মাতৃভূমিকে ভুলতে পারি না, তাই প্রথম আলো পড়ি by পার্থপ্রতিম মজুমদার
আজ থেকে ঠিক ১৪ বছর আগে আমার বাসায় ঢাকা থেকে আসা কোনো অতিথির হাতে প্রথম আলোর সন্ধান পাই। কাগজটির গুণমান, ঝকঝকে ছাপা, রাজনীতির কোলাহল পেরিয়ে গ্রামবাংলার উঁকিঝুঁকি, শিল্প-সাহিত্য—কী নেই তাতে! সত্যি মুগ্ধ হয়েছিলাম যে আমার দেশও পারে আন্তর্জাতিক মানের একটি পত্রিকা বের করতে।
সে সময় একটি বাংলা পত্রিকা প্যারিসে বসে পাওয়া বিশাল ব্যাপার ছিল। আমরা যেকোনো বাংলা পত্রিকা পেলে পাঁচ-ছয়টি পরিবারের মধ্যে হাতবদল করতাম।
প্রথম আলো পত্রিকাটির কথা আরও মনে পড়ে এই কারণে, পত্রিকাটি যখন খুলে মন দিয়ে বিভিন্ন পাতায় উঁকিঝুঁকি দিচ্ছি, আমার কন্যা দোয়েলের তখন বয়স পাঁচ সাড়ে পাঁচ বছর। এসে জিজ্ঞাসা করল, ‘বাবা, এটা কী?’ বললাম, বাংলাদেশের খবরের কাগজ, প্রথম আলো। ওর কী মনে হলো, ওর মায়ের গানের ছন্দে সে নাচতে নাচতে ‘প্রথম আলো’, ‘প্রথম আলো’ গাইতে গাইতে ওর ঘরের দিকে চলে গেল। আজ ওর বয়স সাড়ে ১৯ বছর। কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যখনই কিছু পড়ি, ও পাশ দিয়ে বলে যায়, ‘বাবা, প্রথম আলো পড়ছ?’ সত্যি, প্রতিদিনের হাজার চাপের মধ্যেও প্রথম আলো পড়ি। আগে তো একটি পত্রিকা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, আর এখন তো হাতের মুঠোয় বাংলাদেশ বা হাতের মুঠোয় প্রথম আলো। ওয়েব পেজে প্রথম আলো আসার পর থেকে লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাভাষী কী যে খুশি হয়েছেন, তা যাঁরা প্রবাসে না থেকেছেন বা বাস করেছেন, তাঁদের বলে বোঝানো যাবে না। আমরা প্রবাসে হাজারো কর্মব্যস্ততার মধ্যেও প্রথম আলোর ওয়েব পেজ পড়ি। কারণ, আমরা আমাদের মাতৃভাষা আর প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে কোনোভাবে ভুলতে পারি না আর ভুলতে চাইও না।
ভাবতে অবাক লাগে, কত অল্প সময়ের মধ্যে প্রথম আলোর ওয়েব পেজের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বাংলা, বিশ্বজুড়ে প্রথম আলো সারা দুনিয়ার ১৯০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর পরিণত হয়েছে বিশ্বে বাঙালির এক নম্বর পোর্টালে।
ভালো লাগে প্রথম আলোর নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ, সামাজিক দায়িত্ববোধ, নিজ দেশের ও মাতৃভাষার প্রতি দায়বদ্ধতা। আমার ভালো লাগার আরও একটি কারণ হচ্ছে, আমার অতিপ্রিয় বেশ কিছু মানুষ, যাঁরা সত্যি নিজ দেশ আমাদের সবার প্রিয় ভূমি মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভালোবেসে ও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাঁরা এই প্রথম আলো পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। প্যারিস তথা ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলা ভাষাভাষী সবার তরফে প্রথম আলোর জন্য রইল আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
প্রথম আলো পত্রিকাটির কথা আরও মনে পড়ে এই কারণে, পত্রিকাটি যখন খুলে মন দিয়ে বিভিন্ন পাতায় উঁকিঝুঁকি দিচ্ছি, আমার কন্যা দোয়েলের তখন বয়স পাঁচ সাড়ে পাঁচ বছর। এসে জিজ্ঞাসা করল, ‘বাবা, এটা কী?’ বললাম, বাংলাদেশের খবরের কাগজ, প্রথম আলো। ওর কী মনে হলো, ওর মায়ের গানের ছন্দে সে নাচতে নাচতে ‘প্রথম আলো’, ‘প্রথম আলো’ গাইতে গাইতে ওর ঘরের দিকে চলে গেল। আজ ওর বয়স সাড়ে ১৯ বছর। কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যখনই কিছু পড়ি, ও পাশ দিয়ে বলে যায়, ‘বাবা, প্রথম আলো পড়ছ?’ সত্যি, প্রতিদিনের হাজার চাপের মধ্যেও প্রথম আলো পড়ি। আগে তো একটি পত্রিকা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, আর এখন তো হাতের মুঠোয় বাংলাদেশ বা হাতের মুঠোয় প্রথম আলো। ওয়েব পেজে প্রথম আলো আসার পর থেকে লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাভাষী কী যে খুশি হয়েছেন, তা যাঁরা প্রবাসে না থেকেছেন বা বাস করেছেন, তাঁদের বলে বোঝানো যাবে না। আমরা প্রবাসে হাজারো কর্মব্যস্ততার মধ্যেও প্রথম আলোর ওয়েব পেজ পড়ি। কারণ, আমরা আমাদের মাতৃভাষা আর প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে কোনোভাবে ভুলতে পারি না আর ভুলতে চাইও না।
ভাবতে অবাক লাগে, কত অল্প সময়ের মধ্যে প্রথম আলোর ওয়েব পেজের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বাংলা, বিশ্বজুড়ে প্রথম আলো সারা দুনিয়ার ১৯০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর পরিণত হয়েছে বিশ্বে বাঙালির এক নম্বর পোর্টালে।
ভালো লাগে প্রথম আলোর নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ, সামাজিক দায়িত্ববোধ, নিজ দেশের ও মাতৃভাষার প্রতি দায়বদ্ধতা। আমার ভালো লাগার আরও একটি কারণ হচ্ছে, আমার অতিপ্রিয় বেশ কিছু মানুষ, যাঁরা সত্যি নিজ দেশ আমাদের সবার প্রিয় ভূমি মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভালোবেসে ও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাঁরা এই প্রথম আলো পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। প্যারিস তথা ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলা ভাষাভাষী সবার তরফে প্রথম আলোর জন্য রইল আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
No comments