সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদে বিভেদ প্রকাশ্যে
সরকার-সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদে নেতৃত্ব নিয়ে অস্থিরতা ও বিভেদ এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। গত শুক্রবার পরিষদের বর্ধিত সভায় এই বিভেদের বিষয়ে একাধিক আইনজীবী নেতা বক্তৃতা করেন।
বর্ধিত সভায় আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। আবার পরিষদের অন্তর্ভুক্ত সব কটি সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের অনেকে বর্ধিত সভা বর্জন করেছেন।
তবে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব সুব্রত চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সব পক্ষকে বর্ধিত সভার বিষয়ে জানানো হয়। কিন্তু সভায় যোগ না দেওয়ার জন্য কতিপয় ব্যক্তি অনেককে চিঠি দিয়েছেন। বর্ধিত সভায় তাঁদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত জুলাই মাসে বার কাউন্সিল নির্বাচনে কয়েক দফা প্যানেল রদবদল করা নিয়ে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের বিভেদের শুরু হয়। ওই নির্বাচনে পরিষদের প্যানেলের ভরাডুবির জন্য অভ্যন্তরীণ বিরোধকে দায়ী করা হয়। এ নিয়ে পরিষদের নেতারা একে অন্যকে দোষারোপ করে আসছিলেন। সম্প্রতি পরিষদের ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আওয়ামী লীগের সভাপতি-মণ্ডলীর সদস্য ও আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে বর্ধিত সভার আগের দিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্মেলনকক্ষে একটি বৈঠক হয়। এতে পরিষদভুক্ত চার সংগঠন—আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি ও জাতীয় আইনজীবী পরিষদ ছাড়াও জাতীয় পার্টির সমর্থক জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের নেতারাও এ বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে পরিষদের ঐক্যের ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেন।
পরদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে পরিষদের আহ্বায়ক এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে পরিষদের নেতাদের মধ্যে বিদ্যমান টানাপোড়েন আরও বাড়ে বলে পরিষদের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। রোকনউদ্দিন মাহমুদ বর্ধিত সভার বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যাঁদের সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত করেছেন, তাঁরাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন।
এদিকে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদার সর্ম্পকে রোকনউদ্দিন মাহমুদের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ। গতকাল সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
বর্ধিত সভায় আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অন্যদের সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্যকে ঐক্যের পথে অন্তরায় বলে মনে করেন জাতীয় আইনজীবী পরিষদের সভাপতি জেড আই খান পান্না। তিনি বলেন, বর্ধিত সভা করার আগে পরিষদের সব সংগঠন নিয়ে আলোচনা করার কথা। কিন্তু তা করেই একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে তিনি বর্ধিত সভায় যোগ দেননি।
একই রকম মত দিয়েছেন জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামও। তিনিও বর্ধিত সভায় যোগ দেননি। বর্ধিত সভায় যোগ না দেওয়ার দলে আছেন আবদুল বাসেত মজুমদার ও গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির নেতা শেখ আখতারুল ইসলামও। শেখ আখতারুলের দাবি, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় পরিষদের যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে অগণতান্ত্রিকভাবে সমন্বয় পরিষদের পদ-পদবি আঁকড়ে আছেন। তাঁদের কারণেই সমন্বয় পরিষদে সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, আইনজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ থাকতে পারে। বার কাউন্সিলের নির্বাচন নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তা নিরসনে শুক্রবারের বর্ধিত সভা সামনে রেখে আগের দিন একটি বৈঠক হয়। সেখানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদারসহ সব সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সবাই মিলে বড় পরিসরে একটি সমাবেশ করা হবে।
সর্বশেষ সমন্বয় পরিষদের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রাতে আবদুল বাসেত মজুমদারসহ একদল আইনজীবী আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।
তবে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব সুব্রত চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সব পক্ষকে বর্ধিত সভার বিষয়ে জানানো হয়। কিন্তু সভায় যোগ না দেওয়ার জন্য কতিপয় ব্যক্তি অনেককে চিঠি দিয়েছেন। বর্ধিত সভায় তাঁদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গত জুলাই মাসে বার কাউন্সিল নির্বাচনে কয়েক দফা প্যানেল রদবদল করা নিয়ে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের বিভেদের শুরু হয়। ওই নির্বাচনে পরিষদের প্যানেলের ভরাডুবির জন্য অভ্যন্তরীণ বিরোধকে দায়ী করা হয়। এ নিয়ে পরিষদের নেতারা একে অন্যকে দোষারোপ করে আসছিলেন। সম্প্রতি পরিষদের ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আওয়ামী লীগের সভাপতি-মণ্ডলীর সদস্য ও আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে বর্ধিত সভার আগের দিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্মেলনকক্ষে একটি বৈঠক হয়। এতে পরিষদভুক্ত চার সংগঠন—আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি ও জাতীয় আইনজীবী পরিষদ ছাড়াও জাতীয় পার্টির সমর্থক জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের নেতারাও এ বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে পরিষদের ঐক্যের ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেন।
পরদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে পরিষদের আহ্বায়ক এম আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে পরিষদের নেতাদের মধ্যে বিদ্যমান টানাপোড়েন আরও বাড়ে বলে পরিষদের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। রোকনউদ্দিন মাহমুদ বর্ধিত সভার বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যাঁদের সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত করেছেন, তাঁরাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন।
এদিকে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদার সর্ম্পকে রোকনউদ্দিন মাহমুদের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ। গতকাল সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
বর্ধিত সভায় আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অন্যদের সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্যকে ঐক্যের পথে অন্তরায় বলে মনে করেন জাতীয় আইনজীবী পরিষদের সভাপতি জেড আই খান পান্না। তিনি বলেন, বর্ধিত সভা করার আগে পরিষদের সব সংগঠন নিয়ে আলোচনা করার কথা। কিন্তু তা করেই একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে তিনি বর্ধিত সভায় যোগ দেননি।
একই রকম মত দিয়েছেন জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামও। তিনিও বর্ধিত সভায় যোগ দেননি। বর্ধিত সভায় যোগ না দেওয়ার দলে আছেন আবদুল বাসেত মজুমদার ও গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির নেতা শেখ আখতারুল ইসলামও। শেখ আখতারুলের দাবি, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় পরিষদের যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে অগণতান্ত্রিকভাবে সমন্বয় পরিষদের পদ-পদবি আঁকড়ে আছেন। তাঁদের কারণেই সমন্বয় পরিষদে সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, আইনজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ থাকতে পারে। বার কাউন্সিলের নির্বাচন নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তা নিরসনে শুক্রবারের বর্ধিত সভা সামনে রেখে আগের দিন একটি বৈঠক হয়। সেখানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদারসহ সব সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সবাই মিলে বড় পরিসরে একটি সমাবেশ করা হবে।
সর্বশেষ সমন্বয় পরিষদের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রাতে আবদুল বাসেত মজুমদারসহ একদল আইনজীবী আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।
No comments