নিষেধ না মেনে সাগরে ধরা হয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ by এম জসীম উদ্দীন ও আমিন সোহেল
ইলিশের প্রজননকাল নির্বিঘ্ন করতে সরকারের বেঁধে দেওয়া ১১ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দক্ষিণ উপকূলের নদ-নদীতে ইলিশ শিকার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গভীর বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরেছেন জেলেরা। এতে ইলিশের উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপকূলের প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীরা নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে কয়েক শ ট্রলার গভীর সাগরে পাঠান। আর এসব ট্রলারে ধরা পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে ট্রলারগুলো উপকূলের মৎস্য বন্দরগুলোয় ফিরে আসতে শুরু করে। চার দিনে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ও পটুয়াখালীর মহিপুর, আলীপুর, বাগেরহাটের শরণখোলা, পাড়েরহাট, খুলনাসহ অন্যান্য মৎস্য বন্দরগুলোয় কয়েক শ ইলিশবোঝাই ট্রলার ফিরে আসে।
৮ অক্টোবর বিকেলে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ১২ থেকে ১৫টি ইলিশবোঝাই ট্রলার ঘাটে নোঙর করে আছে। ওই সব ট্রলার থেকে শ্রমিকেরা ইলিশ নামিয়ে বিক্রির জন্য স্তূপ করছিলেন। এগুলোর চোখ ও শরীর লালচে বর্ণের হয়ে গেছে। অনেক ইলিশ পচেও গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আড়তদার জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় ধরা পড়া এসব মাছ অনেক দিন বরফ দিয়ে রাখায় এদের চেহারা এমন হয়েছে। তাই ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকার মণ এখন ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মীর হুমায়ুন কবির জানান, তিন দিনে (৬ থেকে ৮ অক্টোবর) এই কেন্দ্রে ৭৬টি ট্রলার নোঙর করে এবং এসব ট্রলার থেকে এক লাখ ৩৩ হাজার ৬৩১ কেজি মাছ বিক্রি হয়। জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘গত তিন দিনে বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশবোঝাই কমপক্ষে ১০০টি ট্রলার খুলনা ও বাগেরহাটে মাছ বিক্রি করেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।’
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকার ইলিশের প্রজননকাল নির্বিঘ্ন করতে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিন সারা দেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞার ১১ দিনে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলায় অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ৪৭১ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ সময় প্রায় ২৯ দশমিক ৫৫৪ মেট্রিক টন ইলিশ ও ৬২ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের সাগরে ব্যাপক হারে ইলিশ ধরার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর উপপরিচালক এ কে এম আমিনুল হক। তিনি বলেন, ‘এসব ট্রলার আটকানোর মতো আইনি কোনো পথ ছিল না। গভীর সাগরে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ব্যাপারে আমাদের কোনো বাহন ও সহায়তাও দেওয়া হয়নি। তবে গত বছরের চেয়ে এবারের অভিযান অনেকটা সফল হয়েছে।’
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সুলতান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অসংখ্য ট্রলার এই ১১ দিন সাগরে অবস্থান করে প্রচুর ইলিশ মেরেছে। এটা অবশ্যই আমাদের ইলিশের উৎপাদন ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। কেননা, এই সময়ে ইলিশগুলো নিষিক্ত হতে ও ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নদীতে চলে আসে। ফলে এই সময়ে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করতে না পারলে বেঘোরে অসংখ্য ইলিশ মারা পড়বে। জেলেরা সেই সুযোগটাই নিয়েছেন এবার।’
৮ অক্টোবর বিকেলে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ১২ থেকে ১৫টি ইলিশবোঝাই ট্রলার ঘাটে নোঙর করে আছে। ওই সব ট্রলার থেকে শ্রমিকেরা ইলিশ নামিয়ে বিক্রির জন্য স্তূপ করছিলেন। এগুলোর চোখ ও শরীর লালচে বর্ণের হয়ে গেছে। অনেক ইলিশ পচেও গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আড়তদার জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় ধরা পড়া এসব মাছ অনেক দিন বরফ দিয়ে রাখায় এদের চেহারা এমন হয়েছে। তাই ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকার মণ এখন ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মীর হুমায়ুন কবির জানান, তিন দিনে (৬ থেকে ৮ অক্টোবর) এই কেন্দ্রে ৭৬টি ট্রলার নোঙর করে এবং এসব ট্রলার থেকে এক লাখ ৩৩ হাজার ৬৩১ কেজি মাছ বিক্রি হয়। জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘গত তিন দিনে বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশবোঝাই কমপক্ষে ১০০টি ট্রলার খুলনা ও বাগেরহাটে মাছ বিক্রি করেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।’
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকার ইলিশের প্রজননকাল নির্বিঘ্ন করতে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১১ দিন সারা দেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞার ১১ দিনে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলায় অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ৪৭১ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ সময় প্রায় ২৯ দশমিক ৫৫৪ মেট্রিক টন ইলিশ ও ৬২ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের সাগরে ব্যাপক হারে ইলিশ ধরার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর উপপরিচালক এ কে এম আমিনুল হক। তিনি বলেন, ‘এসব ট্রলার আটকানোর মতো আইনি কোনো পথ ছিল না। গভীর সাগরে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ব্যাপারে আমাদের কোনো বাহন ও সহায়তাও দেওয়া হয়নি। তবে গত বছরের চেয়ে এবারের অভিযান অনেকটা সফল হয়েছে।’
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সুলতান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অসংখ্য ট্রলার এই ১১ দিন সাগরে অবস্থান করে প্রচুর ইলিশ মেরেছে। এটা অবশ্যই আমাদের ইলিশের উৎপাদন ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। কেননা, এই সময়ে ইলিশগুলো নিষিক্ত হতে ও ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নদীতে চলে আসে। ফলে এই সময়ে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করতে না পারলে বেঘোরে অসংখ্য ইলিশ মারা পড়বে। জেলেরা সেই সুযোগটাই নিয়েছেন এবার।’
No comments