মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার- গোলাম আযমের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে পারবেন ১২ জন
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের সাক্ষীর সংখ্যা ১২ জনে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ১৪ অক্টোবরের মধ্যে এই তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। আদেশে বলা হয়, আসামিপক্ষের সাক্ষীরা কে কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দেবেন, তা-ও উল্লেখ করতে হবে।
গোলাম আযমের পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা দুই হাজার ৯৩৯ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দিয়েছিলেন। গত সোমবার এই তালিকা খারিজের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি হয়। গতকাল ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন।
এদিকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান গতকালও জবানবন্দি দেন। আজ বুধবার তিনি বাকি জবানবন্দি দেবেন।
সাঈদীর পক্ষে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ: একই ট্রাইব্যুনাল গতকাল জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের একটি আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের ঢাকায় এনে রাখার জন্য নির্ধারিত বাড়িতে (উইটনেস হাউস) দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যসহ যে ৩৮ জনের তালিকা আসামিপক্ষ দিয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকে তারা সাক্ষী আনতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল কোনো সমন জারি করবেন না। তবে সাঈদীর পক্ষে সাক্ষীর সংখ্যা ২০ জন নির্ধারণ করে ইতিমধ্যে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, নতুন সাক্ষী আনলেও সংখ্যা ২০ জনই থাকবে।
গত সোমবার আসামিপক্ষ তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান, উইটনেস হাউসে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যসহ ৩৮ জনকে আসামিপক্ষের সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য সমন জারির আরজি জানায়।
পরে সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন আসামিপক্ষের দশম সাক্ষী আনোয়ার হোসেন (৫৭) ও এগারোতম সাক্ষী গোলাম মোস্তফা (৬২)। গোলাম মোস্তফা জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর বাড়ি পিরোজপুরের জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সাঈদী একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী বা মানবতাবিরোধী কোনো কাজে জড়িত ছিলেন না।
জবানবন্দি শেষে এই দুই সাক্ষীকে জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় সাঈদী হাজির ছিলেন।
পুলিশি হয়রানির নিন্দা: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতাদের আইনজীবীদের পক্ষে তাজুল ইসলাম গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশি হয়রানির নিন্দা করেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, বিকেল চারটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয় দিয়ে ১০-১২ জন লোক সাদা পোশাকে সশস্ত্র অবস্থায় পুরানা পল্টনে তাঁর কার্যালয়ে ঢোকেন। এ সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। ওই ব্যক্তিরা অন্য আইনজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি শুরু করেন। আইনজীবীরা প্রতিবাদ করলে তাঁরা বেরিয়ে যান।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে অভিযুক্তদের পক্ষের সাক্ষীদের বাড়িতে যেমন তল্লাশি চালাচ্ছে, তেমনি আইনজীবীদের কার্যালয়ে হানা দিয়ে মামলার প্রস্তুতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
গোলাম আযমের পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা দুই হাজার ৯৩৯ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দিয়েছিলেন। গত সোমবার এই তালিকা খারিজের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি হয়। গতকাল ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন।
এদিকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান গতকালও জবানবন্দি দেন। আজ বুধবার তিনি বাকি জবানবন্দি দেবেন।
সাঈদীর পক্ষে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ: একই ট্রাইব্যুনাল গতকাল জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের একটি আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের ঢাকায় এনে রাখার জন্য নির্ধারিত বাড়িতে (উইটনেস হাউস) দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যসহ যে ৩৮ জনের তালিকা আসামিপক্ষ দিয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকে তারা সাক্ষী আনতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল কোনো সমন জারি করবেন না। তবে সাঈদীর পক্ষে সাক্ষীর সংখ্যা ২০ জন নির্ধারণ করে ইতিমধ্যে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, নতুন সাক্ষী আনলেও সংখ্যা ২০ জনই থাকবে।
গত সোমবার আসামিপক্ষ তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান, উইটনেস হাউসে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যসহ ৩৮ জনকে আসামিপক্ষের সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য সমন জারির আরজি জানায়।
পরে সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন আসামিপক্ষের দশম সাক্ষী আনোয়ার হোসেন (৫৭) ও এগারোতম সাক্ষী গোলাম মোস্তফা (৬২)। গোলাম মোস্তফা জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর বাড়ি পিরোজপুরের জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। সাঈদী একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী বা মানবতাবিরোধী কোনো কাজে জড়িত ছিলেন না।
জবানবন্দি শেষে এই দুই সাক্ষীকে জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় সাঈদী হাজির ছিলেন।
পুলিশি হয়রানির নিন্দা: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতাদের আইনজীবীদের পক্ষে তাজুল ইসলাম গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশি হয়রানির নিন্দা করেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, বিকেল চারটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয় দিয়ে ১০-১২ জন লোক সাদা পোশাকে সশস্ত্র অবস্থায় পুরানা পল্টনে তাঁর কার্যালয়ে ঢোকেন। এ সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। ওই ব্যক্তিরা অন্য আইনজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি শুরু করেন। আইনজীবীরা প্রতিবাদ করলে তাঁরা বেরিয়ে যান।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে অভিযুক্তদের পক্ষের সাক্ষীদের বাড়িতে যেমন তল্লাশি চালাচ্ছে, তেমনি আইনজীবীদের কার্যালয়ে হানা দিয়ে মামলার প্রস্তুতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
No comments