সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিতঃ চালক আজমকে দিয়ে এসব কথা বলানো হয়েছে
সাবেক এপিএসের গাড়িতে ৭৪ লাখ টাকার ব্যাপারে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে
আত্মগোপনে থাকা গাড়িচালক আজম খান যে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তা নিয়ে
এবার মুখ খুললেন দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তার দাবি, চালক আজম
খানকে কেউ শিখিয়ে পড়িয়ে দিয়ে ক্যামেরার সামনে এনে এসব কথা বলিয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।
সম্প্রতি
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাবেক এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িচালক আজম
খান রেলের অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ভার সাবেক রেলমন্ত্রী হিসেবে সুরঞ্জিত
সেনগুপ্তের ওপর চাপিয়ে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় সুরঞ্জিত এ
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আজমের খোঁজ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। অথচ তখন তো তিনি হাজির হননি। আপনাদের প্রশ্ন করতে হবে, তাহলে ছয় মাস পর কেন তিনি হাজির হলেন?”
তিনি বলেন, “আপনাদের প্রশ্ন করতে হবে, আপনারা কি আমার প্রতি, সাংবাদিকতার প্রতি সুবিচার করেছেন?”
“একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চালক আজম খান আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। একজন সহজ-সরল চালক রাজনীতির ভাষায় কথা বলছেন, এ নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন করতে হবে। একজন সহজ-সরল ড্রাইভারকে দিয়ে কথা বলানো হলো। তার সুরত পাল্টে ফেলা হয়েছে। তার বক্তব্য স্বতঃস্ফূর্ত নয়। মোটিভেটেড। তার ভাষা ও বেশভুষা দেখে মনে হয়েছে, তাকে কেউ শিখিয়ে-পড়িয়ে এনে মিডিয়ার সামনে কথা বলিয়েছে। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত।”
সুরঞ্জিত প্রশ্ন করেন, “আজম খান এতদিন কোথায় ছিল, কে তাকে আশ্রয় দিয়েছিল, কার ইন্ধনে সে ছয় মাস পর ওই একটি টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিল?”
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক এই সভাপতি বলেন, “রাজনীতিবিদদের মানহানি করার চেষ্টা আগেও হয়েছে। আমি এর প্রথম শিকার নই। এটাও ঠিক যে আমি শেষ শিকারও নই। ১/১১ এর সময়েও এ চেষ্টা করা হয়েছে।”
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ছয় মাস আগেই তো আমি রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। ছয় মাস পরে কোন পদ থেকে পদত্যাগ করবো? আমার কি পদ আছে? দফতরবিহীন মন্ত্রীর পদ থেকে কীভাবে পদত্যাগ করবো? আপনারা কি দেখেছেন আমি মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাই? আমাকে বলা হয়, উজিরে খামোখা।”
“আমার বন্ধু মওদুদ (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ) বলছেন, সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দিতে। হয়ত একসময় বলবেন দেশত্যাগ করুন।”
“আপনারা আমার সব কেড়ে নিতে পারবেন, নাগরিকত্ব কাড়তে পারবেন না। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি।”
মওদুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন মামলা আছে, তাহলে আপনারা কি পদত্যাগ করবেন?”
“এখনো যে কোনো ধরনের তদন্তে আমি রাজি আছি। জাতীয়, আন্তর্জাতিক, জাতিসংঘ, বিচার বিভাগীয়, দুদক, বিরোধীদলীয়, সংসদীয় সব ধরনের তদন্ত আমি মেনে নেব। আমি তদন্তের ভয়ে ভীত নই।”
“কিন্তু এর শেষ কোথায়? এখন ড্রাইভার বললো, পরে বিজিবির গেটকিপার বলবে আমার কাছে স্টোরি আছে। আরো পরে হয়ত অফিসার বলবে তার কাছে স্টোরি আছে?”
সুরঞ্জিত বলেন, “আমি আবারও বলছি, ৯ এপ্রিল রাতের ঘটনায় সঙ্গে আমার কোনো সং¯্রব নেই। আমি নির্দোষ।”
এক পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, “আমি তো একজন পিতা, একজন আইনজীবী, একজন স্বামী। রাজনীতির নামে আমার ছেলে ভুক্তভোগী হয়েছে। সে বিদেশে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশুনা করেছে। ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট তার। বলা হলো- রেলের দুর্নীতির টাকা তার ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ সে টেলিকম ব্যবসার আবেদন করে আমি মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আগেই।”
“আমি এই দেশেরই নাগরিক, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি যদি দোষী হই, আনসাং (প্রশংসাহীন) হয়ে মরতে আমার দ্বিধা নেই।”
সুরঞ্জিত ঘোষণা দেন, “এই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার আছে। কিছু সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদদের যেমন আমলনামা রয়েছে। তেমনি মিডিয়া মালিক ও সাংবাদিকদেরও আমলনামা রয়েছে।”
এর আগে তিনি বলেন, “আমার পরিবার ও আমার সুনাম রক্ষার জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছি। আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমাকে যেতেই হবে।”
সুরঞ্জিত সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, “একটি টিভি চ্যানেল ড্রাইভারে বক্তব্য প্রচার করেছে। দেশে ২০টি চ্যানেল রয়েছে আর কেউ তো সেটা দিলো না? যে চ্যানেলে ভিডিওটি দেখানো হয়েছে সেটা যদি খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন- এতে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখোনো হয়েছে। বর্ষকালে কীভাবে কৃষ্ণচূড়া ফুল এলো?”
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত বলে একটি পত্রিকাকে দেওয়া মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সুরঞ্জিত বলেন, “আমি সরাসরি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো না। তবে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।”
রামুর ঘটনা নিয়ে সমালোচনা করায় সেনাবাহিনী এ ধরনের ‘চক্রান্ত’ করেছে কিনা জানতে চাইলে সাবেক এই রেলমন্ত্রী সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আজমের খোঁজ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। অথচ তখন তো তিনি হাজির হননি। আপনাদের প্রশ্ন করতে হবে, তাহলে ছয় মাস পর কেন তিনি হাজির হলেন?”
তিনি বলেন, “আপনাদের প্রশ্ন করতে হবে, আপনারা কি আমার প্রতি, সাংবাদিকতার প্রতি সুবিচার করেছেন?”
“একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চালক আজম খান আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। একজন সহজ-সরল চালক রাজনীতির ভাষায় কথা বলছেন, এ নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন করতে হবে। একজন সহজ-সরল ড্রাইভারকে দিয়ে কথা বলানো হলো। তার সুরত পাল্টে ফেলা হয়েছে। তার বক্তব্য স্বতঃস্ফূর্ত নয়। মোটিভেটেড। তার ভাষা ও বেশভুষা দেখে মনে হয়েছে, তাকে কেউ শিখিয়ে-পড়িয়ে এনে মিডিয়ার সামনে কথা বলিয়েছে। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত।”
সুরঞ্জিত প্রশ্ন করেন, “আজম খান এতদিন কোথায় ছিল, কে তাকে আশ্রয় দিয়েছিল, কার ইন্ধনে সে ছয় মাস পর ওই একটি টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিল?”
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক এই সভাপতি বলেন, “রাজনীতিবিদদের মানহানি করার চেষ্টা আগেও হয়েছে। আমি এর প্রথম শিকার নই। এটাও ঠিক যে আমি শেষ শিকারও নই। ১/১১ এর সময়েও এ চেষ্টা করা হয়েছে।”
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ছয় মাস আগেই তো আমি রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। ছয় মাস পরে কোন পদ থেকে পদত্যাগ করবো? আমার কি পদ আছে? দফতরবিহীন মন্ত্রীর পদ থেকে কীভাবে পদত্যাগ করবো? আপনারা কি দেখেছেন আমি মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাই? আমাকে বলা হয়, উজিরে খামোখা।”
“আমার বন্ধু মওদুদ (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ) বলছেন, সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দিতে। হয়ত একসময় বলবেন দেশত্যাগ করুন।”
“আপনারা আমার সব কেড়ে নিতে পারবেন, নাগরিকত্ব কাড়তে পারবেন না। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি।”
মওদুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন মামলা আছে, তাহলে আপনারা কি পদত্যাগ করবেন?”
“এখনো যে কোনো ধরনের তদন্তে আমি রাজি আছি। জাতীয়, আন্তর্জাতিক, জাতিসংঘ, বিচার বিভাগীয়, দুদক, বিরোধীদলীয়, সংসদীয় সব ধরনের তদন্ত আমি মেনে নেব। আমি তদন্তের ভয়ে ভীত নই।”
“কিন্তু এর শেষ কোথায়? এখন ড্রাইভার বললো, পরে বিজিবির গেটকিপার বলবে আমার কাছে স্টোরি আছে। আরো পরে হয়ত অফিসার বলবে তার কাছে স্টোরি আছে?”
সুরঞ্জিত বলেন, “আমি আবারও বলছি, ৯ এপ্রিল রাতের ঘটনায় সঙ্গে আমার কোনো সং¯্রব নেই। আমি নির্দোষ।”
এক পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, “আমি তো একজন পিতা, একজন আইনজীবী, একজন স্বামী। রাজনীতির নামে আমার ছেলে ভুক্তভোগী হয়েছে। সে বিদেশে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশুনা করেছে। ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট তার। বলা হলো- রেলের দুর্নীতির টাকা তার ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ সে টেলিকম ব্যবসার আবেদন করে আমি মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আগেই।”
“আমি এই দেশেরই নাগরিক, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি যদি দোষী হই, আনসাং (প্রশংসাহীন) হয়ে মরতে আমার দ্বিধা নেই।”
সুরঞ্জিত ঘোষণা দেন, “এই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার আছে। কিছু সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদদের যেমন আমলনামা রয়েছে। তেমনি মিডিয়া মালিক ও সাংবাদিকদেরও আমলনামা রয়েছে।”
এর আগে তিনি বলেন, “আমার পরিবার ও আমার সুনাম রক্ষার জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছি। আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমাকে যেতেই হবে।”
সুরঞ্জিত সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, “একটি টিভি চ্যানেল ড্রাইভারে বক্তব্য প্রচার করেছে। দেশে ২০টি চ্যানেল রয়েছে আর কেউ তো সেটা দিলো না? যে চ্যানেলে ভিডিওটি দেখানো হয়েছে সেটা যদি খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন- এতে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখোনো হয়েছে। বর্ষকালে কীভাবে কৃষ্ণচূড়া ফুল এলো?”
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত বলে একটি পত্রিকাকে দেওয়া মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সুরঞ্জিত বলেন, “আমি সরাসরি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো না। তবে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।”
রামুর ঘটনা নিয়ে সমালোচনা করায় সেনাবাহিনী এ ধরনের ‘চক্রান্ত’ করেছে কিনা জানতে চাইলে সাবেক এই রেলমন্ত্রী সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
No comments