ঔপনিবেশিক আমলে নির্যাতন-ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারবেন কেনীয়রা
কেনিয়ায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় নির্যাতিত মাও মাও জনগোষ্ঠীর তিন সদস্য ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করতে পারবেন। গত শুক্রবার লন্ডনের হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে কেনিয়ায় মাও মাও বিদ্রোহ দমনের সময় ব্রিটিশ সেনাদের হাতে নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটে।
বিচারক তাঁর রায়ে বলেছেন, 'ঘটনার দীর্ঘ সময় পার হলেও এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করতে কোনো বাধা নেই।'
মাও মাওদের আইনজীবীরা আদালতের এই রায়কে 'ঐতিহাসিক' উল্লেখ করে বলেছেন, এর ফলে মাও মাও নির্যাতিতদের পক্ষের মামলা পূর্ণ বিচারের জন্য আদালতে পেশ করা যাবে। এ রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটা অনুরণন তুলবে এবং আগামী বহু বছর ধরে ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে অন্য সব মামলার সম্ভাবনার দরজাও খুলে যাবে। ব্রিটিশ সরকার বন্দিদের ওপর নির্যাতনের কথা স্বীকার করলেও তারা দায়িত্ব স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। পররাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, তারা আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে ষাটের দশকের শুরু পর্যন্ত কেনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মাও মাও বিদ্রোহ চলে। বিদ্রোহকালীন নির্যাতনের শিকার ওই তিনজনের নাম জেন মুথোনি মারা, পাওলো মুওকা এনজিলি এবং ওয়ামবুগা ওয়া নিয়িংগি। তাঁদের বয়স সত্তর থেকে আশির ঘরে। এর মধ্যে এনজিলিকে খোঁজা করে দেয় ব্রিটিশ সেনারা। নিয়িংগিকে ব্যাপক মারধর করা হয় এবং মারাকে আটক কেন্দ্রে রেখে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন ওই তিনজন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ব্রিটিশ হাইকোর্ট এক রুল জারি করে বলেন, ক্ষতিপূরণের দাবিদার তিনজনের অভিযোগ, আইনগত দিক দিয়ে তর্ক-সাপেক্ষ। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়, ঘটনার অনেক পরে ব্যাপারটি আদালতে তোলা হয়েছে। তা ছাড়া ঔপনিবেশিক শাসকদের হাত থেকে ১৯৬৩ সালে স্বাধীন কেনিয়া প্রজাতন্ত্রের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বিদ্রোহকালীন নির্যাতনের দায় কেনিয়া সরকারের ওপরই বর্তায়। মামলার চতুর্থ বাদী এনদিকু মুতউইওয়া মুতুয়া এরই মধ্যে মারা গেছেন।
এক বছর পর মামলার শুনানি শেষে আদালত শুক্রবার নির্যাতিতের পক্ষে রায় দেন। আদালতে দুই সপ্তাহ শুনানি চলে। এ সময় মাও মাওয়ের পক্ষে বিদ্রোহকালীন আট হাজার গোপন নথি আদালতে পেশ করা হয়। ১৯৬৩ সালে কেনিয়া স্বাধীনতা লাভের পর নথিগুলো ব্রিটেনে পাঠানো হয়।
হাইকোর্টের বিচারক রিচার্ড ম্যাকম্বে তাঁর রায়ে জানান, ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী যেহেতু ওই সময় সব ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নথিভুক্ত করে রেখেছিল, তাই নির্যাতনের পক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। কেনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মাও মাও অভ্যুত্থান নামে পরিচিত বিদ্রোহের সময় বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালানোর কথা ব্রিটিশ সরকার স্বীকার করেছে। হাইকোর্ট বলেছেন, ঘটনার পর দীর্ঘদিন পার হলেও ১৯৫০-এর দশকের ওই অভ্যুত্থান-সংক্রান্ত মামলা আদালতে নেওয়া যাবে। বিচারক ম্যাকম্বে বলেন, 'এই মামলার সুষ্ঠু বিচার করা সম্ভব। দুই পক্ষের কাছ থেকেই এ ব্যাপারে জোরালো সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। এর ভিত্তিতে আদালত বিষয়টির সন্তোষজনক রায় দিতে পারবেন।'
আইনজীবী মার্টিন ডে বলেন, 'ঐতিহাসিক এই রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুরণন তুলবে। এর পরিণতিতে আগামী বহু বছর ধরে অন্য মামলার সম্ভাবনার দরজাও খুলে যাবে।'
প্রসঙ্গত, ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মাও মাও বিদ্রোহ হয়। এ সময় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। কারো কারো মতে, এ সংখ্যা অনেক বেশি হবে। ওই সময় হাজারো মানুষকে আটক রেখে নির্যাতন করে ব্রিটিশ সেনারা। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দাদাও ছিলেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
মাও মাওদের আইনজীবীরা আদালতের এই রায়কে 'ঐতিহাসিক' উল্লেখ করে বলেছেন, এর ফলে মাও মাও নির্যাতিতদের পক্ষের মামলা পূর্ণ বিচারের জন্য আদালতে পেশ করা যাবে। এ রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটা অনুরণন তুলবে এবং আগামী বহু বছর ধরে ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে অন্য সব মামলার সম্ভাবনার দরজাও খুলে যাবে। ব্রিটিশ সরকার বন্দিদের ওপর নির্যাতনের কথা স্বীকার করলেও তারা দায়িত্ব স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। পররাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, তারা আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে ষাটের দশকের শুরু পর্যন্ত কেনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মাও মাও বিদ্রোহ চলে। বিদ্রোহকালীন নির্যাতনের শিকার ওই তিনজনের নাম জেন মুথোনি মারা, পাওলো মুওকা এনজিলি এবং ওয়ামবুগা ওয়া নিয়িংগি। তাঁদের বয়স সত্তর থেকে আশির ঘরে। এর মধ্যে এনজিলিকে খোঁজা করে দেয় ব্রিটিশ সেনারা। নিয়িংগিকে ব্যাপক মারধর করা হয় এবং মারাকে আটক কেন্দ্রে রেখে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন ওই তিনজন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ব্রিটিশ হাইকোর্ট এক রুল জারি করে বলেন, ক্ষতিপূরণের দাবিদার তিনজনের অভিযোগ, আইনগত দিক দিয়ে তর্ক-সাপেক্ষ। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়, ঘটনার অনেক পরে ব্যাপারটি আদালতে তোলা হয়েছে। তা ছাড়া ঔপনিবেশিক শাসকদের হাত থেকে ১৯৬৩ সালে স্বাধীন কেনিয়া প্রজাতন্ত্রের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বিদ্রোহকালীন নির্যাতনের দায় কেনিয়া সরকারের ওপরই বর্তায়। মামলার চতুর্থ বাদী এনদিকু মুতউইওয়া মুতুয়া এরই মধ্যে মারা গেছেন।
এক বছর পর মামলার শুনানি শেষে আদালত শুক্রবার নির্যাতিতের পক্ষে রায় দেন। আদালতে দুই সপ্তাহ শুনানি চলে। এ সময় মাও মাওয়ের পক্ষে বিদ্রোহকালীন আট হাজার গোপন নথি আদালতে পেশ করা হয়। ১৯৬৩ সালে কেনিয়া স্বাধীনতা লাভের পর নথিগুলো ব্রিটেনে পাঠানো হয়।
হাইকোর্টের বিচারক রিচার্ড ম্যাকম্বে তাঁর রায়ে জানান, ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী যেহেতু ওই সময় সব ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নথিভুক্ত করে রেখেছিল, তাই নির্যাতনের পক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। কেনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মাও মাও অভ্যুত্থান নামে পরিচিত বিদ্রোহের সময় বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালানোর কথা ব্রিটিশ সরকার স্বীকার করেছে। হাইকোর্ট বলেছেন, ঘটনার পর দীর্ঘদিন পার হলেও ১৯৫০-এর দশকের ওই অভ্যুত্থান-সংক্রান্ত মামলা আদালতে নেওয়া যাবে। বিচারক ম্যাকম্বে বলেন, 'এই মামলার সুষ্ঠু বিচার করা সম্ভব। দুই পক্ষের কাছ থেকেই এ ব্যাপারে জোরালো সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। এর ভিত্তিতে আদালত বিষয়টির সন্তোষজনক রায় দিতে পারবেন।'
আইনজীবী মার্টিন ডে বলেন, 'ঐতিহাসিক এই রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুরণন তুলবে। এর পরিণতিতে আগামী বহু বছর ধরে অন্য মামলার সম্ভাবনার দরজাও খুলে যাবে।'
প্রসঙ্গত, ১৯৫২ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মাও মাও বিদ্রোহ হয়। এ সময় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। কারো কারো মতে, এ সংখ্যা অনেক বেশি হবে। ওই সময় হাজারো মানুষকে আটক রেখে নির্যাতন করে ব্রিটিশ সেনারা। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দাদাও ছিলেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments