জব্দ হিসাব থেকে টাকা চায় এনবিআর- ডেসটিনির ১১০ কোটি টাকা কর ফাঁকি by জাহাঙ্গীর শাহ
ডেসটিনি গ্রুপের জব্দ ব্যাংক হিসাব থেকে ফাঁকি দেওয়া করের অর্থ চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জব্দ ব্যাংক হিসাব থেকে করের অর্থ সমন্বয় করতে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবে এনবিআর। ডেসটিনি গ্রুপের কাছে এ পর্যন্ত প্রায় ১১০ কোটি টাকা কর ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে এনবিআর।
ডেসটিনির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির তদন্ত করছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। এর মধ্যে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে সিআইসি। এই প্রতিষ্ঠানটির ৭৮ কোটি টাকা আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ফাঁকিকৃত অর্থ দিতে নোটিশ জারি করে এনবিআর। সেই নোটিশের ভিত্তিতে একই মাসে তারা নিজেদের জব্দ ব্যাংক হিসাব থেকে এনবিআরের অনুকূলে ৫০ কোটি টাকার চেক দেয়। এরপর এনবিআর সেই চেকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনাপত্তিপত্র নেয়। কিন্তু ডেসটিনির সব ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক ওই চেকের বিপরীতে নগদায়নের ছাড়পত্র দেয়নি।
এনবিআরের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ছয় হাজার ২৯৩ একর জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৯৪ লাখ গাছ লাগিয়েছে ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন। প্রতি ১০টি গাছের বিপরীতে ছয় হাজার টাকা করে নিয়েছে গ্রাহকের কাছ থেকে। সেই হিসেবে ৫৬৪ কোটি টাকা আয় করার কথা প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু বার্ষিক আয়কর বিবরণীতে আয় অনেক কম দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকার মূসক ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে। এনবিআরে জমা দেওয়া এই প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের বিবরণীর সঙ্গে ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের এই গরমিল খুঁজে পেয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও তদারকি) এম এ কাদের সরকার গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় ডেসটিনির ফাঁকি দেওয়া টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। আয়কর বিভাগের কাজ হলো টাকা আদায় করা। তাই জব্দ ব্যাংক হিসাব থেকে কীভাবে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা যায় তা নিয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের রাজস্বসংক্রান্ত অনিয়ম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য এনবিআর সদস্য (নিরীক্ষা, পরিদর্শন ও তদন্ত) মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ডেসটিনির সন্দেহজনক লেনদেন ও অর্থ পাচার নিয়ে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) একযোগে কাজ করছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব তল্লাশি করে দেখা গেছে, সন্দেহজনক বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে। মূলত যেসব ব্যাংক হিসাব থেকে ডেসটিনির গ্রাহকদের লভ্যাংশ দেওয়ার কথা সেসব হিসাবেই লেনদেন বেশি হয়েছে। বিদেশেও অর্থ চলে গেছে।
গত আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ফাঁকিকৃত অর্থ দিতে নোটিশ জারি করে এনবিআর। সেই নোটিশের ভিত্তিতে একই মাসে তারা নিজেদের জব্দ ব্যাংক হিসাব থেকে এনবিআরের অনুকূলে ৫০ কোটি টাকার চেক দেয়। এরপর এনবিআর সেই চেকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনাপত্তিপত্র নেয়। কিন্তু ডেসটিনির সব ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক ওই চেকের বিপরীতে নগদায়নের ছাড়পত্র দেয়নি।
এনবিআরের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ছয় হাজার ২৯৩ একর জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৯৪ লাখ গাছ লাগিয়েছে ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন। প্রতি ১০টি গাছের বিপরীতে ছয় হাজার টাকা করে নিয়েছে গ্রাহকের কাছ থেকে। সেই হিসেবে ৫৬৪ কোটি টাকা আয় করার কথা প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু বার্ষিক আয়কর বিবরণীতে আয় অনেক কম দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকার মূসক ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে। এনবিআরে জমা দেওয়া এই প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের বিবরণীর সঙ্গে ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের এই গরমিল খুঁজে পেয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও তদারকি) এম এ কাদের সরকার গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় ডেসটিনির ফাঁকি দেওয়া টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। আয়কর বিভাগের কাজ হলো টাকা আদায় করা। তাই জব্দ ব্যাংক হিসাব থেকে কীভাবে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা যায় তা নিয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের রাজস্বসংক্রান্ত অনিয়ম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য এনবিআর সদস্য (নিরীক্ষা, পরিদর্শন ও তদন্ত) মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ডেসটিনির সন্দেহজনক লেনদেন ও অর্থ পাচার নিয়ে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) একযোগে কাজ করছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব তল্লাশি করে দেখা গেছে, সন্দেহজনক বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে। মূলত যেসব ব্যাংক হিসাব থেকে ডেসটিনির গ্রাহকদের লভ্যাংশ দেওয়ার কথা সেসব হিসাবেই লেনদেন বেশি হয়েছে। বিদেশেও অর্থ চলে গেছে।
No comments