বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ হোক- নাগরিক ও মানবাধিকার
১৯টি মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ-এর প্রতিবেদনে যেসব তথ্য-উপাত্ত বেরিয়ে এসেছে, তা নাগরিক অধিকার বা মানবাধিকার সুরক্ষার পরিপন্থী। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের মানবাধিকারের চিত্র রয়েছে এ প্রতিবেদনে।
এ সময়ে দেশে গুমের ঘটনা ঘটেছে ১৫৬টি, যার মধ্যে ২৮ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এ সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে ৪৬২ জন। অথচ ২০০৯ সালের শুরুতে সরকার ক্ষমতায় এসে বলেছিল, বিচারবহির্ভূত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হবে।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফোরাম এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে ফোরামের সভাপতি এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল সরকারের প্রতিশ্রুতির কথাটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট নয়, মানবাধিকারের ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতি সাধনই এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য। সরকার বিষয়টি কীভাবে নেবে জানি না। তবে অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যেভাবে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান, তাতে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। সত্য গোপন রাখা কখনোই মঙ্গলজনক নয়। কোনো সংস্থা মনগড়া প্রতিবেদন দিয়ে সরকারের বা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এসব প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ করা হলে যারা এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটায়, তারা উৎসাহিত হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
সরকারকে মনে রাখা প্রয়োজন, এসব প্রতিবেদনে সব সময় নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয় না। মানবাধিকার ফোরামের প্রতিবেদনেও নারীর ক্ষমতায়ন ও খাদ্যনিরাপত্তায় অগ্রগতির কথা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানো তথা দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্যনিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সঙ্গে মানবাধিকার ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আমরা আশা করব, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল করা যায় না। বিচারিক প্রক্রিয়ায়ই অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফোরাম এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে ফোরামের সভাপতি এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল সরকারের প্রতিশ্রুতির কথাটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট নয়, মানবাধিকারের ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতি সাধনই এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য। সরকার বিষয়টি কীভাবে নেবে জানি না। তবে অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যেভাবে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান, তাতে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। সত্য গোপন রাখা কখনোই মঙ্গলজনক নয়। কোনো সংস্থা মনগড়া প্রতিবেদন দিয়ে সরকারের বা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এসব প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ করা হলে যারা এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটায়, তারা উৎসাহিত হয়। তাতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
সরকারকে মনে রাখা প্রয়োজন, এসব প্রতিবেদনে সব সময় নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয় না। মানবাধিকার ফোরামের প্রতিবেদনেও নারীর ক্ষমতায়ন ও খাদ্যনিরাপত্তায় অগ্রগতির কথা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানো তথা দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্যনিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সঙ্গে মানবাধিকার ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আমরা আশা করব, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। নীতিনির্ধারকদের মনে রাখতে হবে, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল করা যায় না। বিচারিক প্রক্রিয়ায়ই অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
No comments