অভিমত-প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আসেনি তত্ত্বাবধায়ক প্রসঙ্গ
মহাজোট সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তাঁর ভাষণে আগামী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, সেই ব্যাপারে কোনো বক্তব্য ছিল না।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রসঙ্গ থাকা উচিত ছিল কি না জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি ছিল রাজনৈতিক। 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার' বিষয়টি আসেনি।
ড. ইমতিয়াজ বলেন, "জনগণ আশা করেছিল আগামী নির্বাচন কোন পন্থায় হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এর দিকনির্দেশনা থাকবে। কিন্তু তা হয়নি বলে যারা দলীয় রাজনীতি করে না, এমন সাধারণ মানুষ হতাশ হয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইসু্যুতে আগামী এক বছরে রাজনৈতিক সংঘাত হবে কি না কিংবা আবারও 'এক-এগারোর' মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে কি না, সে নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত।"
ড. ইমতিয়াজ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে মূলত বিরোধী দলকে দোষারোপ, মাইনাস টু ফর্মুলা, সরকারের সাফল্য ইত্যাদি বিষয় এসেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ তাঁর ভাষণে আসেনি। কিন্তু তাই বলে এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। আগামী দিনেও এ নিয়ে সমঝোতার সুযোগ আছে। দেখা যাক, আগামী মাসগুলোতে সরকার ও বিরোধী দল কী পদক্ষেপ নেয়।
একই বিষয়ে গতকাল শনিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'স্পষ্টত বর্তমান সংবিধানের ভাষ্য অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিধান নেই। ক্ষমতাসীন দলও তা-ই মনে করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এটাই স্পষ্ট, দেশ ক্রমে অস্থিতিশীল সংকটময় পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আরো স্পষ্ট যে বর্তমান রাজনৈতিক এই সমস্যার সমঝোতামূলক সমাধানের উদ্যোগ সরকারি দল কিংবা বিরোধী দল কোনো পক্ষই গ্রহণ করবে না। তাই আমাদের সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হবে।'
ড. ইমতিয়াজ বলেন, "জনগণ আশা করেছিল আগামী নির্বাচন কোন পন্থায় হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এর দিকনির্দেশনা থাকবে। কিন্তু তা হয়নি বলে যারা দলীয় রাজনীতি করে না, এমন সাধারণ মানুষ হতাশ হয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইসু্যুতে আগামী এক বছরে রাজনৈতিক সংঘাত হবে কি না কিংবা আবারও 'এক-এগারোর' মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে কি না, সে নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত।"
ড. ইমতিয়াজ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে মূলত বিরোধী দলকে দোষারোপ, মাইনাস টু ফর্মুলা, সরকারের সাফল্য ইত্যাদি বিষয় এসেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ তাঁর ভাষণে আসেনি। কিন্তু তাই বলে এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। আগামী দিনেও এ নিয়ে সমঝোতার সুযোগ আছে। দেখা যাক, আগামী মাসগুলোতে সরকার ও বিরোধী দল কী পদক্ষেপ নেয়।
একই বিষয়ে গতকাল শনিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'স্পষ্টত বর্তমান সংবিধানের ভাষ্য অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিধান নেই। ক্ষমতাসীন দলও তা-ই মনে করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এটাই স্পষ্ট, দেশ ক্রমে অস্থিতিশীল সংকটময় পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আরো স্পষ্ট যে বর্তমান রাজনৈতিক এই সমস্যার সমঝোতামূলক সমাধানের উদ্যোগ সরকারি দল কিংবা বিরোধী দল কোনো পক্ষই গ্রহণ করবে না। তাই আমাদের সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হবে।'
No comments