আয়োজন- পূর্ণাঙ্গ হোক হিন্দু বিবাহ আইন by সুচিত্রা সরকার

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে। নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করা। এত দিন ধরে এমনই অসহায় হিন্দু নারীরা। এসব নির্যাতনের কোনো প্রতিকার নেই তাঁদের জন্য। কারণ, হিন্দু বিয়ের কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন নেই। হিন্দু বিবাহ আইন-২০১২-তে বিয়ে নিবন্ধনকে ঐচ্ছিক করা হয়েছে।


কিন্তু এই নিবন্ধন যেন বাধ্যতামূলক করা হয়। ৩ অক্টোবরের সভায় এসব কথাই উঠে আসে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ৩ অক্টোবর ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘হিন্দু বিবাহ আইনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘হিন্দু বিবাহ আইনের প্রয়োজন আছে কি না, এর জনমত যাচাইয়ের জন্যই এ গবেষণা করা হয়। দেশের নয়টি জেলার ৯৩৬ জন হিন্দু নরনারীর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় ৭৫৬ জন নারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিয়ে নিবন্ধন আইন চান। বিয়ে নিবন্ধনের মাধ্যমে না হওয়ায় জোরালোভাবে তাঁরা কিছু বলতে পারেন না।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারীনেত্রী মালেকা বেগম বলেন, ‘বহুদিনের দাবি পূর্ণাঙ্গ হিন্দু বিবাহ আইন। কিন্তু সরকার সেটি না করে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন-২০১২ করল, যেখানে বিয়ে নিবন্ধনকে ঐচ্ছিক করা হয়েছে। আইনটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হওয়া জরুরি।’
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘আমরা অনেক নারী সংগঠনকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ হিন্দু বিবাহ আইনের দাবি জানিয়ে আসছি। সাক্ষর অভিযানসহ প্রান্তিক পর্যায়ে অনেক কর্মসূচিও পালন করেছি। সরকার ইতিমধ্যে একটি আইন করেছে। কিন্তু আইনটি তৈরি করার আগে কোনো নারী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেনি। ফলাফলে এই আইনে নারীর অধিকারের বিষয়টি তেমনভাবে উঠে আসেনি। তাই আমরা দাবি করছি পূর্ণাঙ্গ হিন্দু বিবাহ আইন বাস্তবায়নের।’

No comments

Powered by Blogger.