বিএনপি সংসদে যাওয়ার কথা বিবেচনা করছে: মওদুদ

‘আন্দোলনের অংশ হিসেবে’ বিএনপি জাতীয় সংসদে ফিরে যাওয়ার কথা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মওদুদ এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, ‘সরকার সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছে। আমরা সংসদে ফিরতে চাই। এখন সরকারকে সংসদে ফেরার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
সরকার পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মওদুদ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এতে লাভ হবে না। আবার ১/১১ সৃষ্টি হলে তাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আওয়ামী লীগ। তারাই রাজনৈতিকভাবে হারিয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করার জন্য আমরা সর্বশক্তি নিয়ে কর্মসূচি দেব। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানছে, ততক্ষণ পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি থাকবে।’
সাংস্কৃতিক গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত ‘নির্দলীয় সরকার পুনর্বহালই সংকট উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এ আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন প্রমুখ।
ভাসানী স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা: গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে অপর এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। শেখ মুজিবুর রহমান বা আওয়ামী লীগ নয়।’ মওলানা ভাসানীর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এ আলোচনার আয়োজন করে।
সভাপতির বক্তব্যে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ সরকারের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হচ্ছে একমাত্র আওয়ামী লীগের, এতে আর কারও অংশ নেই। আজ যাঁকে নিয়ে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের একক-একদলীয় ইতিহাস তৈরি করছে, সেই মুজিবকেও তৈরি করেন মওলানা ভাসানী।’ তিনি বলেন, ১৯৫৬ সালে প্রথম বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলেন মওলানা ভাসানী। ’৫৭ সালে পাকিস্তানকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেন তিনি। শেখ মুজিব যখন আগরতলা মামলায় কারান্তরীণ, তখন সেনানিবাস ঘেরাও আন্দোলন করেন; আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম দেন। আজ আওয়ামী লীগ সেই নেতার জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে না।
মওলানা ভাসানীকে একটি প্রতিষ্ঠান ও বিরল রাজনীতিক উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে নেলসন ম্যান্ডেলার চেয়েও বড় নেতা বলে মনে করি মওলানা ভাসানীকে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.