সরকারের অপকর্মের খেসারত দিচ্ছে দেশ ও জনগণ : বিএনপি
সরকারের 'অপকর্মের' কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বাতিল করেছে বলে অভিযোগ করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, এর খেসারত দেশ ও জনগণকে দিতে হচ্ছে, যা পুরো জাতির ওপর কালিমা লেপন ছাড়া আর কিছু নয়।
বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করায় এই সেতু আর হবে কিনা, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন নেতারা। একই সঙ্গে এ প্রসঙ্গে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে 'দুর্নীতিতে' অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান দলটির নেতারা। গতকাল বিএনপি নেতারা কয়েকটি অনুষ্ঠান এবং কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে চট্টগ্রাম সফরে দলটির বেশির ভাগ নেতা রয়েছেন। তাই এ বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেবে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা বারবার অভিযোগ করেছি পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে বিশ্বব্যাংক যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে তা খতিয়ে দেখা হোক এবং ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি। বরং উল্টো বিশ্বব্যাংকের ওপর দোষ চাপিয়েছে। এ ধরনের আচরণের জন্যই বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করল।' তাঁর মতে, দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করার ওপর জোর না দিয়ে সরকার বারবার ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে। যার খেসারত দিতে হবে দেশ ও জনগণকে।
বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করার পর বর্তমান সরকারের আমলে এই সেতু আর হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে মওদুদ বলেন, বিশ্বব্যাংক ছাড়া এত সহজ শর্তে আর কারো কাছে ঋণ পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাঁরাই এ পদ্মা সেতু করবেন এবং যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে গতকাল শনিবার স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করার পর প্রমাণ হলো এ সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতির দায়ে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের জবাবদিহিতা ও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।
জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দল আয়োজিত চট্টগ্রাম- কক্সবাজারে পাহাড় ধস, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবিতে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শরীফ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্ব বক্তব্য দেন জিয়া সেনার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন ঈসাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অন্য এক অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বাতিলের জন্য সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করেন।
গয়েশ্বর বলেন, সরকারের অপকর্মের কারণে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করেছে। সরকার আন্তরিক হলে নিশ্চয় এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত।
গয়েশ্বর বলেন, কারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দেশবাসী তা জানে। ভবিষ্যতে সবার মুখোশ উন্মোচন করা হবে। 'অপহরণ, গুম ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব' শীর্ষক সভার আয়োজন করে ঢাকার লাখাই উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম। ফোরামের সভাপতি আবদুল আউয়াল ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, বিএনপি নেতা রিজভী আহম্মেদ, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করায় পুরো জাতির ওপর কালিমা লেপন হয়েছে দাবি করে এর জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে 'দুর্নীতিতে' অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
গতকাল সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, 'সংস্থাটির অর্থায়ন বাতিল হওয়ায় আমি দুটি কারণে দুঃখিত। প্রথমত, বিএনপি পদ্মা সেতুর যে কাজ শুরু করে এসেছিল, তার নির্মাণ এখন অনিশ্চিত হয়ে গেল। দ্বিতীয়ত, এ রকম একটি বড় প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকসহ দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে কম সুদে ঋণ পাওয়া যেত, তা আটকে গেল।'
মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রদীপ নিভে গেল : গণফোরাম
গণফোরাম সম্পাদক পরিষদের এক সভায় এই ঘটনার জন্য সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করা হয়। গোলাম রব্বানী বাবলু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কতিপয় দুর্নীতিবাজের কারণে দেশের ১৬ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রদীপ নিভে গেল। অথচ দুর্নীতিবাজদের বিচার হলে এ ঘটনা ঘটত না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা বারবার অভিযোগ করেছি পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে বিশ্বব্যাংক যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে তা খতিয়ে দেখা হোক এবং ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি। বরং উল্টো বিশ্বব্যাংকের ওপর দোষ চাপিয়েছে। এ ধরনের আচরণের জন্যই বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করল।' তাঁর মতে, দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করার ওপর জোর না দিয়ে সরকার বারবার ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে। যার খেসারত দিতে হবে দেশ ও জনগণকে।
বিশ্বব্যাংক চুক্তি বাতিল করার পর বর্তমান সরকারের আমলে এই সেতু আর হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে মওদুদ বলেন, বিশ্বব্যাংক ছাড়া এত সহজ শর্তে আর কারো কাছে ঋণ পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাঁরাই এ পদ্মা সেতু করবেন এবং যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে গতকাল শনিবার স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করার পর প্রমাণ হলো এ সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতির দায়ে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের জবাবদিহিতা ও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।
জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দল আয়োজিত চট্টগ্রাম- কক্সবাজারে পাহাড় ধস, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবিতে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শরীফ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্ব বক্তব্য দেন জিয়া সেনার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন ঈসাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অন্য এক অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বাতিলের জন্য সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করেন।
গয়েশ্বর বলেন, সরকারের অপকর্মের কারণে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করেছে। সরকার আন্তরিক হলে নিশ্চয় এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত।
গয়েশ্বর বলেন, কারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দেশবাসী তা জানে। ভবিষ্যতে সবার মুখোশ উন্মোচন করা হবে। 'অপহরণ, গুম ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব' শীর্ষক সভার আয়োজন করে ঢাকার লাখাই উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম। ফোরামের সভাপতি আবদুল আউয়াল ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, বিএনপি নেতা রিজভী আহম্মেদ, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করায় পুরো জাতির ওপর কালিমা লেপন হয়েছে দাবি করে এর জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে 'দুর্নীতিতে' অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
গতকাল সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, 'সংস্থাটির অর্থায়ন বাতিল হওয়ায় আমি দুটি কারণে দুঃখিত। প্রথমত, বিএনপি পদ্মা সেতুর যে কাজ শুরু করে এসেছিল, তার নির্মাণ এখন অনিশ্চিত হয়ে গেল। দ্বিতীয়ত, এ রকম একটি বড় প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকসহ দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে কম সুদে ঋণ পাওয়া যেত, তা আটকে গেল।'
মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রদীপ নিভে গেল : গণফোরাম
গণফোরাম সম্পাদক পরিষদের এক সভায় এই ঘটনার জন্য সরকারের দুর্নীতিকে দায়ী করা হয়। গোলাম রব্বানী বাবলু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কতিপয় দুর্নীতিবাজের কারণে দেশের ১৬ কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রদীপ নিভে গেল। অথচ দুর্নীতিবাজদের বিচার হলে এ ঘটনা ঘটত না।
No comments