বিসিএস লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
৩৩তম বিসিএস লিখিত (বাধ্যতামূলক) পরীক্ষা স্থগিত করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। আজ রবিবার এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। পিএসসি বলেছে, অনিবার্য কারণে কিছু পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন ধরে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবরের জের ধরে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ৭ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় পদ-সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলো চলবে। স্থগিত পরীক্ষাগুলোর তারিখ পরে জানানো হবে।
এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরের পর থেকে ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভিত্তিতে প্রশ্ন ফাঁসের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজে ৩৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে- এমন গুঞ্জন কয়েক দিন ধরেই জোরেশোরে শোনা যাচ্ছিল। বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, দুই-তিন লাখ টাকা দিলে ৩৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রত্যেকটি প্রশ্নের সবকটি সেট দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁরা শুনেছেন। এ কারণে তাঁরা আতঙ্কিত।
সূত্র জানায়, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রটি কৌশলে কাজ করছে। যাঁরা লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন, তাঁদের একটি গোপন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্নপত্রগুলো দেওয়ার কথা ছিল। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা জড়িত আছেন বলেও সূত্র জানায়।
পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য পিএসসিকে ধন্যবাদ। কয়েক দিন ধরে ভালো করে তাঁরা পড়তেও পারছিলেন না। একজন পরীক্ষার্থী বলেন, 'গত বেশ কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। সে কারণে এই গুজবেও দারুণ আতঙ্কের মধ্যে আছি। যদি বিসিএসের প্রশ্নও ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে আমরা যাব কোথায়?'
চার হাজার ২০৬টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য এ বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ১ জুন প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পৌনে দুই লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেন। গত ২৮ জুন প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় ২৮ হাজার ১৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। রবিবার থেকে মোট ২৬টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরের পর থেকে ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভিত্তিতে প্রশ্ন ফাঁসের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজে ৩৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে- এমন গুঞ্জন কয়েক দিন ধরেই জোরেশোরে শোনা যাচ্ছিল। বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, দুই-তিন লাখ টাকা দিলে ৩৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রত্যেকটি প্রশ্নের সবকটি সেট দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁরা শুনেছেন। এ কারণে তাঁরা আতঙ্কিত।
সূত্র জানায়, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রটি কৌশলে কাজ করছে। যাঁরা লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন, তাঁদের একটি গোপন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্নপত্রগুলো দেওয়ার কথা ছিল। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা জড়িত আছেন বলেও সূত্র জানায়।
পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য পিএসসিকে ধন্যবাদ। কয়েক দিন ধরে ভালো করে তাঁরা পড়তেও পারছিলেন না। একজন পরীক্ষার্থী বলেন, 'গত বেশ কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। সে কারণে এই গুজবেও দারুণ আতঙ্কের মধ্যে আছি। যদি বিসিএসের প্রশ্নও ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে আমরা যাব কোথায়?'
চার হাজার ২০৬টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য এ বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ১ জুন প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পৌনে দুই লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেন। গত ২৮ জুন প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় ২৮ হাজার ১৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। রবিবার থেকে মোট ২৬টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
No comments