স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অস্পষ্ট-বিভ্রান্তিকরঃ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর মনে করেন সাংবাদিক নেতারা। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইইজে) জাতীয় প্রেসক্লাব এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বৈঠকে সাংবাদিক নেতারা এ অভিমত প্রকাশ করেন।
বৈঠকে সাংবাদিক নেতারা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। তার বক্তব্যে রহস্যের জট খোলেনি।
বৈঠক থেকে ১১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তিন তলায় সাগর-রুনির স্মরণসভা আহবান করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ১৫ অক্টোবর সকালে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংবাদিক সমাজের পক্ষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনের কথা বলে ৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সাগর-রুনিকে ভাড়াটে খুনিরা হত্যা করেছে। সন্দেহভাজন ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আরও একজনকে ধরতে তিনি ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
বিএফইউজে সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজে মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূইয়া ও শওকত মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আব্দুস শহিদ ও ওমর ফারুক, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন ও শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
বৈঠক শেষে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তদন্তের অগ্রগতি ঘোষণা করেছেন। তবে সাংবাদিক নেতারা মনে করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য অনেকাংশে অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর। এ বক্তব্যে হত্যারহস্যের জট খোলেনি।”
দ্রুত সময়ের মধ্যে সাগর-রুনির প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করার দাবি করে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “আমরা দেখতে চাই বিশ্বাসযোগ্য মোটিভের সন্ধান পাওয়া যাবে এবং হত্যা রহস্য উন্মোচন সম্ভব হবে।”
সাগর-রুনি হত্যা রহস্য উন্মোচন, দেশ জুড়ে সাংবাদিক হত্যা-পীড়ন বন্ধ এবং সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি। ইকবাল সোবহান বলেন “মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাংবাদিকদের আন্দালন অব্যহত থাকবে।”
গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সাংবাদিক সমাজ সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন-কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন।
সাংবাদিকদের আন্দোলন-কর্মসূচির মুখে গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান
বুধবার সেই নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই সাংবাদিক দম্পতির হত্যার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনের কথা বলে ৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সাগর-রুনিকে ভাড়াটে খুনিরা হত্যা করেছে। সন্দেহভাজন ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আরও একজনকে ধরতে তিনি ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সব প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
বিএফইউজে সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজে মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূইয়া ও শওকত মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আব্দুস শহিদ ও ওমর ফারুক, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন ও শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।
বৈঠক শেষে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তদন্তের অগ্রগতি ঘোষণা করেছেন। তবে সাংবাদিক নেতারা মনে করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য অনেকাংশে অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর। এ বক্তব্যে হত্যারহস্যের জট খোলেনি।”
দ্রুত সময়ের মধ্যে সাগর-রুনির প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করার দাবি করে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “আমরা দেখতে চাই বিশ্বাসযোগ্য মোটিভের সন্ধান পাওয়া যাবে এবং হত্যা রহস্য উন্মোচন সম্ভব হবে।”
সাগর-রুনি হত্যা রহস্য উন্মোচন, দেশ জুড়ে সাংবাদিক হত্যা-পীড়ন বন্ধ এবং সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি। ইকবাল সোবহান বলেন “মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাংবাদিকদের আন্দালন অব্যহত থাকবে।”
গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সাংবাদিক সমাজ সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন-কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন।
সাংবাদিকদের আন্দোলন-কর্মসূচির মুখে গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান
বুধবার সেই নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই সাংবাদিক দম্পতির হত্যার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেন।
No comments