এএফপির বিশ্লেষণ- প্রচারমাধ্যমের ওপর আরও খড়্গহস্ত হতে যাচ্ছে চীন
চীনে কঠোরভাবে প্রচারমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে যাঁর বড় অবদান রয়েছে, তিনি হলেন সরকারি প্রচার বিভাগের প্রধান লিউ ইউনসান। প্রচারমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা বরদাশত না করার জন্য বেশ বদনাম আছে তাঁর।
প্রচারমাধ্যমের বিষয়ে কট্টর রক্ষণশীল মনোভাবের এই মানুষটি দেশটির ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদে (পলিটব্যুারো স্ট্যান্ডিং কমিটি) ঠাঁই পেয়েছেন। তাঁর এই উত্থানকে বিপজ্জনক মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও সমালোচকেরা বলেছেন, এতে স্পষ্ট হয়েছে যে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে।
চীনে ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে এক দশকব্যাপী কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রেখেছেন ইউনসান। দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিশ্বের সর্বোচ্চ, ৫৩ কোটি ৮০ লাখ। এদের অনেকে সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে ইদানীং প্রায়ই ব্যবহার করছে। তবে যোগাযোগ-প্রযুক্তিনির্ভর ওই আন্দোলন পুরোপুরি দমিয়ে রাখা সরকারের জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। জনপ্রিয় ওয়েবসাইট টুইটারের ব্যবহার বন্ধ রাখা হলেও দেশটিতে চালু রয়েছে প্রায় একই ধরনের মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট ‘ওয়েইবোস’।
সিপিসির সদ্যসমাপ্ত সম্মেলন চলাকালে সরকার সব ধরনের প্রচারমাধ্যমকে কঠোরভাবে চাপের মধ্যে রেখেছিল। এ সময় সম্মেলনবিষয়ক যেকোনো তথ্য সন্ধান করা হলে ফিরতি বার্তায় বলা হতো, ‘প্রাসঙ্গিক আইন, নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণের কারণে অনুসন্ধানের ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।’ এ ছাড়া সম্মেলনে শীর্ষ নেতাদের সমবেত হওয়ার খবরও প্রচারিত হয়েছিল অনেক দেরিতে। খবর জানতে উৎসুক মানুষের চাপে বড় বড় শহরগুলোতে ইন্টারনেটের গতি অনেক কমে গিয়েছিল।
ভিন্নমতাবলম্বী লেখক ও সাবেক সাংবাদিক দাই কিং বলেন, ইন্টারনেটে নজরদারির মতো নতুন নীতিমালা চালু করার ক্ষেত্রে লিউ ইউয়ানসান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সরকার তাঁর পরামর্শে অনলাইন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে। তিনি কট্টর রক্ষণশীল বলেই পরিচিত। ইন্টারনেট ও অন্যান্য গণমাধ্যমে সরকারবিরোধী যেকোনো খবর প্রকাশের বিরুদ্ধে বরাবরই তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। আগামী দশকে অবাধ তথ্য প্রবাহের ব্যাপারে নাগরিকদের যে প্রত্যাশা ছিল, লিউকে পলিটব্যুারো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে সরকার তা শেষ করে দিয়েছে।
ওয়েইবোস ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি ম্যানঝি নামে গতকাল লিখেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংবাদমাধ্যম কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল। বড় বড় অনেক ঘটনা আড়াল করা হয়েছে। আর এসব কাজের হোতাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
লিউ ইউনসানের নতুন দপ্তর এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার কারণে তিনি আবারও প্রচার বিভাগের দায়িত্ব পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের বিশেষজ্ঞ উইলি ল্যাম বলেন, সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন লিউ। তাঁকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হলে পরিস্থিতির অবনতি হবে।
২০১১ সালে চীনে ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। তবে এসব ওয়েবসাইট পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষের ওপর সরকারি চাপ অব্যাহত রয়েছে। স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা বন্ধ না করলে এসব ওয়েবসাইটের ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলের হুমকিও দেওয়া হয়।
সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, অনলাইনে জনমত প্রকাশের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে সিপিসির সর্বশেষ সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে।
রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও সমালোচকেরা বলেছেন, এতে স্পষ্ট হয়েছে যে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে।
চীনে ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে এক দশকব্যাপী কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রেখেছেন ইউনসান। দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিশ্বের সর্বোচ্চ, ৫৩ কোটি ৮০ লাখ। এদের অনেকে সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে ইদানীং প্রায়ই ব্যবহার করছে। তবে যোগাযোগ-প্রযুক্তিনির্ভর ওই আন্দোলন পুরোপুরি দমিয়ে রাখা সরকারের জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। জনপ্রিয় ওয়েবসাইট টুইটারের ব্যবহার বন্ধ রাখা হলেও দেশটিতে চালু রয়েছে প্রায় একই ধরনের মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট ‘ওয়েইবোস’।
সিপিসির সদ্যসমাপ্ত সম্মেলন চলাকালে সরকার সব ধরনের প্রচারমাধ্যমকে কঠোরভাবে চাপের মধ্যে রেখেছিল। এ সময় সম্মেলনবিষয়ক যেকোনো তথ্য সন্ধান করা হলে ফিরতি বার্তায় বলা হতো, ‘প্রাসঙ্গিক আইন, নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণের কারণে অনুসন্ধানের ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।’ এ ছাড়া সম্মেলনে শীর্ষ নেতাদের সমবেত হওয়ার খবরও প্রচারিত হয়েছিল অনেক দেরিতে। খবর জানতে উৎসুক মানুষের চাপে বড় বড় শহরগুলোতে ইন্টারনেটের গতি অনেক কমে গিয়েছিল।
ভিন্নমতাবলম্বী লেখক ও সাবেক সাংবাদিক দাই কিং বলেন, ইন্টারনেটে নজরদারির মতো নতুন নীতিমালা চালু করার ক্ষেত্রে লিউ ইউয়ানসান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সরকার তাঁর পরামর্শে অনলাইন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে। তিনি কট্টর রক্ষণশীল বলেই পরিচিত। ইন্টারনেট ও অন্যান্য গণমাধ্যমে সরকারবিরোধী যেকোনো খবর প্রকাশের বিরুদ্ধে বরাবরই তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। আগামী দশকে অবাধ তথ্য প্রবাহের ব্যাপারে নাগরিকদের যে প্রত্যাশা ছিল, লিউকে পলিটব্যুারো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে সরকার তা শেষ করে দিয়েছে।
ওয়েইবোস ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি ম্যানঝি নামে গতকাল লিখেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংবাদমাধ্যম কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল। বড় বড় অনেক ঘটনা আড়াল করা হয়েছে। আর এসব কাজের হোতাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
লিউ ইউনসানের নতুন দপ্তর এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার কারণে তিনি আবারও প্রচার বিভাগের দায়িত্ব পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের বিশেষজ্ঞ উইলি ল্যাম বলেন, সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন লিউ। তাঁকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হলে পরিস্থিতির অবনতি হবে।
২০১১ সালে চীনে ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। তবে এসব ওয়েবসাইট পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষের ওপর সরকারি চাপ অব্যাহত রয়েছে। স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা বন্ধ না করলে এসব ওয়েবসাইটের ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলের হুমকিও দেওয়া হয়।
সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, অনলাইনে জনমত প্রকাশের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে সিপিসির সর্বশেষ সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে।
No comments