তদন্তে গতি নেইঃ সিরাজগঞ্জের ট্রেন ট্রাজেডির ২ বছর পূর্তি বৃহস্পতিবার by সুলতানা ইয়াসমিন মিলি
সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ এলাকার মুলিবাড়ির আলোচিত ট্রেন-ট্রাজেডির দু’বছর পূর্ণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। খালেদা জিয়ার জনসভায় এদিন ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন বিএনপির ৭ নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে ট্রেন পোড়ানো ও লুটপাটের আলোচিত ওই ঘটনার দু’বছর পার হচ্ছে বৃহস্পতিবার। অথচ ওই ঘটনায় দায়েরকৃত ৮ মামলা তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই। ফাইলবন্দি হয়ে আছেই মামলাগুলো।
২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সোমবার সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ মুলিবাড়ি রেলক্রসিং মাঠে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল আয়োজিত শহীদ জেহাদের ২০তম শাহাদত্ বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র গণজমায়াতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার আগে স্থানীয় জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন।
ঘড়ির সময় প্রায় ৩ থেকে সোয়া ৩টা। হঠাত্ করে দিনাজপুর থেকে আসা ঢাকাগামী দ্রুতযান নামের একটি ট্রেন সমাবেশের কাছ দিয়ে চলে যায়। তখন রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ৭জন কাটা পড়ে এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়। পরে ট্রেনটি ১ কিলোমিটার সামনে এগিয়ে হঠাত্ থেমে যায়। সে সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রেনটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পুড়ে যায় কয়েকটি বগি। পরে পুলিশ ও দমকল কর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা এবং জিআরপি থানায় পৃথক ৮টি মামলা হয়। এতে আসামি করা হয় প্রায় ৬ হাজার মানুষকে।
এর মধ্যে অধিকাংশই অজ্ঞাত। এ পর্যন্ত মামলাগুলোয় আটক করা হয় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে। গ্রেফতার এড়াতে তখন অধিকাংশ নেতাকর্মীই বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি।
স্থানীয় আইনজীবী সাবেক জেলা যুবলীগ সভাপতি গোলাম হায়দার বাদী হয়ে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ৭৭ জনকে আটক করা হলেও বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন। ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও বিএনপির পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত করা হয়।
বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৮টি মামলার ৩টির তদন্তভার সিরাজগঞ্জ জিআরপির পর সিআইডি দফতরকে দেওয়া হয়। বাকি ৫টির তদন্তভার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওপর।
৫টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান ফের বছরের ন্যায় বললেন, “মামলাগুলোর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আগামীতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”
একই ধরনের মন্তব্য করে সিরাজগঞ্জ সিআইডি দফতরের পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “ওই জনসভায় প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছিল। কেউই ঠিক সেভাবে একই অপরকে চেনেননি। আর বিএনপির লোকজন নিজেরা কখনও নিজেদের লোকজনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে চান না। তবে মামলার তদন্তে অগ্রগতি করতে চাইলে আরো ভেতরে যেতে হবে।”
এদিকে ওই ঘটনায় নিহত ও আহতদের বেশ কয়েকটি পরিবার বর্তমানে ভাল নেই বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় বিএনপিসহ স্থানীয়ভাবে তাদের কেউ খোঁজ নেয়না বলেও অভিযোগ তাদের।
পরে অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা এবং জিআরপি থানায় পৃথক ৮টি মামলা হয়। এতে আসামি করা হয় প্রায় ৬ হাজার মানুষকে।
এর মধ্যে অধিকাংশই অজ্ঞাত। এ পর্যন্ত মামলাগুলোয় আটক করা হয় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে। গ্রেফতার এড়াতে তখন অধিকাংশ নেতাকর্মীই বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি।
স্থানীয় আইনজীবী সাবেক জেলা যুবলীগ সভাপতি গোলাম হায়দার বাদী হয়ে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ৭৭ জনকে আটক করা হলেও বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন। ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও বিএনপির পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত করা হয়।
বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৮টি মামলার ৩টির তদন্তভার সিরাজগঞ্জ জিআরপির পর সিআইডি দফতরকে দেওয়া হয়। বাকি ৫টির তদন্তভার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওপর।
৫টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান ফের বছরের ন্যায় বললেন, “মামলাগুলোর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আগামীতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”
একই ধরনের মন্তব্য করে সিরাজগঞ্জ সিআইডি দফতরের পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “ওই জনসভায় প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছিল। কেউই ঠিক সেভাবে একই অপরকে চেনেননি। আর বিএনপির লোকজন নিজেরা কখনও নিজেদের লোকজনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে চান না। তবে মামলার তদন্তে অগ্রগতি করতে চাইলে আরো ভেতরে যেতে হবে।”
এদিকে ওই ঘটনায় নিহত ও আহতদের বেশ কয়েকটি পরিবার বর্তমানে ভাল নেই বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় বিএনপিসহ স্থানীয়ভাবে তাদের কেউ খোঁজ নেয়না বলেও অভিযোগ তাদের।
No comments