প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি- প্রয়োজনে শরিয়া আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রমে বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, লাফালাফি করে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা যাবে না। বাড়াবাড়ি করলে বিকল্প পথ জানা আছে। দরকার হলে শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিয়াস তো আছেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত বেশি লাফালাফি কিংবা জ্বালাবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তত দ্রুত করা হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা সম্প্রতি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, কারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করছে, কী উদ্দেশে করছে, এটা সবারই জানা। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য এই খেলা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে যারা বাড়াবাড়ি করছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থ্যা নিতে হয়, তা জানা আছে। বিকল্প ব্যবস্থা তো হাতে আছে। শরিয়া আইনেও বলা আছে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। প্রয়োজনে কিয়াস অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরাজিত শক্তির দোসররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা করবে, তা বরদাস্ত করা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামুতে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানকার গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী চীন, ভারত ভ্রমণ করে ৪০ দিন পর রামুতে গেলেন। কিন্তু সেখানকার মানুষের জন্য তিনি কিছুই দেননি। শুধু সরকারের বিরুদ্ধে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ঘটিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এসেছেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিচার ১৯৭৩ সালে শুরু হয়েছিল। কিন্তু ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেন। যাদের নাগরিকত্ব ছিল না, তাদের দেশে এনে নাগরিকত্ব দেওয়াসহ রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেন।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় লাফালাফি করছে, তাদের বিরত থাকতে বলুন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার রায় ঘোষণার দিন বিএনপি হরতাল দিয়েছিল, কিন্তু খুনিদের রক্ষা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ও কার্যকর করতে পারব।’ তিনি বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে কখনো এত বেশি স্বচ্ছতা অতীতে ছিল না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যেকোনো অপতৎপরতার বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কার্তিক মাসেও দেশে মঙ্গা নেই। এটা অতীতে কখনো হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সাড়ে তিন বছরে সাড়ে চার লাখ লোক সরকারি চাকরি পেয়েছে। বেসরকারি চাকরি হয়েছে ৭৮ লাখ মানুষের। মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছি। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দুই হাজার ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার হাজার ১৭৫ টাকা করেছি। প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগের ওপরে। বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯২ ভাগ। অতীতে বিএনপি তো পারেইনি, উচ্চমানের বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারও পারেনি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় ছাড়াও দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব মোকাবিলায় দলীয় কৌশল নির্ধারণসহ সামগ্রিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা সম্প্রতি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, কারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করছে, কী উদ্দেশে করছে, এটা সবারই জানা। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য এই খেলা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে যারা বাড়াবাড়ি করছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থ্যা নিতে হয়, তা জানা আছে। বিকল্প ব্যবস্থা তো হাতে আছে। শরিয়া আইনেও বলা আছে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়। প্রয়োজনে কিয়াস অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরাজিত শক্তির দোসররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা করবে, তা বরদাস্ত করা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামুতে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানকার গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী চীন, ভারত ভ্রমণ করে ৪০ দিন পর রামুতে গেলেন। কিন্তু সেখানকার মানুষের জন্য তিনি কিছুই দেননি। শুধু সরকারের বিরুদ্ধে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ঘটিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এসেছেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিচার ১৯৭৩ সালে শুরু হয়েছিল। কিন্তু ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেন। যাদের নাগরিকত্ব ছিল না, তাদের দেশে এনে নাগরিকত্ব দেওয়াসহ রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেন।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় লাফালাফি করছে, তাদের বিরত থাকতে বলুন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার রায় ঘোষণার দিন বিএনপি হরতাল দিয়েছিল, কিন্তু খুনিদের রক্ষা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ও কার্যকর করতে পারব।’ তিনি বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে কখনো এত বেশি স্বচ্ছতা অতীতে ছিল না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যেকোনো অপতৎপরতার বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কার্তিক মাসেও দেশে মঙ্গা নেই। এটা অতীতে কখনো হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সাড়ে তিন বছরে সাড়ে চার লাখ লোক সরকারি চাকরি পেয়েছে। বেসরকারি চাকরি হয়েছে ৭৮ লাখ মানুষের। মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছি। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দুই হাজার ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার হাজার ১৭৫ টাকা করেছি। প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগের ওপরে। বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯২ ভাগ। অতীতে বিএনপি তো পারেইনি, উচ্চমানের বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারও পারেনি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় ছাড়াও দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব মোকাবিলায় দলীয় কৌশল নির্ধারণসহ সামগ্রিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
No comments