এক দিনেই বরখাস্ত ১২ হাজার শ্রমিক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্লাটিনাম উৎপাদনকারী কম্পানি অ্যাংলো আমেরিকান প্লাটিনাম (অ্যামপ্লেটস) দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের প্রায় ১২ হাজার শ্রমিককে বরখাস্ত করেছে। কম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শৃঙ্খলাভঙ্গ-সংক্রান্ত শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় গত শুক্রবার শ্রমিকদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
বেতন বাড়ানোর দাবিতে অ্যামপ্লেটসের প্রায় ২৮ হাজার শ্রমিক তিন সপ্তাহ ধরে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাসটেনবার্গ শহরে বিক্ষোভ করছেন। এত শ্রমিককে একসঙ্গে ছাঁটাইয়ের ঘটনায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আন্দোলন-বিক্ষোভের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার খনি শিল্প গত আগস্ট থেকেই উত্তাল হয়ে আছে। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ২০ শতাংশ খনির ওপর নির্ভরশীল। বেতন-ভাতাসহ অন্য সুবিধার দাবিতে দেশজুড়ে প্রায় এক লাখ খনিশ্রমিক বর্তমানে বিক্ষোভ করছেন। নর্থ ওয়েস্ট প্রভিন্সের মারিকানায় গত আগস্টের মাঝামাঝি ব্রিটিশ প্লাটিনাম কম্পানি লনমিনের খনিতে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৪৬ ব্যক্তি মারা যায়। এরপর পরিবেশ আরো সহিংস হয়ে ওঠে। আশপাশের খনিগুলোতেও একই ধরনের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মারিকানার কাছের শহর রাসটেনবার্গে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে অ্যামপ্লেটসের শ্রমিকরা বড় ধরনের ধর্মঘটে যান। ধর্মঘট সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় গত এক সপ্তাহে রাসটেনবার্গে অন্তত সাত ব্যক্তি নিহত হয়।
অ্যামপ্লেটস জানায়, ২৮ হাজার শ্রমিক মিলে তিন সপ্তাহ ধরে 'অবৈধ ধর্মঘট' করায় তাঁদের ৭০ কোটি র্যান্ড (আট কোটি ২০ লাখ ডলার) লোকসান হয়েছে। শ্রমিকদের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে গত শুক্রবার কম্পানির পক্ষ থেকে শুনানির আয়োজন করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা তাতে যোগ দেননি। এর শাস্তি হিসেবে ওই দিনই ১২ হাজার শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়।
এক বিবৃতিতে অ্যামপ্লেটস জানায়, 'ধর্মঘটের পর থেকে খনিতে শ্রমিকদের উপস্থিতি নিয়মিতভাবেই ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা কাজে যোগ দেননি।' শ্রমিকরা অধিক হারে বেতন বৃদ্ধির দাবি থেকে সরে না আসায় কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া কয়েক শ শ্রমিক গতকাল শনিবার রাসটেনবার্গ স্টেডিয়ামে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গত শুক্রবার এক খনিশ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোকও পালন করেন তাঁরা। এর আগে গত শুক্রবার রাতে খনির কাছে তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এত বেশি শ্রমিক বাদ দেওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি আরো সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমখারি (২৩) নামের এক শ্রমিক বলেন, 'গত রাতে আমাকে জানানো হয়েছে, অবৈধ ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার কারণে আমাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক না। আমার সন্তান আছে এবং অনেক ঋণও আছে।'
খনিশ্রমিকদের সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর মাইন ওয়ার্কার্সের (এনইউএম) মুখপাত্র লেসিবা সেশোকা এক বিবৃতিতে জানান, 'শুক্রবার বিকেলে পুলিশের গুলিতে আহত সংগঠনের এক কর্মী মারা গেছেন। পুলিশ ওই শ্রমিককে তাঁর বাড়িতে ঢুকে গুলি করে।' এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করছে এনইউএম। গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যামপ্লেটসের প্রতিদ্বন্দ্বী প্লাটিনাম কম্পানি ইম্পালা ১৭ হাজার শ্রমিককে বরখাস্ত করে। যদিও নতুন চুক্তির আওতায় সপ্তাহ খানেক পরই আবার তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
আন্দোলন-বিক্ষোভের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার খনি শিল্প গত আগস্ট থেকেই উত্তাল হয়ে আছে। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ২০ শতাংশ খনির ওপর নির্ভরশীল। বেতন-ভাতাসহ অন্য সুবিধার দাবিতে দেশজুড়ে প্রায় এক লাখ খনিশ্রমিক বর্তমানে বিক্ষোভ করছেন। নর্থ ওয়েস্ট প্রভিন্সের মারিকানায় গত আগস্টের মাঝামাঝি ব্রিটিশ প্লাটিনাম কম্পানি লনমিনের খনিতে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে ৪৬ ব্যক্তি মারা যায়। এরপর পরিবেশ আরো সহিংস হয়ে ওঠে। আশপাশের খনিগুলোতেও একই ধরনের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মারিকানার কাছের শহর রাসটেনবার্গে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে অ্যামপ্লেটসের শ্রমিকরা বড় ধরনের ধর্মঘটে যান। ধর্মঘট সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় গত এক সপ্তাহে রাসটেনবার্গে অন্তত সাত ব্যক্তি নিহত হয়।
অ্যামপ্লেটস জানায়, ২৮ হাজার শ্রমিক মিলে তিন সপ্তাহ ধরে 'অবৈধ ধর্মঘট' করায় তাঁদের ৭০ কোটি র্যান্ড (আট কোটি ২০ লাখ ডলার) লোকসান হয়েছে। শ্রমিকদের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে গত শুক্রবার কম্পানির পক্ষ থেকে শুনানির আয়োজন করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা তাতে যোগ দেননি। এর শাস্তি হিসেবে ওই দিনই ১২ হাজার শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়।
এক বিবৃতিতে অ্যামপ্লেটস জানায়, 'ধর্মঘটের পর থেকে খনিতে শ্রমিকদের উপস্থিতি নিয়মিতভাবেই ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা কাজে যোগ দেননি।' শ্রমিকরা অধিক হারে বেতন বৃদ্ধির দাবি থেকে সরে না আসায় কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া কয়েক শ শ্রমিক গতকাল শনিবার রাসটেনবার্গ স্টেডিয়ামে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গত শুক্রবার এক খনিশ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোকও পালন করেন তাঁরা। এর আগে গত শুক্রবার রাতে খনির কাছে তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এত বেশি শ্রমিক বাদ দেওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি আরো সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমখারি (২৩) নামের এক শ্রমিক বলেন, 'গত রাতে আমাকে জানানো হয়েছে, অবৈধ ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার কারণে আমাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক না। আমার সন্তান আছে এবং অনেক ঋণও আছে।'
খনিশ্রমিকদের সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর মাইন ওয়ার্কার্সের (এনইউএম) মুখপাত্র লেসিবা সেশোকা এক বিবৃতিতে জানান, 'শুক্রবার বিকেলে পুলিশের গুলিতে আহত সংগঠনের এক কর্মী মারা গেছেন। পুলিশ ওই শ্রমিককে তাঁর বাড়িতে ঢুকে গুলি করে।' এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করছে এনইউএম। গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যামপ্লেটসের প্রতিদ্বন্দ্বী প্লাটিনাম কম্পানি ইম্পালা ১৭ হাজার শ্রমিককে বরখাস্ত করে। যদিও নতুন চুক্তির আওতায় সপ্তাহ খানেক পরই আবার তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments