মেলা নিয়ে মিলছে সবাই by সরোয়ার মোর্শেদ
১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাতটা। তখনো ঘুমে। মুঠোফোনটা বেজে উঠল। ধরতেই শুরু হলো একের পর এক প্রশ্ন। ‘চট্টগ্রাম থেকে সেতু বলছি। ভাইয়া, আমি বন্ধুসভার সদস্য হতে চাই। কীভাবে হব? আমরা কি বন্ধুমেলায় যেতে পারব? বন্ধুমেলায় অংশ নিতে হলে কী কী করতে হবে?’ আরও কত কী...।
চোখ মুছতে মুছতে উত্তরগুলো দিলাম। বুঝতে বাকি রইল না বন্ধুসভার পাতায় পাবনা বন্ধুমেলার খবরটা ছাপা হয়েছে। দ্বিতীয় ফোনটি এল ঢাকা থেকে। আবারও একই প্রশ্ন। তারপর একের পর এক ফোন।
সেই থেকে শুরু উন্মাদনার। এর পর থেকে হই-হুল্লোড় লেগেই আছে। বন্ধুমেলা-২০১২ সফল করতে পাবনা বন্ধুসভায় চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা, প্রস্তুতি। আগত বন্ধুদের হাতে একটি সুন্দর স্মারকগ্রন্থ তুলে দিতে দিনরাত কাজ করছেন উপদেষ্টা গোপাল সান্যাল, সভাপতি স্বাধীন মজুমদার, সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও কার্যকরী সদস্য মাহমুদুল হাসান। ব্যানার, ফেস্টুন ও কার্ড তৈরির ভারও তাঁদের ওপর। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের দায়িত্ব নিয়েছেন চাঁদনী ও তমা। সংস্কৃতি সম্পাদক জিনিয়া আফরোজের নির্দেশনায় চলছে নাচের মহড়া। লিমন, সাদিয়া, হাসান, শিশির, আমিনুল, নেহা, প্রশান্ত, ইউসুফ, রাসেদ, রানী ও শাওন—ওরা নাচ না জানলেও অক্লান্ত পরিশ্রম করছে সুন্দর কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। রাসেল ও মাসুম ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মিলনায়তন ও তার চারপাশ সাজাতে। বন্ধুরা কী খাবে, কে রান্না করবে—এ নিয়ে চরম অস্থিরতায় সঞ্জয়, শারমিন ও জয়। আবির, রাকিব, শান্ত, রাহাত, শোভন, মুহিব, আবেদ, নাজমুল, তামান্না, শিল্পী, সেতু, নিলা, খোকন, মিজান ওদের তো ঘুমই নেই। সব সময় প্রশ্ন, ‘আর কী কাজ বাকি? কী করতে হবে?’ বন্ধুদের ক্লান্তি দূর করতে হাসির খোরাক জোগাচ্ছেন শামসুন্নাহার বর্ণা ও স্বাধীন মজুমদার।
আর সব উন্মাদনার মূলে রয়েছেন রওশন ভাই। যিনি ঢাকা থেকে সর্বক্ষণ তদারক করছেন সব কর্মকাণ্ড। পাবনা বন্ধুসভার বন্ধুদের মতো তিনিও ব্যস্ত সময় পার করছেন বন্ধুমেলা নিয়ে। কোন কোন বন্ধুসভা আসবে, কীভাবে আসবে, কীভাবে যাবে, কে কী করবে, অতিথি কারা থাকবে—সব চিন্তা তাঁর মাথায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবার খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। ব্যস্ত রয়েছেন ঢাকা বন্ধুসভার সাইফুলও।
সব মিলিয়ে যেন প্রস্তুতির শেষ নেই। কোনো কিছুতেই পূর্ণতা আসছে না বন্ধুদের মনে। অপেক্ষা সেই মিলনমেলার। দিন যত এগিয়ে আসছে, অস্থিরতার সঙ্গে তত বাড়ছে উন্মাদনা।
পাবনা বন্ধুসভা
সেই থেকে শুরু উন্মাদনার। এর পর থেকে হই-হুল্লোড় লেগেই আছে। বন্ধুমেলা-২০১২ সফল করতে পাবনা বন্ধুসভায় চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা, প্রস্তুতি। আগত বন্ধুদের হাতে একটি সুন্দর স্মারকগ্রন্থ তুলে দিতে দিনরাত কাজ করছেন উপদেষ্টা গোপাল সান্যাল, সভাপতি স্বাধীন মজুমদার, সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও কার্যকরী সদস্য মাহমুদুল হাসান। ব্যানার, ফেস্টুন ও কার্ড তৈরির ভারও তাঁদের ওপর। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের দায়িত্ব নিয়েছেন চাঁদনী ও তমা। সংস্কৃতি সম্পাদক জিনিয়া আফরোজের নির্দেশনায় চলছে নাচের মহড়া। লিমন, সাদিয়া, হাসান, শিশির, আমিনুল, নেহা, প্রশান্ত, ইউসুফ, রাসেদ, রানী ও শাওন—ওরা নাচ না জানলেও অক্লান্ত পরিশ্রম করছে সুন্দর কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। রাসেল ও মাসুম ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মিলনায়তন ও তার চারপাশ সাজাতে। বন্ধুরা কী খাবে, কে রান্না করবে—এ নিয়ে চরম অস্থিরতায় সঞ্জয়, শারমিন ও জয়। আবির, রাকিব, শান্ত, রাহাত, শোভন, মুহিব, আবেদ, নাজমুল, তামান্না, শিল্পী, সেতু, নিলা, খোকন, মিজান ওদের তো ঘুমই নেই। সব সময় প্রশ্ন, ‘আর কী কাজ বাকি? কী করতে হবে?’ বন্ধুদের ক্লান্তি দূর করতে হাসির খোরাক জোগাচ্ছেন শামসুন্নাহার বর্ণা ও স্বাধীন মজুমদার।
আর সব উন্মাদনার মূলে রয়েছেন রওশন ভাই। যিনি ঢাকা থেকে সর্বক্ষণ তদারক করছেন সব কর্মকাণ্ড। পাবনা বন্ধুসভার বন্ধুদের মতো তিনিও ব্যস্ত সময় পার করছেন বন্ধুমেলা নিয়ে। কোন কোন বন্ধুসভা আসবে, কীভাবে আসবে, কীভাবে যাবে, কে কী করবে, অতিথি কারা থাকবে—সব চিন্তা তাঁর মাথায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবার খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। ব্যস্ত রয়েছেন ঢাকা বন্ধুসভার সাইফুলও।
সব মিলিয়ে যেন প্রস্তুতির শেষ নেই। কোনো কিছুতেই পূর্ণতা আসছে না বন্ধুদের মনে। অপেক্ষা সেই মিলনমেলার। দিন যত এগিয়ে আসছে, অস্থিরতার সঙ্গে তত বাড়ছে উন্মাদনা।
পাবনা বন্ধুসভা
No comments