'সত্যিকারের' পরিবর্তনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার চান ব্রাহিমি
সিরিয়ার সংকট নিরসনে 'সত্যিকারের পরিবর্তনের' আহ্বান জানিয়েছেন লাখদার ব্রাহিমি। সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘ ও আরব লীগ মনোনীত বিশেষ এই দূত দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব ক্ষমতা ন্যস্ত থাকবে এ সরকারের হাতে।
দামেস্ক সফররত ব্রাহিমি গতকাল বৃহস্পতিবার এ আহ্বান জানান।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তি পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর বেরোয়, সিরিয়া সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ওয়াশিংটন-মস্কো একযোগে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে, চলতি মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত (২০১৪ সাল) প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় থাকবেন। এরপর তিনি আর ক্ষমতার দৌড়ে থাকতে পারবেন না।
তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেকজান্দার লুকাশেভিচ গতকাল দৃঢ়ভাবে এ খবর প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বরং জানান, সিরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মুকদাদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আজ (গতকাল) বৈঠকে বসবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। লুকাশেভিচ দাবি করেন, 'সরকারসহ সব বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে এ বৈঠক হবে।' বৈঠক শেষে এর অগ্রগতি গতকালই জানানোর কথা ছিল। সিরিয়া সফর শেষে ব্রাহিমিও মস্কো আসছেন বলে জানান লুকাশেভিচ। আগামীকাল শনিবার তিনি সরকারের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
দামেস্ক সফরের পঞ্চম দিন গতকাল ব্রাহিমি সাংবাদিকদের বলেন, 'পরিবর্তন হতে হবে আসল। উপরে-উপরে পরিবর্তন নয়। সিরীয় জনগণের জন্য এখন সত্যিকারের পরিবর্তন দরকার।' তিনি বলেন, 'সব পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে আমাদের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে... ক্ষমতা হস্তান্তরের আগমুহূর্ত পর্যন্ত এ সরকারের হাতে সব ক্ষমতা থাকবে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।' তবে তিনি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণের কথা জানাননি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে_সে ব্যাপারেও মুখ খোলেননি তিনি। এমনকি প্রেসিডেন্ট আসাদেরই বা কি হবে, তাও জানাননি ব্রাহিমি। অন্তর্বর্তীকালীন এ সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান সচল থাকবে উল্লেখ করে বিশেষ এ দূত বলেন, 'সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো একমত হলে আমরা এ পথে এগোতে পারি। অন্যথায় শেষ উপায় হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদে যেতে হবে। সেখানে বাধ্যতামূলক প্রস্তাব পাস করতে হবে।' ব্রাহিমি দ্বিতীয় দফায় গত রবিবার দামেস্ক যান।
সূত্র : এএফপি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তি পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর বেরোয়, সিরিয়া সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ওয়াশিংটন-মস্কো একযোগে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে, চলতি মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত (২০১৪ সাল) প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় থাকবেন। এরপর তিনি আর ক্ষমতার দৌড়ে থাকতে পারবেন না।
তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেকজান্দার লুকাশেভিচ গতকাল দৃঢ়ভাবে এ খবর প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বরং জানান, সিরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মুকদাদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আজ (গতকাল) বৈঠকে বসবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। লুকাশেভিচ দাবি করেন, 'সরকারসহ সব বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে এ বৈঠক হবে।' বৈঠক শেষে এর অগ্রগতি গতকালই জানানোর কথা ছিল। সিরিয়া সফর শেষে ব্রাহিমিও মস্কো আসছেন বলে জানান লুকাশেভিচ। আগামীকাল শনিবার তিনি সরকারের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
দামেস্ক সফরের পঞ্চম দিন গতকাল ব্রাহিমি সাংবাদিকদের বলেন, 'পরিবর্তন হতে হবে আসল। উপরে-উপরে পরিবর্তন নয়। সিরীয় জনগণের জন্য এখন সত্যিকারের পরিবর্তন দরকার।' তিনি বলেন, 'সব পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে আমাদের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে... ক্ষমতা হস্তান্তরের আগমুহূর্ত পর্যন্ত এ সরকারের হাতে সব ক্ষমতা থাকবে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।' তবে তিনি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণের কথা জানাননি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে_সে ব্যাপারেও মুখ খোলেননি তিনি। এমনকি প্রেসিডেন্ট আসাদেরই বা কি হবে, তাও জানাননি ব্রাহিমি। অন্তর্বর্তীকালীন এ সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান সচল থাকবে উল্লেখ করে বিশেষ এ দূত বলেন, 'সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো একমত হলে আমরা এ পথে এগোতে পারি। অন্যথায় শেষ উপায় হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদে যেতে হবে। সেখানে বাধ্যতামূলক প্রস্তাব পাস করতে হবে।' ব্রাহিমি দ্বিতীয় দফায় গত রবিবার দামেস্ক যান।
সূত্র : এএফপি।
No comments