নীলফামারী ও ধুনটে নদীভাঙনে ৬৫ পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন
নীলফামারী সদরের উত্তরা শশী জোদচুকানী গ্রামে নদীভাঙনে গত এক সপ্তাহে ১৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একই সময় বগুড়ার ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ী গ্রামের ৫০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।
নীলফামারী সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের ওই গ্রামে গত রোববার সরেজমিনে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুড়িখোড়া ও যমুনেশ্বরী নদী দুটি জোদচুকানী গ্রামের কাছে এসে মিলিত হয়েছে। নদী দুটির কারণে প্রতি বছর গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, ‘নদীর ভাঙনে ঘরবাড়ি সরাইছি। এখন ভিটাটাও নদীত গেইছে।’
আফজন বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘হামাক অনুদান লাইগবে না। হামার নদী সারে দিলে হইবে।’ পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওয়াহেদুল ইসলাম জানান, ওই গ্রামের কাছে দুটি নদীর সঙ্গমস্থল। পানির একটু চাপ বাড়লে ভাঙন শুরু হয়। সেখানে বেশির ভাগ দিনমজুর পরিবার বসবাস করে। তিনি বলেন, ‘গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তখন আমি বলেছিলাম, ওই গ্রামের কাছে ৫০০ মিটার নদী খনন করে নদী আগের গতিপথে নেওয়া গেলে মানুষজন রক্ষা পাবে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড আজ অবধি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত এক সপ্তাহে সেখানে ১৫টি পরিবার গৃহহারা হয়েছে।’
নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছর ওই এলাকা পরিদর্শন করে বুড়িখোড়া নদীর তীর প্রতিরক্ষার জন্য একটি প্রকল্প দিয়েছি। সেটি অনুমোদন হলে কাজটি করা যাবে।’
বগুড়ার ধুনটে বাঙ্গালী নদীর পশ্চিম পাশে সদর ইউনিয়নের বথুয়াবাড়ী নামে একটি গ্রাম রয়েছে। ওই গ্রামে প্রায় ৫০০ পরিবার নদীর পাশে বসবাস করে। কয়েক দিন আগে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এলাকা প্লাবিত হয়। পানি কমে যাওয়ায় এখন নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভাঙনের কবলে পড়ে গত সাত দিনে প্রায় ৫০টি পরিবারের বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। শতাধিক পরিবার তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। গ্রামের প্রভাত কুমার বলেন, ‘পাঁচ শতক বসতভিটার ওপর হেতদিন বাড়িঘর হইরা এহেনে বসবাস হরছিলাম। হঠাৎ হইরা কয়েক দিনের মধ্যে বসতভিটা ভাইঙ্গা নদীর মধ্যে চইলা গেছে। এহন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় লইছি।’
ধুনট সদর ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে পরিষদের কোনো বরাদ্দ নেই। এ কারণে আমি সংসদ সদস্যের কাছে আবেদন করেছি।’ বগুড়া পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, ‘বাঙ্গালী নদীর ভাঙন রোধে প্রকল্প হাতে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ওই প্রকল্পের জন্য এখনো কোনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।’
আফজন বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘হামাক অনুদান লাইগবে না। হামার নদী সারে দিলে হইবে।’ পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওয়াহেদুল ইসলাম জানান, ওই গ্রামের কাছে দুটি নদীর সঙ্গমস্থল। পানির একটু চাপ বাড়লে ভাঙন শুরু হয়। সেখানে বেশির ভাগ দিনমজুর পরিবার বসবাস করে। তিনি বলেন, ‘গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তখন আমি বলেছিলাম, ওই গ্রামের কাছে ৫০০ মিটার নদী খনন করে নদী আগের গতিপথে নেওয়া গেলে মানুষজন রক্ষা পাবে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড আজ অবধি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত এক সপ্তাহে সেখানে ১৫টি পরিবার গৃহহারা হয়েছে।’
নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছর ওই এলাকা পরিদর্শন করে বুড়িখোড়া নদীর তীর প্রতিরক্ষার জন্য একটি প্রকল্প দিয়েছি। সেটি অনুমোদন হলে কাজটি করা যাবে।’
বগুড়ার ধুনটে বাঙ্গালী নদীর পশ্চিম পাশে সদর ইউনিয়নের বথুয়াবাড়ী নামে একটি গ্রাম রয়েছে। ওই গ্রামে প্রায় ৫০০ পরিবার নদীর পাশে বসবাস করে। কয়েক দিন আগে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এলাকা প্লাবিত হয়। পানি কমে যাওয়ায় এখন নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভাঙনের কবলে পড়ে গত সাত দিনে প্রায় ৫০টি পরিবারের বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। শতাধিক পরিবার তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। গ্রামের প্রভাত কুমার বলেন, ‘পাঁচ শতক বসতভিটার ওপর হেতদিন বাড়িঘর হইরা এহেনে বসবাস হরছিলাম। হঠাৎ হইরা কয়েক দিনের মধ্যে বসতভিটা ভাইঙ্গা নদীর মধ্যে চইলা গেছে। এহন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় লইছি।’
ধুনট সদর ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে পরিষদের কোনো বরাদ্দ নেই। এ কারণে আমি সংসদ সদস্যের কাছে আবেদন করেছি।’ বগুড়া পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, ‘বাঙ্গালী নদীর ভাঙন রোধে প্রকল্প হাতে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ওই প্রকল্পের জন্য এখনো কোনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।’
No comments