যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে হাসিনা-বাড়াবাড়ি হলে প্রয়োজনে শরিয়া আইনে ব্যবস্থা
'যুদ্ধাপরাধীদের' রক্ষার জন্য বাড়াবাড়ি না করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রয়োজনে শরিয়া আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি- নির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এই হুঁশিয়ারি দেন।
পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ করতে বিরোধীদলীয় নেতা, বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বাড়াবাড়ি করে লাভ হবে না। এর জন্য বিচার বন্ধ হবে না। প্রয়োজনে বিচার আরো তাড়াতাড়ি করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কারা, কী উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করছে, তা সবাই জানে। এটা বন্ধ না হলে কী ব্যবস্থা নিতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। শরিয়া আইনেও এ ব্যবস্থার কথা বলা আছে। প্রয়োজনে কিয়াস অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের সময় বিএনপি হরতাল ডেকেছিল। তারা চেয়েছিল বিচারক আদালতে যাবেন না, রায় দিতে পারবেন না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে পারেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও কেউ বন্ধ করতে পারবে না।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরাজিত শক্তির দোসররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা করবে, তা কোনো দিন বরদাশত করা হবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যেকোনো অপতৎপরতার বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধমন্দির এবং বৌদ্ধ বসতিতে হামলার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ওই ঘটনার পর সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। ঘটনার ৪৪ দিন পর বিরোধীদলীয় নেতার রামুতে যাওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'যাওয়ার আগে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের অনেক কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই দেননি। দিয়েছেন সরকারের বিরুদ্ধে কিছু উসকানিমূলক মিথ্যা বক্তব্য।'
সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় নেতার দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ওনারা ক্ষমতায় আসেন দুর্নীতি আর লুটপাট করে টাকা কামাতে। ওনার ছেলেদের দুর্নীতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত। নিজে কালো টাকা সাদা করেছেন। এখন উনি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন।'
শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে দলীয় নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, মাহবুব-উল-আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কারা, কী উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করছে, তা সবাই জানে। এটা বন্ধ না হলে কী ব্যবস্থা নিতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। শরিয়া আইনেও এ ব্যবস্থার কথা বলা আছে। প্রয়োজনে কিয়াস অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের সময় বিএনপি হরতাল ডেকেছিল। তারা চেয়েছিল বিচারক আদালতে যাবেন না, রায় দিতে পারবেন না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে পারেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও কেউ বন্ধ করতে পারবে না।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরাজিত শক্তির দোসররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা করবে, তা কোনো দিন বরদাশত করা হবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার যেকোনো অপতৎপরতার বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
রামু ও উখিয়ায় বৌদ্ধমন্দির এবং বৌদ্ধ বসতিতে হামলার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ওই ঘটনার পর সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। ঘটনার ৪৪ দিন পর বিরোধীদলীয় নেতার রামুতে যাওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'যাওয়ার আগে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের অনেক কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই দেননি। দিয়েছেন সরকারের বিরুদ্ধে কিছু উসকানিমূলক মিথ্যা বক্তব্য।'
সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় নেতার দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ওনারা ক্ষমতায় আসেন দুর্নীতি আর লুটপাট করে টাকা কামাতে। ওনার ছেলেদের দুর্নীতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত। নিজে কালো টাকা সাদা করেছেন। এখন উনি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন।'
শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে দলীয় নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, মাহবুব-উল-আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বেশির ভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
No comments