ওজন সাড়ে ছয় কেজি। কলকাতার আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া বাতাসের গতিবেগের ওপর নির্ভর করে যন্ত্রটি পাঠানোর জন্য মুলুককে বেছে নেওয়া হয়েছিল। দপ্তর জানিয়েছিল, আকাশে প্রতি ঘণ্টায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বাতাস আছে। কিন্তু পরে দেখা যায় বাতাসের গতি ১২০ কিলোমিটার। সে কারণে যন্ত্রটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরে যায় এবং বাংলাদেশের ভেতরে গিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর কথা হয়েছে বলে তিনি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১২ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন বিজ্ঞানী মিলে ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিকস নামের গবেষণাকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে সরকারের সাহায্য না পেলেও পরে রাজ্য সরকার এই গবেষণাকেন্দ্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করে। সংস্থাটি বর্তমানে পূর্ব ভারতের একমাত্র বৃহত্তম মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। সম্প্রতি গবেষণাকেন্দ্র থেকে একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল সূর্যের রশ্মি থেকে বিচ্ছুরিত বিভিন্ন অণু-পরমাণু। এ জন্য ১৩ জন বিজ্ঞানী মিলে ছয় মাসের পরিকল্পনায় যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেন।
ড. সন্দীপন চক্রবর্তী আরো বলেন, �আমরা চেষ্টা করছি মাটি থেকে ৪০ কিলোমিটার ওপরে এ ধরনের যন্ত্র তুলে সেখান থেকে সূর্য এবং মহাকাশ সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করা।� এর আগে ২০০৮ সালের ২২ জুলাই একইভাবে ৪০ কিলোমিটার ওপরে বেলুনে এ ধরনের একটি যন্ত্র পাঠিয়ে চাঁদের পূর্ণগ্রহণের অদ্ভুত ছবি সংগ্রহ করতে পেরেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
ড. সন্দীপন জানান, যে যন্ত্রটি ঝিনাইদহে পাওয়া গেছে তাতে চারটি যন্ত্র আছে�১. নেভিগেশন ইউনিট। এ যন্ত্র দিয়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গবেষণায় নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা যোগাযোগ করতে পারেন। ২. গাইগার মুলার। এটি দিয়ে সূর্যের গামা, এক্স-রে ও কসমিক-রে ট্র্যাক করা হয়। ৩. থার্মাল প্রটেকশন। পুরো যন্ত্রটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয় এটি দিয়ে এবং ৪. হার্ডড্রাইভ বা ডেটা রেকর্ডার। যন্ত্র যে তথ্যগুলো সংগ্রহ করল, সেগুলো সেখানে রেকর্ড থাকে। তিনি বলেন, �২৯ জানুয়ারি সংস্থার দুজন ছাত্র ঢাকায় একটি সেমিনারে যোগ দিতে যাচ্ছে। তারাই যন্ত্রটিকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।� এ ছাড়া এর মধ্যে তিনি নিজেও বাংলাদেশে আসতে পারেন।
No comments