মোস্তফা কামাল আইসিসির সহসভাপতি-দুই বছর পর হবেন সভাপতি
অনেক দিন ধরেই আইসিসির সহসভাপতি পদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামালের নাম আলোচনায় ছিল। তবে নানা ঘটনায় সে আলোচনা স্তিমিতও হয়ে পড়েছিল। কিন্তু গতকাল কলম্বোয় অনুষ্ঠিত আইসিসির বোর্ড সভার দ্বিতীয় দিনে সহসভাপতি পদে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছেন কামাল।
পরবর্তী দুই বছর এ দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালে এক বছরের জন্য আইসিসির সভাপতি পদও অলংকৃত করবেন তিনি। কিন্তু আইসিসির গঠনতন্ত্রে পরিবর্তনের কারণে সেই পদটা তখন হয়ে যাবে আলংকারিক। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে দুই বছর মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হবেন একজন চেয়ারম্যান, যিনি এখনকার সভাপতির মতো ভোগ করবেন যাবতীয় নির্বাহী ক্ষমতা। সেটা যাই হোক, বাংলাদেশের ক্রিকেটের দৃষ্টিকোণ থেকে কামালের সহসভাপতি হওয়া এবং সভাপতি হতে যাওয়া অবশ্যই একটা গৌরবের ব্যাপার।
আইসিসির এই পদে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, 'এটা শুধু আমার একার না, এটা ক্রিকেট অনুরক্ত পুরো জাতির জন্য গর্বের বিষয়। আইসিসিকে এবং এর সদস্য দেশগুলোকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।' আইসিসির উঁচু পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য অনেককে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পালায় প্রথমেই তিনি স্মরণ করেছেন বাংলাদেশ সরকারকে, 'বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ। সরকারের পক্ষ থেকে আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।' এর পরই কামাল ধন্যবাদ জানান মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে, 'যৌথ মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরুর দিন থেকে দারুণ সহযোগিতার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।' কামাল কৃতজ্ঞ আরো অনেকের প্রতিও, 'বিসিবি পরিচালক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের অকুণ্ঠ সমর্থন আর অক্লান্ত পরিশ্রম আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁদেরও ধন্যবাদ।'
জুন মাসেই আইসিসির সহসভাপতি পদে মোস্তফা কামালের মনোনীত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বার্ষিক সাধারণ সভায় আইসিসির গঠনতন্ত্র সংশোধনী অনুমোদনের কারণে পিছিয়ে যায় বিষয়টি। উল্টো গঠনতন্ত্রের নানা সংশোধনীর ফাঁদে একসময় তাঁর সহসভাপতি পদে আসীন হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়। তার ওপর পাকিস্তান সফরকে ঘিরে সৃষ্ট জটিলতায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট রাজনীতিতেও পিছিয়ে পড়েছিলেন কামাল। তবে সব সংশয় মুছে গেছে গতকালের সভায়। জানা গেছে, সহসভাপতি পদে মনোনয়নের আগে আইসিসির বোর্ড সভায় একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন কামাল, যার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, এই পদে থেকে ক্রিকেট নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ ভাবনা। একক প্রার্থিতা থাকলেও ভোটাভুটির রীতি আছে আইসিসির শীর্ষ পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে। ভোট হলে টেস্ট খেলিয়ে দেশের অন্তত সাতটি ভোট পেতে হয় যেকোনো প্রার্থীকে। তবে শেষ এই বাধাও নির্বিঘ্নে পেরিয়েছেন কামাল। সম্ভাব্য বিরোধীরাও সহসভাপতি পদে তাঁর পক্ষেই ভোট দিয়েছেন বলে গতকাল জানান বিসিবি পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, 'সর্বসম্মতিক্রমে সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট।' তার মানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের ভোটগুলোও পড়েছে কামালের বাক্সে।
এদিকে আইসিসির সহসভাপতি পদ গ্রহণের আগে বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়তে হবে মোস্তফা কামালকে। এই আনুষ্ঠানিকতা কবে শেষ করবেন কামাল, গতকাল তা জানাতে পারেননি জালাল ইউনুস, 'প্রেসিডেন্ট দেশে ফিরবেন বৃহস্পতিবার সকালে। তখন জানা যাবে।' উল্লেখ্য, বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে নভেম্বরে। তাই নির্বাচন আসন্ন। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে সভাপতি পদেও নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তা মেনে পরবর্তী নির্বাচন হলে বিসিবিও পেয়ে যাবে নির্বাচিত সভাপতি- ক্রিকেট উন্নয়নে যা অত্যাবশ্যকীয় মনে করেন সবাই।
আইসিসির এই পদে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, 'এটা শুধু আমার একার না, এটা ক্রিকেট অনুরক্ত পুরো জাতির জন্য গর্বের বিষয়। আইসিসিকে এবং এর সদস্য দেশগুলোকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।' আইসিসির উঁচু পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য অনেককে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পালায় প্রথমেই তিনি স্মরণ করেছেন বাংলাদেশ সরকারকে, 'বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ। সরকারের পক্ষ থেকে আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।' এর পরই কামাল ধন্যবাদ জানান মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে, 'যৌথ মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরুর দিন থেকে দারুণ সহযোগিতার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।' কামাল কৃতজ্ঞ আরো অনেকের প্রতিও, 'বিসিবি পরিচালক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের অকুণ্ঠ সমর্থন আর অক্লান্ত পরিশ্রম আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁদেরও ধন্যবাদ।'
জুন মাসেই আইসিসির সহসভাপতি পদে মোস্তফা কামালের মনোনীত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বার্ষিক সাধারণ সভায় আইসিসির গঠনতন্ত্র সংশোধনী অনুমোদনের কারণে পিছিয়ে যায় বিষয়টি। উল্টো গঠনতন্ত্রের নানা সংশোধনীর ফাঁদে একসময় তাঁর সহসভাপতি পদে আসীন হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়। তার ওপর পাকিস্তান সফরকে ঘিরে সৃষ্ট জটিলতায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট রাজনীতিতেও পিছিয়ে পড়েছিলেন কামাল। তবে সব সংশয় মুছে গেছে গতকালের সভায়। জানা গেছে, সহসভাপতি পদে মনোনয়নের আগে আইসিসির বোর্ড সভায় একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন কামাল, যার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, এই পদে থেকে ক্রিকেট নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ ভাবনা। একক প্রার্থিতা থাকলেও ভোটাভুটির রীতি আছে আইসিসির শীর্ষ পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে। ভোট হলে টেস্ট খেলিয়ে দেশের অন্তত সাতটি ভোট পেতে হয় যেকোনো প্রার্থীকে। তবে শেষ এই বাধাও নির্বিঘ্নে পেরিয়েছেন কামাল। সম্ভাব্য বিরোধীরাও সহসভাপতি পদে তাঁর পক্ষেই ভোট দিয়েছেন বলে গতকাল জানান বিসিবি পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, 'সর্বসম্মতিক্রমে সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট।' তার মানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের ভোটগুলোও পড়েছে কামালের বাক্সে।
এদিকে আইসিসির সহসভাপতি পদ গ্রহণের আগে বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়তে হবে মোস্তফা কামালকে। এই আনুষ্ঠানিকতা কবে শেষ করবেন কামাল, গতকাল তা জানাতে পারেননি জালাল ইউনুস, 'প্রেসিডেন্ট দেশে ফিরবেন বৃহস্পতিবার সকালে। তখন জানা যাবে।' উল্লেখ্য, বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে নভেম্বরে। তাই নির্বাচন আসন্ন। সংশোধিত গঠনতন্ত্রে সভাপতি পদেও নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তা মেনে পরবর্তী নির্বাচন হলে বিসিবিও পেয়ে যাবে নির্বাচিত সভাপতি- ক্রিকেট উন্নয়নে যা অত্যাবশ্যকীয় মনে করেন সবাই।
No comments