নগরে অতিথি-মুহিত মোহিত করলেন চট্টগ্রাম by মেখ্যাইউ মারমা
মাথায় বাঁধা বাংলাদেশের পতাকা। ফুল হাতা সাদা টি-শার্টের বুকে লেখা, ‘মাউন্টেইনস টেস্ট আওয়ার মেট্ল’। অর্থাৎ পর্বত আমাদের তেজ পরীক্ষা করে। চোখের নিচে কালি, মুখে রোদে ঝলসে যাওয়া দাগ। বুকের লেখাটির মতোই বাস্তবেও তেজি, দুঃসাহসী অথচ নিরহংকার এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিত।
এভারেস্ট জয়ের পর প্রথম চট্টগ্রাম এলেন গত শুক্রবার। দু-দুবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয়ী একমাত্র বাংলাদেশি তিনি। তাই যেখানে গেছেন পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা ও অভিনন্দন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে ভোলা জেলা ছাত্র ফোরাম তাঁর জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল।
অনুষ্ঠানের একফাঁকে প্রথম আলোর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন তিনি। পর্বত জয়ের ইচ্ছা ও পরিকল্পনা কীভাবে মাথায় এল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাখি দেখতে গিয়ে আমার পাহাড় দেখা। পাহাড়ে উঠতে উঠতেই পর্বত জয় করা। কোনো দিন ভাবিনি এভারেস্টের মতো পর্বতশৃঙ্গ জয় করব। তবে পাহাড়ে ওঠার হাতেখড়ি হয় ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে। সিলেটের মাত্র ২০০০ ফুট উঁচু মাধবকুণ্ড ঝরনার পাহাড়টি জয় করি। মাত্র এক ঘণ্টায় এই পাহাড়ে ওঠার পর ভীষণ ভালো লাগল। এরপর থেকে পাহাড়ে-পর্বতে ওঠা নেশা হয়ে দাঁড়াল। একই বছরের অক্টোবরে জয় করি সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়। এরপর বান্দরবানের কেওক্রাডং, তাজিংডংসহ আরও পাহাড়ে উঠেছি। তবে ছোটবেলায় পাহাড়ে ওঠার চেয়ে ভালো লাগত পালতোলা নৌকায় চড়তে, পাখি দেখতে, পুকুরের ওপরে গাছে উঠে পানিতে ঝাঁপ দিতে।’
মুহিত জানান, ২০০৩ সালে পাখি দেখতে গিয়েই পরিচয় হয় পাখিপ্রেমী ইনাম আল হকের সঙ্গে। ওই বছরই পালন করা হচ্ছিল বিশ্বব্যাপী এভারেস্ট জয়ের ৫০ বছরপূর্তি। মূলত এ দিন থেকেই এভারেস্টকে জয়ের স্বপ্নের বীজ বপন হয় মনের কোণে। ইনাম আল হকের তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা হয় বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাব। ২০০৪ সালে ছয়জন বাংলাদেশি এই ক্লাবের হয়ে দার্জিলিং যান। সেখানে ২৮ দিনের প্রশিক্ষণ নেন বেসিক এবং অ্যাডভান্স মাউন্টেনিয়ারিং বিষয়ে।
মুহিত জানান, প্রথম অভিযান শুরু হয় ২০০৭ সালে। সারা বিশ্বের মধ্যে ১৮ হাজার মিটারের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে এ পর্যন্ত জয় করেছেন তিনটি। তিনিই একমাত্র বাঙালি, যিনি ১৮ হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত জয় করেছেন চারবার। তার মধ্যে এভারেস্ট জয় করেছেন দুবার। একবার উত্তর দিকে তিব্বত দিয়ে এবং আরেকবার দক্ষিণ দিকে নেপাল দিয়ে। অসংখ্যবার পড়েছেন বিপদে। তিনি বলেন, ‘তুষারধসে, বরফের ফাটলে পড়ে বহু অভিযাত্রীর মৃত্যু দেখেছি। কিন্তু ভয় পাইনি। উপভোগ করেছি প্রতিটি পদক্ষেপ।’ দেশের পতাকা এভারেস্টের চূড়ায় নিয়ে গেছেন এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে তিনি জানান। পর্বতে ওঠার জন্য শারীরিক শক্তির চেয়ে মানসিক শক্তিটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘দেশের কথা ভাবলেই মানসিক জোর পাই।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যত দিন শক্তি থাকবে, পর্বত আরোহণ করে যাব। ধূমপান ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত করে যাব। প্রকৃতির কাছে গেলেই আমরা আসল শিক্ষা পাই। কেননা প্রকৃতি মানুষকে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে শিক্ষা দেয়, শিক্ষা দেয় ধৈর্যের।’
তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান ও মাদক সেবন থেকে দূরে থাকতে বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন এভারেস্টজয়ী মুহিত। ‘মাদককে না বলুন, মাদক ছেড়ে পর্বতশৃঙ্গে আসুন’ স্লোগান লালন ও পালনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এম এ মুহিত ২০১১ সালের ২১ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন। এরপর চলতি বছরের ১৯ মে দ্বিতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করেন আবার।
অনুষ্ঠানের একফাঁকে প্রথম আলোর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন তিনি। পর্বত জয়ের ইচ্ছা ও পরিকল্পনা কীভাবে মাথায় এল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাখি দেখতে গিয়ে আমার পাহাড় দেখা। পাহাড়ে উঠতে উঠতেই পর্বত জয় করা। কোনো দিন ভাবিনি এভারেস্টের মতো পর্বতশৃঙ্গ জয় করব। তবে পাহাড়ে ওঠার হাতেখড়ি হয় ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে। সিলেটের মাত্র ২০০০ ফুট উঁচু মাধবকুণ্ড ঝরনার পাহাড়টি জয় করি। মাত্র এক ঘণ্টায় এই পাহাড়ে ওঠার পর ভীষণ ভালো লাগল। এরপর থেকে পাহাড়ে-পর্বতে ওঠা নেশা হয়ে দাঁড়াল। একই বছরের অক্টোবরে জয় করি সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়। এরপর বান্দরবানের কেওক্রাডং, তাজিংডংসহ আরও পাহাড়ে উঠেছি। তবে ছোটবেলায় পাহাড়ে ওঠার চেয়ে ভালো লাগত পালতোলা নৌকায় চড়তে, পাখি দেখতে, পুকুরের ওপরে গাছে উঠে পানিতে ঝাঁপ দিতে।’
মুহিত জানান, ২০০৩ সালে পাখি দেখতে গিয়েই পরিচয় হয় পাখিপ্রেমী ইনাম আল হকের সঙ্গে। ওই বছরই পালন করা হচ্ছিল বিশ্বব্যাপী এভারেস্ট জয়ের ৫০ বছরপূর্তি। মূলত এ দিন থেকেই এভারেস্টকে জয়ের স্বপ্নের বীজ বপন হয় মনের কোণে। ইনাম আল হকের তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা হয় বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাব। ২০০৪ সালে ছয়জন বাংলাদেশি এই ক্লাবের হয়ে দার্জিলিং যান। সেখানে ২৮ দিনের প্রশিক্ষণ নেন বেসিক এবং অ্যাডভান্স মাউন্টেনিয়ারিং বিষয়ে।
মুহিত জানান, প্রথম অভিযান শুরু হয় ২০০৭ সালে। সারা বিশ্বের মধ্যে ১৮ হাজার মিটারের ১৪টি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে এ পর্যন্ত জয় করেছেন তিনটি। তিনিই একমাত্র বাঙালি, যিনি ১৮ হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত জয় করেছেন চারবার। তার মধ্যে এভারেস্ট জয় করেছেন দুবার। একবার উত্তর দিকে তিব্বত দিয়ে এবং আরেকবার দক্ষিণ দিকে নেপাল দিয়ে। অসংখ্যবার পড়েছেন বিপদে। তিনি বলেন, ‘তুষারধসে, বরফের ফাটলে পড়ে বহু অভিযাত্রীর মৃত্যু দেখেছি। কিন্তু ভয় পাইনি। উপভোগ করেছি প্রতিটি পদক্ষেপ।’ দেশের পতাকা এভারেস্টের চূড়ায় নিয়ে গেছেন এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে তিনি জানান। পর্বতে ওঠার জন্য শারীরিক শক্তির চেয়ে মানসিক শক্তিটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘দেশের কথা ভাবলেই মানসিক জোর পাই।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যত দিন শক্তি থাকবে, পর্বত আরোহণ করে যাব। ধূমপান ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত করে যাব। প্রকৃতির কাছে গেলেই আমরা আসল শিক্ষা পাই। কেননা প্রকৃতি মানুষকে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে শিক্ষা দেয়, শিক্ষা দেয় ধৈর্যের।’
তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান ও মাদক সেবন থেকে দূরে থাকতে বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন এভারেস্টজয়ী মুহিত। ‘মাদককে না বলুন, মাদক ছেড়ে পর্বতশৃঙ্গে আসুন’ স্লোগান লালন ও পালনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এম এ মুহিত ২০১১ সালের ২১ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন। এরপর চলতি বছরের ১৯ মে দ্বিতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করেন আবার।
No comments