০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ প্রস্তুতির ধীরগতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইলেও এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সিএনএন অবলম্বনে লিখেছেন জাহীদ রেজা নূর -সাজছে ব্রাজিল, সাজছে স্টেডিয়াম
২০১৪ সালটা কি খুব দূরে? একটা উত্তর এ রকম: ২০১৪ সালে পৌঁছাতে হলে অন্তত ২০১২ সাল পার করতে হবে, তারপর ২০১৩ সালের পুরো পথ অতিক্রম করতে হবে; তবেই না দেখা মিলবে ২০১৪ সালের। কথাটা মিথ্যে নয়। এ এক দীর্ঘ পথ।
তবে সমঝদার ফুটবলপ্রেমী কারও কাছে প্রশ্ন করার চেষ্টা করুন তো, ‘আচ্ছা, ২০১৪ সালটা...’
আপনাকে কথাই শেষ করতে দেবে না সে। বলবে, ‘আপনি ব্রাজিল বিশ্বকাপের কথা বলছেন? এ জন্যই তো অপেক্ষা করছি। গতবার তো ইউরোপে গেল কাপ। স্পেন চ্যাম্পিয়ন হলো। এবার লাতিন কোনো দেশকেই চ্যাম্পিয়ন দেখতে চাই...’
এই ফুটবলপ্রেমী কিন্তু কথা চালিয়ে যেতে থাকবে। আপনি নিশ্চিত থাকুন, এরপর আপনি বিশ্বকাপ ফুটবলের আদি-অন্ত সবটাই জানতে পারবেন তার কাছ থেকে। ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, আপনাকে তার কথাগুলো শুনতে হবে। কারণ, প্রশ্নটা তো আপনিই করেছিলেন, স্যার! তবে, পেলে না ম্যারাডোনা ফুটবলের রাজা; কিংবা মেসি বড়, নাকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো— একতরফা আলোচনার প্রসঙ্গ এ রকম জায়গায় পৌঁছানোর আগেই কেটে পড়ার চেষ্টা করুন। বিশ্বকাপের উত্তাপ ছড়ানোর আগেই বিশ্বজুড়ে তাবৎ পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সেই খবরগুলোই বারবার দেবে আপনাকে।
সে যা-ই হোক, ২০১৪ সাল যখন আলোচনায় এলই, তখন সত্যিই একটু ব্রাজিল থেকে ঘুরে আসা যাক; ওদের বিশ্বকাপ-প্রস্তুতিটা দেখে আসা যাক বরং। এ কথা তো সবাই জানেন, কোনো দেশ যখন বিশ্বকাপ কিংবা বড় কোনো আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন সে দেশের ক্রীড়া-অবকাঠামোটাই যায় পাল্টে। নতুন নতুন স্থাপনা গড়া কিংবা পুরোনো স্থাপনায় নতুনত্বের ছোঁয়া লাগা তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ব্রাজিলেও এখন সেসব ঘটনা ঘটে চলেছে।
২.
দুদিকে প্রসারিত হাত ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার এখন পৃথিবীর সাত-আশ্চর্যের একটি। ভ্রমণপিয়াসীরা এই অসাধারণ স্থাপনা দেখার জন্য সারা দুনিয়া থেকেই এখানে আসেন। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নগর-দৃশ্যের দেখা মিলবে কারকাভাদো পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের দিকে তাকালে। একজন ফুটবলপ্রেমী কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে আপনাকে বাঁ দিকে তাকাতে বলবে। কী দেখতে পাচ্ছেন? যা দেখতে পাচ্ছেন, তা কিন্তু একজন ঝানু ফুটবল-সমর্থকের কাছে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের চেয়ে কোনোভাবেই কম মূল্যবান নয়। ভাবছেন ওটা কী? মনে মনে একটা উত্তর তৈরি করে নিয়েছেন?
ঠিক ধরেছেন! ওটা একটা স্টেডিয়াম। রিওর মারাকানা স্টেডিয়াম এটা। আপনাকে আর নতুন করে বলার কিছু নেই যে মারাকানাই হলো ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। এটাও আপনার কাছে নতুন খবর নয় যে ১৯৫০ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা এই স্টেডিয়ামেই হয়েছিল। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে এই স্টেডিয়ামে। শুধু তা-ই নয়, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকের উদ্বোধনী ও সমাপনী উৎসব হবে মারাকানায়।
কারকাভাদো পাহাড় তো অনেক দূরে; কিন্তু আপনি সেই বিশাল দূরত্ব থেকেও দেখতে পাবেন, মারাকানা স্টেডিয়ামজুড়ে ক্রেনগুলো কী তাণ্ডবই না চালাচ্ছে! বিশ্বকাপে স্বাগতিক হতে হলে স্টেডিয়ামগুলোকেও ফিফার কিছু মানদণ্ড মেনে চলতে হয়। ব্রাজিলের নির্দিষ্ট কিছু স্টেডিয়াম সেই মানদণ্ড রক্ষা করতেই কিছুদিনের জন্য খেলাধুলাকে বিদায় দিয়ে নিজেরাই সাজতে লেগেছে। মারাকানা সাজছে ধীরে ধীরে। ইতিমধ্যেই এর ছাদ ঢেকে দিয়েছে গ্যালারির সব আসনকে। মাদ্রিদের বার্নাব্যুকেই মনে করিয়ে দেবে মারাকানা। বার্নাব্যুর প্রতীক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এখানে নেইমার—এই যা পার্থক্য! ৭৬ হাজার দর্শক এই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারবে। কত কিছু যে হচ্ছে এখানে! কয়েকটির কথা না বললেই নয়; থাকছে লকার রুম, বিশাল স্যুট, রেস্তোরাঁ, দোকান ও মিডিয়া-সুবিধা। বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে আরও দুই বছর আগে থেকে। খরচের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে। এই বছরের শেষ দিকে স্টেডিয়ামটির সব ধরনের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শেষ তো হতেই হবে। কারণ, ২০১৩ সালের ৩০ জুন কনফেডারেশন কাপের ফাইনালটাও তো হবে এই স্টেডিয়ামে!
মিনেইরাও স্টেডিয়ামটির কথাও এই ফাঁকে বলে নেওয়া যাক। ব্রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্টেডিয়ামের অবস্থান রিও থেকে ২২৫ মাইল দূরে। কনফেডারেশন কাপের তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপের যে ছয়টি খেলা এখানে দেখা যাবে, তার একটি আবার সেমিফাইনাল! মিনেইরাও স্টেডিয়ামের নতুন সাজের ব্যাপারে সরকারি খরচ কম। মিনাস এরেনা নামের তিনটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কনসোর্টিয়ামই ব্যয়ের ৯৫ শতাংশ বহন করছে, যার পরিমাণ ৩২০ মিলিয়ন ডলার। শুধু খেলার মাঠই নয়, আশপাশের দোকানপাট, রেস্তোরাঁসহ আধুনিক অনেক কিছুই থাকছে এই স্টেডিয়াম চত্বরে; এমনকি এখানে শিল্পকলা অথবা স্কেটিং প্রতিযোগিতার জন্যও রাখা হয়েছে জায়গা। এই স্টেডিয়ামের কাজও শেষ হবে এ বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে।
৩.
এ বছর মে মাসে ফোলা দে সাওপাওলো একটি সংবাদ ছেপে সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল। পত্রিকাটি লিখেছিল, যে ১২টি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের খেলাগুলো হওয়ার কথা, তার ছয়টির কাজ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে শেষ হবে না। অবশ্য ফুটবলপ্রেমীরা জানে, এ ধরনের খবর ছেপে পাঠকের দৃষ্টি নিজেদের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে অনেক পত্রিকাই। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপের আগেও এ ধরনের খবর ছাপা হয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে ব্রাজিল সরকার জানিয়েছিল, সব কটি স্টেডিয়ামের কাজই সময়মতো শেষ হবে। কিন্তু তখন পর্যন্ত পাঁচটির কাজ শেষ হয়েছিল মাত্র ৫০ শতাংশ! সম্প্রতি ফিফার মহাসচিব জেরোম ভালক ব্রাজিলে এসে স্টেডিয়ামগুলোর কাজের অগ্রগতি দেখে গেছেন নিজ চোখে। তারপর জানিয়েছেন, যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে তিনি তৃপ্ত।
তা হলে আর কী!
২০১৪ সালের দিকেই তাকিয়ে থাকি আমরা। কোন দেশ হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, তা নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনতে থাকি।
আপনাকে কথাই শেষ করতে দেবে না সে। বলবে, ‘আপনি ব্রাজিল বিশ্বকাপের কথা বলছেন? এ জন্যই তো অপেক্ষা করছি। গতবার তো ইউরোপে গেল কাপ। স্পেন চ্যাম্পিয়ন হলো। এবার লাতিন কোনো দেশকেই চ্যাম্পিয়ন দেখতে চাই...’
এই ফুটবলপ্রেমী কিন্তু কথা চালিয়ে যেতে থাকবে। আপনি নিশ্চিত থাকুন, এরপর আপনি বিশ্বকাপ ফুটবলের আদি-অন্ত সবটাই জানতে পারবেন তার কাছ থেকে। ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, আপনাকে তার কথাগুলো শুনতে হবে। কারণ, প্রশ্নটা তো আপনিই করেছিলেন, স্যার! তবে, পেলে না ম্যারাডোনা ফুটবলের রাজা; কিংবা মেসি বড়, নাকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো— একতরফা আলোচনার প্রসঙ্গ এ রকম জায়গায় পৌঁছানোর আগেই কেটে পড়ার চেষ্টা করুন। বিশ্বকাপের উত্তাপ ছড়ানোর আগেই বিশ্বজুড়ে তাবৎ পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সেই খবরগুলোই বারবার দেবে আপনাকে।
সে যা-ই হোক, ২০১৪ সাল যখন আলোচনায় এলই, তখন সত্যিই একটু ব্রাজিল থেকে ঘুরে আসা যাক; ওদের বিশ্বকাপ-প্রস্তুতিটা দেখে আসা যাক বরং। এ কথা তো সবাই জানেন, কোনো দেশ যখন বিশ্বকাপ কিংবা বড় কোনো আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন সে দেশের ক্রীড়া-অবকাঠামোটাই যায় পাল্টে। নতুন নতুন স্থাপনা গড়া কিংবা পুরোনো স্থাপনায় নতুনত্বের ছোঁয়া লাগা তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ব্রাজিলেও এখন সেসব ঘটনা ঘটে চলেছে।
২.
দুদিকে প্রসারিত হাত ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার এখন পৃথিবীর সাত-আশ্চর্যের একটি। ভ্রমণপিয়াসীরা এই অসাধারণ স্থাপনা দেখার জন্য সারা দুনিয়া থেকেই এখানে আসেন। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নগর-দৃশ্যের দেখা মিলবে কারকাভাদো পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের দিকে তাকালে। একজন ফুটবলপ্রেমী কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে আপনাকে বাঁ দিকে তাকাতে বলবে। কী দেখতে পাচ্ছেন? যা দেখতে পাচ্ছেন, তা কিন্তু একজন ঝানু ফুটবল-সমর্থকের কাছে ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের চেয়ে কোনোভাবেই কম মূল্যবান নয়। ভাবছেন ওটা কী? মনে মনে একটা উত্তর তৈরি করে নিয়েছেন?
ঠিক ধরেছেন! ওটা একটা স্টেডিয়াম। রিওর মারাকানা স্টেডিয়াম এটা। আপনাকে আর নতুন করে বলার কিছু নেই যে মারাকানাই হলো ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। এটাও আপনার কাছে নতুন খবর নয় যে ১৯৫০ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা এই স্টেডিয়ামেই হয়েছিল। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে এই স্টেডিয়ামে। শুধু তা-ই নয়, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকের উদ্বোধনী ও সমাপনী উৎসব হবে মারাকানায়।
কারকাভাদো পাহাড় তো অনেক দূরে; কিন্তু আপনি সেই বিশাল দূরত্ব থেকেও দেখতে পাবেন, মারাকানা স্টেডিয়ামজুড়ে ক্রেনগুলো কী তাণ্ডবই না চালাচ্ছে! বিশ্বকাপে স্বাগতিক হতে হলে স্টেডিয়ামগুলোকেও ফিফার কিছু মানদণ্ড মেনে চলতে হয়। ব্রাজিলের নির্দিষ্ট কিছু স্টেডিয়াম সেই মানদণ্ড রক্ষা করতেই কিছুদিনের জন্য খেলাধুলাকে বিদায় দিয়ে নিজেরাই সাজতে লেগেছে। মারাকানা সাজছে ধীরে ধীরে। ইতিমধ্যেই এর ছাদ ঢেকে দিয়েছে গ্যালারির সব আসনকে। মাদ্রিদের বার্নাব্যুকেই মনে করিয়ে দেবে মারাকানা। বার্নাব্যুর প্রতীক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এখানে নেইমার—এই যা পার্থক্য! ৭৬ হাজার দর্শক এই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারবে। কত কিছু যে হচ্ছে এখানে! কয়েকটির কথা না বললেই নয়; থাকছে লকার রুম, বিশাল স্যুট, রেস্তোরাঁ, দোকান ও মিডিয়া-সুবিধা। বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে আরও দুই বছর আগে থেকে। খরচের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে। এই বছরের শেষ দিকে স্টেডিয়ামটির সব ধরনের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শেষ তো হতেই হবে। কারণ, ২০১৩ সালের ৩০ জুন কনফেডারেশন কাপের ফাইনালটাও তো হবে এই স্টেডিয়ামে!
মিনেইরাও স্টেডিয়ামটির কথাও এই ফাঁকে বলে নেওয়া যাক। ব্রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্টেডিয়ামের অবস্থান রিও থেকে ২২৫ মাইল দূরে। কনফেডারেশন কাপের তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপের যে ছয়টি খেলা এখানে দেখা যাবে, তার একটি আবার সেমিফাইনাল! মিনেইরাও স্টেডিয়ামের নতুন সাজের ব্যাপারে সরকারি খরচ কম। মিনাস এরেনা নামের তিনটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কনসোর্টিয়ামই ব্যয়ের ৯৫ শতাংশ বহন করছে, যার পরিমাণ ৩২০ মিলিয়ন ডলার। শুধু খেলার মাঠই নয়, আশপাশের দোকানপাট, রেস্তোরাঁসহ আধুনিক অনেক কিছুই থাকছে এই স্টেডিয়াম চত্বরে; এমনকি এখানে শিল্পকলা অথবা স্কেটিং প্রতিযোগিতার জন্যও রাখা হয়েছে জায়গা। এই স্টেডিয়ামের কাজও শেষ হবে এ বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে।
৩.
এ বছর মে মাসে ফোলা দে সাওপাওলো একটি সংবাদ ছেপে সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল। পত্রিকাটি লিখেছিল, যে ১২টি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের খেলাগুলো হওয়ার কথা, তার ছয়টির কাজ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে শেষ হবে না। অবশ্য ফুটবলপ্রেমীরা জানে, এ ধরনের খবর ছেপে পাঠকের দৃষ্টি নিজেদের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে অনেক পত্রিকাই। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপের আগেও এ ধরনের খবর ছাপা হয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে ব্রাজিল সরকার জানিয়েছিল, সব কটি স্টেডিয়ামের কাজই সময়মতো শেষ হবে। কিন্তু তখন পর্যন্ত পাঁচটির কাজ শেষ হয়েছিল মাত্র ৫০ শতাংশ! সম্প্রতি ফিফার মহাসচিব জেরোম ভালক ব্রাজিলে এসে স্টেডিয়ামগুলোর কাজের অগ্রগতি দেখে গেছেন নিজ চোখে। তারপর জানিয়েছেন, যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে তিনি তৃপ্ত।
তা হলে আর কী!
২০১৪ সালের দিকেই তাকিয়ে থাকি আমরা। কোন দেশ হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, তা নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনতে থাকি।
No comments