ক্রিকেট-তারকা থেকে রাজনীতির নির্ণায়ক?
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান খান দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে একেবারে নতুন নন। তবে বিভিন্ন কারণে তাঁকে নিয়ে সম্প্রতি নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ইমরানের হাতে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা বিশ্লেষকেরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
পাকিস্তানে চালকবিহীন মার্কিন বিমানের (ড্রোন) হামলার প্রতিবাদে ইমরান খানের ডাকে দেশটির হাজার হাজার মানুষ দুই দিনব্যাপী পদযাত্রায় অংশ নেয়। রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের প্রান্তবর্তী উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও সেনাবাহিনী ওই পদযাত্রায় বাধা দেয়। দেশের সবচেয়ে গোলযোগপূর্ণ ওই এলাকায় পদযাত্রা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে মূলধারার রাজনীতিকদের মধ্যেও দ্বিধা কাজ করে। তাই ইমরানের নেতৃত্বে ওই পদযাত্রায় বিপুল জনসমাগমের বিষয়টি দেশে-বিদেশে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে তাঁর দৃঢ়ব্যক্তিত্ব যেমন দেশকে স্মরণীয় সাফল্য এনে দিয়েছিল, তেমনি রাজনীতির ময়দানেও তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে জনগণের একটি অংশ।
উদীয়মান রাজনীতিক ইমরান খান তাঁর দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও শান্তির আহ্বানের জন্য গত বছর আলোচিত হন। তাঁর আহ্বানে দেশের বড় দুই শহর করাচি ও লাহোরে বিশাল সমাবেশ হয়। পাকিস্তানের রাজনীতি মূলত নিয়ন্ত্রণ করে সামন্তবাদী অভিজাত শ্রেণী ও শিল্পপতি গোষ্ঠী। সেই হিসেবে দেশটির রাজনীতিতে ইমরান একটি ব্যতিক্রমী চরিত্র। তিনি ইতিমধ্যে মধ্যবিত্ত নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়েছেন। তবে বিশ্লেষকের মনে করেন, এই মুহূর্তে সংবাদপত্রের শিরোনাম হলেও ইমরান খান আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন সম্ভাবনা আপাতত নেই। কারণ, সাংগঠনিকভাবে পিটিআই মূলধারার দলগুলো থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনের পর তিনি দেশটির রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়কে পরিণত হবেন।
জঙ্গি দমনের নামে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত ড্রোন হামলায় স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ। মার্কিনবিরোধী এই জনমতকে পুঁজি করেই বর্তমানে অগ্রসর হচ্ছেন ইমরান। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) একধরনের নির্বাচনী প্রচারও হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই বলেন, এ রকম কর্মসূচির মাধ্যমে কোনো বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচিত হওয়া যায়। তবে ইমরান নির্ভীক ও সাহসী একজন মানুষ। তিনি যা বলেন, তা-ই করেন। অন্য রাজনীতিকদের বর্তমান নিষ্ক্রিয় অবস্থায় সম্প্রতি ইমরানের বিভিন্ন কর্মসূচি তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়াতে নিঃসন্দেহে সহায়ক হবে। তা ছাড়া বর্তমান এবং আগামী নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। এএফপি।
উদীয়মান রাজনীতিক ইমরান খান তাঁর দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও শান্তির আহ্বানের জন্য গত বছর আলোচিত হন। তাঁর আহ্বানে দেশের বড় দুই শহর করাচি ও লাহোরে বিশাল সমাবেশ হয়। পাকিস্তানের রাজনীতি মূলত নিয়ন্ত্রণ করে সামন্তবাদী অভিজাত শ্রেণী ও শিল্পপতি গোষ্ঠী। সেই হিসেবে দেশটির রাজনীতিতে ইমরান একটি ব্যতিক্রমী চরিত্র। তিনি ইতিমধ্যে মধ্যবিত্ত নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়েছেন। তবে বিশ্লেষকের মনে করেন, এই মুহূর্তে সংবাদপত্রের শিরোনাম হলেও ইমরান খান আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন সম্ভাবনা আপাতত নেই। কারণ, সাংগঠনিকভাবে পিটিআই মূলধারার দলগুলো থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনের পর তিনি দেশটির রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়কে পরিণত হবেন।
জঙ্গি দমনের নামে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত ড্রোন হামলায় স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ। মার্কিনবিরোধী এই জনমতকে পুঁজি করেই বর্তমানে অগ্রসর হচ্ছেন ইমরান। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) একধরনের নির্বাচনী প্রচারও হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক রহিমুল্লাহ ইউসুফজাই বলেন, এ রকম কর্মসূচির মাধ্যমে কোনো বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচিত হওয়া যায়। তবে ইমরান নির্ভীক ও সাহসী একজন মানুষ। তিনি যা বলেন, তা-ই করেন। অন্য রাজনীতিকদের বর্তমান নিষ্ক্রিয় অবস্থায় সম্প্রতি ইমরানের বিভিন্ন কর্মসূচি তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়াতে নিঃসন্দেহে সহায়ক হবে। তা ছাড়া বর্তমান এবং আগামী নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। এএফপি।
No comments