বাংলাদেশের উদ্বেগ অগ্রাহ্য করা যাবে না রোহিঙ্গা সমস্যা
যুক্তরাষ্ট্রের পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আজ শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের উদ্দেশে রওনা হবেন। সফরকালে তিনি আগামী সোমবার মিয়ানমারে যাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রনীতিতে এশিয়ায় মিয়ানমারের গুরুত্বের কেন্দ্র হয়ে ওঠার ইঙ্গিতই ওবামার এ সফর।
বাংলাদেশের জন্যও তাই এ সফর অনেক গুরুত্ব বহন করে। পাশাপাশি আশা করা হচ্ছে, এই সফরে তিনি মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ এবং জাতিগত নিধনের হোতাদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলবেন। মিয়ানমারের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার শিকার বাংলাদেশের উচিত ওবামার সফরকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা।
এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিয়ানমার সফরে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন মিয়ানমারকে তার এশীয় অঞ্চলে সম্পর্কের প্রধান খুঁটি হিসেবে দেখছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ছদ্ম-গণতন্ত্রের আড়ালে শাসনকারী সামরিক জান্তা আরও শক্তিশালী হবে। যে সামরিক জান্তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে তাদের বাংলাদেশের সীমান্তে ঠেলে ঢোকাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু করায় মদদ দিচ্ছে, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট হয়ে এ ধরনের আচরণ আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর প্রধান মারিয়া ওটেরো ঢাকায় এসেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছেন। অথচ মিয়ানমার সরকারের মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তারা রহস্যজনকভাবে নীরব। বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণ এটাই।
আশার কথা, মিয়ানমার সফরে গিয়ে ওবামা সে দেশের অ-বর্মী জাতিগোষ্ঠী এবং বিশেষত রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা টম ডনিলন। তিনি জানিয়েছেন, মিয়ানমারে নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যকার সহিংসতাই যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্বেগ। হোয়াইট হাউস থেকে আরও বলা হয়েছে, মিয়ানমার সরকারকে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। ওই সব এলাকায় মানবাধিকারকর্মীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং এ সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ওয়াশিংটনে ডনিলন আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, প্রেসিডেন্ট ওবামা মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে এসব বিষয়ে সরাসরি কথা বলবেন।’ ডনিলনের এ বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ একমত হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ওবামার সফরের সুফল পেতে বাংলাদেশ কি কিছু করেছে? এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের কাছে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি কোনো যোগাযোগ করেছেন?
মিয়ানমারের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব, দেশটির অঢেল খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পাঁচ কোটি মানুষের নতুন বাজার যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণ হতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যার প্রতিকার কিংবা মিয়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও হয়তো তারা সেই দৃষ্টিতেই দেখবে। কিন্তু দক্ষ কূটনীতি ও আন্তরিক উদ্যোগ নিলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের হিসাব-নিকাশের মধ্যে বাংলাদেশের স্বার্থও অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া অসম্ভব নয়। বৈরী বিশ্বে বহুপক্ষীয় কূটনীতি ছাড়া যে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা করা কঠিন, সেই বিবেচনা জরুরি।
এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিয়ানমার সফরে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন মিয়ানমারকে তার এশীয় অঞ্চলে সম্পর্কের প্রধান খুঁটি হিসেবে দেখছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ছদ্ম-গণতন্ত্রের আড়ালে শাসনকারী সামরিক জান্তা আরও শক্তিশালী হবে। যে সামরিক জান্তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে তাদের বাংলাদেশের সীমান্তে ঠেলে ঢোকাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু করায় মদদ দিচ্ছে, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট হয়ে এ ধরনের আচরণ আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর প্রধান মারিয়া ওটেরো ঢাকায় এসেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছেন। অথচ মিয়ানমার সরকারের মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তারা রহস্যজনকভাবে নীরব। বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণ এটাই।
আশার কথা, মিয়ানমার সফরে গিয়ে ওবামা সে দেশের অ-বর্মী জাতিগোষ্ঠী এবং বিশেষত রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা টম ডনিলন। তিনি জানিয়েছেন, মিয়ানমারে নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যকার সহিংসতাই যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্বেগ। হোয়াইট হাউস থেকে আরও বলা হয়েছে, মিয়ানমার সরকারকে সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। ওই সব এলাকায় মানবাধিকারকর্মীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং এ সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ওয়াশিংটনে ডনিলন আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, প্রেসিডেন্ট ওবামা মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে এসব বিষয়ে সরাসরি কথা বলবেন।’ ডনিলনের এ বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ একমত হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ওবামার সফরের সুফল পেতে বাংলাদেশ কি কিছু করেছে? এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের কাছে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি কোনো যোগাযোগ করেছেন?
মিয়ানমারের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব, দেশটির অঢেল খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পাঁচ কোটি মানুষের নতুন বাজার যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণ হতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যার প্রতিকার কিংবা মিয়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও হয়তো তারা সেই দৃষ্টিতেই দেখবে। কিন্তু দক্ষ কূটনীতি ও আন্তরিক উদ্যোগ নিলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের হিসাব-নিকাশের মধ্যে বাংলাদেশের স্বার্থও অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া অসম্ভব নয়। বৈরী বিশ্বে বহুপক্ষীয় কূটনীতি ছাড়া যে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা করা কঠিন, সেই বিবেচনা জরুরি।
No comments