টিভি দেখার অপরাধে মাদ্রাসাছাত্রকে ২৫৬ বার বেত্রাঘাত! by শাহীন রহমান
মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে টিভি দেখার দায়ে পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার চড়াডাঙ্গী হাফিজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে শাস্তি হিসেবে ২৫৬ বার বেত্রাঘাত করেছেন তার এক শিক্ষক।
এ নিষ্ঠুর ও নির্মম বেত্রাঘাতের সময় ওই অসহায় ছাত্র প্রস্রাব করাসহ অজ্ঞান হয়ে পড়লেও মাদ্রাসার শিক্ষকের কোনো করুণা হয়নি। বরং, তিনি গুনে গুনে ২৫৬টি বেত্রাঘাতেরই দণ্ড দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনার পর শনিবার সকালে তড়িঘড়ি করে স্থানীয় লোকজন লোক দেখানো একটি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার মাধ্যমে শেষ করলেও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চড়াডাঙ্গী হাফিজিয়া মাদ্রাসার (আবাসিক) ছাত্র মোফাজ্জল হোসেন(১২) গত বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে নিজ বাড়ি একই উপজেলার গঙ্গারামপুরে যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে মোফাজ্জল হোসেন প্রতিবেশীর বাড়ীতে টিভি দেখে। তার টিভি দেখার কথা অন্য ছাত্ররা মাদ্রাসার হুজুরকে জানিয়ে দেয়।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মোফাজ্জল হোসেন মাদ্রাসায় ফিরে যায়। এর পর হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসান তাকে টিভি দেখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছাত্র মোফাজ্জল হোসেন তা স্বীকার করে।
এর পর মাওলানা আবুল হাসান ওই ছাত্রকে গুনে গুনে ২৫৬টি বেত্রাঘাত করার ঘোষণা দেন এবং তিনি নিজেই মোফাজ্জলকে বেত্রাঘাত শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানায়, বেত্রাঘাতের একপর্যায়ে মোফাজ্জল প্রস্রাব করাসহ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এর পরেও পাষণ্ড মাওলানা আবুল হাসান তার শরীরের ওপর গুনে গুনে ২৫৬ বার বেত্রাঘাতের রায় (!) কার্যকর করেন।
ছেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে এ সংবাদ পেয়ে মোফাজ্জলের বাবা আব্দুর রাজ্জাক রাতেই তাকে বাড়ি নিয়ে চিকিৎসা দেন।
শনিবার সকালে এ ঘটনা অভিভাবক মহলে জানাজানি হলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে মাদ্রাসা থেকে গোপনে পালিয়ে যান শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসান।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে চড়াডাঙ্গা পীর আবদুল হাইয়ের ছেলে মাওলানা বনি ইয়ামিনের নেতৃত্বে এ ঘটনায় এক সালিশ বৈঠকে বেত্রাঘাতকারী ওই শিক্ষককে সতর্ক করে দেওয়া হয় মাত্র।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী ছাত্র মোফাজ্জল হোসেনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, “স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি মীমাংসা হয়েছে। তাই, মেনে নিতে হয়েছে।’’
কিন্তু মাদ্রাসার হুজুর তার ছেলেকে যে নৃশংসভাবে বেত্রাঘাত করেছেন, তাতে ভীষণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আব্দুর রাজ্জাক।
শিক্ষকের হাতে বেতের আঘাত পাওয়া ছাত্র মোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানায়, হুজুরকে বার বার অনুরোধ করে বলেছিলাম- ‘হুজুর আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি আরও কখনও টিভি দেখবোনা। তারপরও হুজুর থামেননি। কতগুলো বেতের আঘাত করেছেন, তা আমার আর মনে নেই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মাদ্রসারই এক শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, “আমি নিজেও একজন শিক্ষক। কিন্তু এ ধরনের কাজের জন্য ওই পাষণ্ড শিক্ষককে ঘৃণা হচ্ছে!’’
এ ব্যাপারে পীরের ছেলে মাওলানা বনি ইয়ামিনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথাই বলবেননা বলে জানিয়ে দেন।
বেত্রাঘাতকারী শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনার পর শনিবার সকালে তড়িঘড়ি করে স্থানীয় লোকজন লোক দেখানো একটি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার মাধ্যমে শেষ করলেও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চড়াডাঙ্গী হাফিজিয়া মাদ্রাসার (আবাসিক) ছাত্র মোফাজ্জল হোসেন(১২) গত বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে নিজ বাড়ি একই উপজেলার গঙ্গারামপুরে যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে মোফাজ্জল হোসেন প্রতিবেশীর বাড়ীতে টিভি দেখে। তার টিভি দেখার কথা অন্য ছাত্ররা মাদ্রাসার হুজুরকে জানিয়ে দেয়।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মোফাজ্জল হোসেন মাদ্রাসায় ফিরে যায়। এর পর হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসান তাকে টিভি দেখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছাত্র মোফাজ্জল হোসেন তা স্বীকার করে।
এর পর মাওলানা আবুল হাসান ওই ছাত্রকে গুনে গুনে ২৫৬টি বেত্রাঘাত করার ঘোষণা দেন এবং তিনি নিজেই মোফাজ্জলকে বেত্রাঘাত শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানায়, বেত্রাঘাতের একপর্যায়ে মোফাজ্জল প্রস্রাব করাসহ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এর পরেও পাষণ্ড মাওলানা আবুল হাসান তার শরীরের ওপর গুনে গুনে ২৫৬ বার বেত্রাঘাতের রায় (!) কার্যকর করেন।
ছেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে এ সংবাদ পেয়ে মোফাজ্জলের বাবা আব্দুর রাজ্জাক রাতেই তাকে বাড়ি নিয়ে চিকিৎসা দেন।
শনিবার সকালে এ ঘটনা অভিভাবক মহলে জানাজানি হলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে মাদ্রাসা থেকে গোপনে পালিয়ে যান শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসান।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে চড়াডাঙ্গা পীর আবদুল হাইয়ের ছেলে মাওলানা বনি ইয়ামিনের নেতৃত্বে এ ঘটনায় এক সালিশ বৈঠকে বেত্রাঘাতকারী ওই শিক্ষককে সতর্ক করে দেওয়া হয় মাত্র।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী ছাত্র মোফাজ্জল হোসেনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, “স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি মীমাংসা হয়েছে। তাই, মেনে নিতে হয়েছে।’’
কিন্তু মাদ্রাসার হুজুর তার ছেলেকে যে নৃশংসভাবে বেত্রাঘাত করেছেন, তাতে ভীষণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আব্দুর রাজ্জাক।
শিক্ষকের হাতে বেতের আঘাত পাওয়া ছাত্র মোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানায়, হুজুরকে বার বার অনুরোধ করে বলেছিলাম- ‘হুজুর আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি আরও কখনও টিভি দেখবোনা। তারপরও হুজুর থামেননি। কতগুলো বেতের আঘাত করেছেন, তা আমার আর মনে নেই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মাদ্রসারই এক শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, “আমি নিজেও একজন শিক্ষক। কিন্তু এ ধরনের কাজের জন্য ওই পাষণ্ড শিক্ষককে ঘৃণা হচ্ছে!’’
এ ব্যাপারে পীরের ছেলে মাওলানা বনি ইয়ামিনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথাই বলবেননা বলে জানিয়ে দেন।
বেত্রাঘাতকারী শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি।
No comments