পরাগ অপহরণ-তিন আসামির স্বীকারোক্তি-এখনো তদন্তবিভ্রাট, মূল হোতারা আড়ালে
কেরানীগঞ্জে মা, বোন ও গাড়িচালককে গুলি করে ছয় বছর বয়সী পরাগ মণ্ডল অপহরণের নেপথ্য নায়করা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত এ ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র্যাবের হাতে আটক তিনজন গতকাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি তিনজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তবে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা নিয়ে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তবিভ্রাট এখনো চলছে। ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় সরেজমিনে চারজন অপহরণকারী ছিল বলে জানা যায়।
তবে র্যাব ও ডিবির সূত্রে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের নাম উঠে এসেছে। তদন্তসংশ্লিষ্টদের একপক্ষ প্রমাণ দিয়ে বলছে, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলেকে ফেরত পেয়েছেন পরাগের বাবা বিমল মণ্ডল। আরেক পক্ষ বলছে, ফাঁদ পেতে কৌশলে শিশু পরাগকে উদ্ধার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
ঘটনার শিকার পরাগের পরিবার 'ভয়ে' ও 'চাপে' মুখ খুলছে না বলে জানিয়েছে। ব্যাপারটি নিয়ে পরাগের বাবা বিমল মণ্ডল গণমাধ্যমের কাছে মানবিক সহায়তা চেয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে 'তদন্তবিভ্রাট' রহস্য আরো ঘনীভূত হচ্ছে।
এদিকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনের মধ্যে যে তিনজন ঘটনাস্থল ও আশপাশে ছিল বলে দাবি করা হয়েছে, তারা গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে আসামিরা ওই জবানবন্দিতে অপহরণে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করলেও তারা পরিকল্পনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছে। অন্য তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কালাচান, মোহাম্মদ আলী রিফাত ও জাহিদুল হাসান গতকাল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য আসামি আবুল কাশেম, রিজভি আহমেদ অনিক ও আলফাজ হোসেনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। পরাগ অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মামুন নামের অন্য এক আসামিও সাত দিনের রিমান্ডে আছে বলে আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামিরা জবানবন্দিতে নিজেরা পরিকল্পনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছে। তারা শিশু অপহরণের কাজে সহায়তা করেছে বলে স্বীকার করলেও নিজেরা গুলি করেনি বলে জানায়। ঘটনাস্থলে আমির ও আলামিন ছিল বলে তারা জানায়। একই সঙ্গে জানিয়েছে, টাকার জন্যই অপহরণ এবং গুলির ঘটনা কি না তা তারা জানে না। এমনকি শিশু অপহরণ করা হবে কি না তা আগে জানত না বলে দুজনই দাবি করে। তিন আসামির দাবি, ৫০ লাখ টাকা লেনদেনের কথা তারা শুনেছে। তবে কে কখন কিভাবে টাকা নিয়েছে, তারা তা জানে না।
তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, 'ঘটনার সঙ্গে মামুনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। অন্য আসামিরা জড়িত বলে প্রমাণ মিলেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামিরা পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিরের নাম বলেছে।' ডিবি ও র্যাবের তদন্তে অনেক ব্যক্তির নাম চলে এসেছে। এদের মধ্যে কারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং রহস্য কী, জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, 'তদন্ত চলছে, এখন কিছুই বলা যাবে না।'
হোতারা আড়ালে : সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকালে ঘটনার পর থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনার পর থেকেই তদন্তসংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে আমির, আবুল, নাজির, জাহিদ, সঞ্জয়সহ কয়েকজনের নাম উঠে আসে। আর সন্ত্রাসীদের মদদদাতা হিসেবে বেরিয়ে আসে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আমিনুল হক জুয়েলের নাম। অনুসন্ধানে জানা যায়, জুয়েল ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। গত মঙ্গলবার রাতে আমিনবাজার এলাকায় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলেকে ফিরে পান পরাগের বাবা। এরপর র্যাবই প্রকাশ করে, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের মাধ্যমে পরাগকে পাওয়া গেছে। এটি কারো উদ্ধার অভিযান নয়। অন্যদিকে ডিবির দাবি, পরাগকে উদ্ধারে কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়নি। বিশেষ কৌশলের তিন দিন গেলেও গতকাল পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি ডিবি। আর গত বুধবার রাতে ছয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তবে র্যাবের দাবি অনুযায়ী মূল হোতা আমির, আল আমিন ও আকাশ এখনো অধরা। ভয়ে মুখ খুলছেন না পরাগের বাবা বিমল মণ্ডল। মুক্তিপণের ৫০ লাখ টাকা কে বা কারা নিয়েছে সে রহস্যও উদ্ঘাটন করতে পারেননি গোয়েন্দারা।
একটু একটু কথা বলছে পরাগ : অপহরণকারীদের কাছ থেকে ফিরে পাওয়া শিশু পরাগ এখনো রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তবে গতকাল পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সে স্বজনদের সঙ্গে এখন একটু একটু করে কথা বলছে। পরাগের মা লিপি মণ্ডল একই হাসপাতালের ১১ তলার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থাও এখন আগের চেয়ে ভালো। লিপির ভাই অনিন্দ্য সরকার বিদ্যুৎ কালের কণ্ঠকে বলেন, অপহরণ করার পর ঘাড়ে আঘাত করে হেলমেট পরিয়ে পরাগকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই সে কোথায় গেছে তা বুঝতে পারেনি। শুধু দেখেছে একটি অচেনা বাসায় তাকে নেওয়া হয়েছে। এরপর ইনজেকশন দিয়ে তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। চিকিৎসকরা স্বজনদের বলেছেন, তিন দিনই পরাগ তেমন কিছু খায়নি। হয়তো ঘুমের কারণে তাকে খেতে দেওয়া হয়নি। অথবা সে খেতে রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ায় ব্যবসায়ী বিমল মণ্ডলের স্ত্রী লিপি, মেয়ে পিনানী ও গাড়িচালক নজরুলকে গুলি করে ছয় বছরের শিশু পরাগকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে আটিবাজার এলাকা থেকে পরাগকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন তার বাবা।
তবে র্যাব ও ডিবির সূত্রে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের নাম উঠে এসেছে। তদন্তসংশ্লিষ্টদের একপক্ষ প্রমাণ দিয়ে বলছে, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলেকে ফেরত পেয়েছেন পরাগের বাবা বিমল মণ্ডল। আরেক পক্ষ বলছে, ফাঁদ পেতে কৌশলে শিশু পরাগকে উদ্ধার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
ঘটনার শিকার পরাগের পরিবার 'ভয়ে' ও 'চাপে' মুখ খুলছে না বলে জানিয়েছে। ব্যাপারটি নিয়ে পরাগের বাবা বিমল মণ্ডল গণমাধ্যমের কাছে মানবিক সহায়তা চেয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে 'তদন্তবিভ্রাট' রহস্য আরো ঘনীভূত হচ্ছে।
এদিকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনের মধ্যে যে তিনজন ঘটনাস্থল ও আশপাশে ছিল বলে দাবি করা হয়েছে, তারা গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে আসামিরা ওই জবানবন্দিতে অপহরণে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করলেও তারা পরিকল্পনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছে। অন্য তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কালাচান, মোহাম্মদ আলী রিফাত ও জাহিদুল হাসান গতকাল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য আসামি আবুল কাশেম, রিজভি আহমেদ অনিক ও আলফাজ হোসেনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। পরাগ অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মামুন নামের অন্য এক আসামিও সাত দিনের রিমান্ডে আছে বলে আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামিরা জবানবন্দিতে নিজেরা পরিকল্পনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছে। তারা শিশু অপহরণের কাজে সহায়তা করেছে বলে স্বীকার করলেও নিজেরা গুলি করেনি বলে জানায়। ঘটনাস্থলে আমির ও আলামিন ছিল বলে তারা জানায়। একই সঙ্গে জানিয়েছে, টাকার জন্যই অপহরণ এবং গুলির ঘটনা কি না তা তারা জানে না। এমনকি শিশু অপহরণ করা হবে কি না তা আগে জানত না বলে দুজনই দাবি করে। তিন আসামির দাবি, ৫০ লাখ টাকা লেনদেনের কথা তারা শুনেছে। তবে কে কখন কিভাবে টাকা নিয়েছে, তারা তা জানে না।
তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, 'ঘটনার সঙ্গে মামুনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। অন্য আসামিরা জড়িত বলে প্রমাণ মিলেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামিরা পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিরের নাম বলেছে।' ডিবি ও র্যাবের তদন্তে অনেক ব্যক্তির নাম চলে এসেছে। এদের মধ্যে কারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং রহস্য কী, জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, 'তদন্ত চলছে, এখন কিছুই বলা যাবে না।'
হোতারা আড়ালে : সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকালে ঘটনার পর থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনার পর থেকেই তদন্তসংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে আমির, আবুল, নাজির, জাহিদ, সঞ্জয়সহ কয়েকজনের নাম উঠে আসে। আর সন্ত্রাসীদের মদদদাতা হিসেবে বেরিয়ে আসে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আমিনুল হক জুয়েলের নাম। অনুসন্ধানে জানা যায়, জুয়েল ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। গত মঙ্গলবার রাতে আমিনবাজার এলাকায় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলেকে ফিরে পান পরাগের বাবা। এরপর র্যাবই প্রকাশ করে, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের মাধ্যমে পরাগকে পাওয়া গেছে। এটি কারো উদ্ধার অভিযান নয়। অন্যদিকে ডিবির দাবি, পরাগকে উদ্ধারে কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়নি। বিশেষ কৌশলের তিন দিন গেলেও গতকাল পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি ডিবি। আর গত বুধবার রাতে ছয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তবে র্যাবের দাবি অনুযায়ী মূল হোতা আমির, আল আমিন ও আকাশ এখনো অধরা। ভয়ে মুখ খুলছেন না পরাগের বাবা বিমল মণ্ডল। মুক্তিপণের ৫০ লাখ টাকা কে বা কারা নিয়েছে সে রহস্যও উদ্ঘাটন করতে পারেননি গোয়েন্দারা।
একটু একটু কথা বলছে পরাগ : অপহরণকারীদের কাছ থেকে ফিরে পাওয়া শিশু পরাগ এখনো রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তবে গতকাল পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সে স্বজনদের সঙ্গে এখন একটু একটু করে কথা বলছে। পরাগের মা লিপি মণ্ডল একই হাসপাতালের ১১ তলার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থাও এখন আগের চেয়ে ভালো। লিপির ভাই অনিন্দ্য সরকার বিদ্যুৎ কালের কণ্ঠকে বলেন, অপহরণ করার পর ঘাড়ে আঘাত করে হেলমেট পরিয়ে পরাগকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই সে কোথায় গেছে তা বুঝতে পারেনি। শুধু দেখেছে একটি অচেনা বাসায় তাকে নেওয়া হয়েছে। এরপর ইনজেকশন দিয়ে তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। চিকিৎসকরা স্বজনদের বলেছেন, তিন দিনই পরাগ তেমন কিছু খায়নি। হয়তো ঘুমের কারণে তাকে খেতে দেওয়া হয়নি। অথবা সে খেতে রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ায় ব্যবসায়ী বিমল মণ্ডলের স্ত্রী লিপি, মেয়ে পিনানী ও গাড়িচালক নজরুলকে গুলি করে ছয় বছরের শিশু পরাগকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে আটিবাজার এলাকা থেকে পরাগকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন তার বাবা।
No comments