সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটি ১১ বছরেও সরানো হয়নি
প্রতিস্থাপনের টাকা জমা না দেওয়ায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর সদরের প্রধান সড়কের ওপর থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো গত ১১ বছরেও সরানো হয়নি। এসব খুঁটির কারণে ওই সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে—তৈরি হচ্ছে যানজট।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), উপজেলা পরিষদ, নাকি পৌরসভা খুঁটিগুলো প্রতিস্থাপনের টাকা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবে, তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর পৌর সদরের ওপর দিয়ে গেছে জয়পুরহাট-সান্তাহার সড়ক। সওজ সড়কটি তত্ত্বাবধান করে। ১৯৯৭ সালে জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেয়।
২০০১ সালে সওজ পৌর সদরের কলেজবাজার থেকে নিচাবাজার পর্যন্ত সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলে সড়কটি প্রশস্ত হয়। এতে খুঁটিগুলো সড়কের মধ্যে পড়ে। খুঁটিগুলোর কারণে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় পৌর শহরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। গত বছরের ২২ অক্টোবর হাইটেক পৌর কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র তুহিন সাইকেলে করে যাওয়ার সময় উপজেলা পরিষদের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলে ট্রাক্টরের চাপায় নিহত হয়।
পৌর সদরের প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ৪০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়কের ভেতরে পড়েছে। খুঁটিগুলোর কারণে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সরদার নুরুন্নবী আরিফ বলেন, পৌর সদরের ব্যস্ততম সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের ওপর থেকে খুঁটিগুলো সরিয়ে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নিসচার পক্ষে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ২০০২ সালে সড়কের ওপরে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরিতে নিতে পবিস আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে চিঠি দেন। পরে পবিস পৌরসভাকে চিঠি দিয়ে খুঁটি প্রতিস্থাপনের জন্য টাকা চায়। সড়কটির তত্ত্বাবধায়ক সওজ হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ খুঁটি প্রতিস্থাপনের টাকা জমা দেয়নি। পরে পৌর কর্তৃপক্ষ খুঁটিগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নিতে সওজ জয়পুরহাট কার্যালয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। পৌর সদরে যানজট ও দুর্ঘটনা নিরসনে বর্তমান পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী পবিসকে সড়ক থেকে খুঁটিগুলো সরাতে বলেন।
পবিস আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নুরুল ইসলাম সরকার জানান, গত ২৯ জুলাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক তাঁর পরিষদের পক্ষে সড়কের ওপরে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরিয়ে নিতে পবিসকে চিঠি দিয়েছিলেন। পবিস চিঠি দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে খুঁটি প্রতিস্থাপনের জন্য দুই লাখ ৪১৩ টাকা চায়। উপজেলা পরিষদ এই টাকা পবিসে জমা দেয়নি।
আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক জানান, পবিস অন্যের জমির ওপর খুঁটি বসিয়ে ব্যবসা করবে, আবার সেই খুঁটি সরিয়ে নিতে উপজেলা পরিষদকে টাকা দিতে হবে—এ কেমন কথা! আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘সড়কটি পৌরসভার ভেতরে হলেও সেটি সওজের তত্ত্বাবধানে আছে। খুঁটিগুলো সরানোর ব্যবস্থা নিতে সওজকে বলা হয়েছে।’
সওজ জয়পুরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আজিজার রহমান জানান, সড়কটি বর্ধিতকরণের দরপত্রের সঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো প্রতিস্থাপনের ব্যয় ধরা হবে। এখন তাঁদের পক্ষে প্রতিস্থানের ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। এই সড়ক দিয়ে যেহেতু পৌরসভার লোকজন চলাচল করে, তাই প্রতিস্থাপনের ব্যয় পৌরসভাও দিতে পারে।
২০০১ সালে সওজ পৌর সদরের কলেজবাজার থেকে নিচাবাজার পর্যন্ত সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলে সড়কটি প্রশস্ত হয়। এতে খুঁটিগুলো সড়কের মধ্যে পড়ে। খুঁটিগুলোর কারণে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় পৌর শহরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। গত বছরের ২২ অক্টোবর হাইটেক পৌর কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র তুহিন সাইকেলে করে যাওয়ার সময় উপজেলা পরিষদের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলে ট্রাক্টরের চাপায় নিহত হয়।
পৌর সদরের প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ৪০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি সড়কের ভেতরে পড়েছে। খুঁটিগুলোর কারণে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সরদার নুরুন্নবী আরিফ বলেন, পৌর সদরের ব্যস্ততম সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কের ওপর থেকে খুঁটিগুলো সরিয়ে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নিসচার পক্ষে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ২০০২ সালে সড়কের ওপরে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরিতে নিতে পবিস আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে চিঠি দেন। পরে পবিস পৌরসভাকে চিঠি দিয়ে খুঁটি প্রতিস্থাপনের জন্য টাকা চায়। সড়কটির তত্ত্বাবধায়ক সওজ হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ খুঁটি প্রতিস্থাপনের টাকা জমা দেয়নি। পরে পৌর কর্তৃপক্ষ খুঁটিগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নিতে সওজ জয়পুরহাট কার্যালয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। পৌর সদরে যানজট ও দুর্ঘটনা নিরসনে বর্তমান পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী পবিসকে সড়ক থেকে খুঁটিগুলো সরাতে বলেন।
পবিস আক্কেলপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নুরুল ইসলাম সরকার জানান, গত ২৯ জুলাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক তাঁর পরিষদের পক্ষে সড়কের ওপরে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরিয়ে নিতে পবিসকে চিঠি দিয়েছিলেন। পবিস চিঠি দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে খুঁটি প্রতিস্থাপনের জন্য দুই লাখ ৪১৩ টাকা চায়। উপজেলা পরিষদ এই টাকা পবিসে জমা দেয়নি।
আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক জানান, পবিস অন্যের জমির ওপর খুঁটি বসিয়ে ব্যবসা করবে, আবার সেই খুঁটি সরিয়ে নিতে উপজেলা পরিষদকে টাকা দিতে হবে—এ কেমন কথা! আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘সড়কটি পৌরসভার ভেতরে হলেও সেটি সওজের তত্ত্বাবধানে আছে। খুঁটিগুলো সরানোর ব্যবস্থা নিতে সওজকে বলা হয়েছে।’
সওজ জয়পুরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আজিজার রহমান জানান, সড়কটি বর্ধিতকরণের দরপত্রের সঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো প্রতিস্থাপনের ব্যয় ধরা হবে। এখন তাঁদের পক্ষে প্রতিস্থানের ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। এই সড়ক দিয়ে যেহেতু পৌরসভার লোকজন চলাচল করে, তাই প্রতিস্থাপনের ব্যয় পৌরসভাও দিতে পারে।
No comments