কবিকে মঞ্চে আনল অরিন্দম by এমিলিয়া খানম
তারাশঙ্করের কালজয়ী জনপ্রিয় উপন্যাস কবির সফল মঞ্চায়ন করেছে অরিন্দম নাট্যসম্প্রদায়। কবি উপন্যাস নিয়ে ইতিপূর্বে দুই বাংলার গণমাধ্যমে চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক নাটকসহ অনেক কাজ হয়েছে। চট্টগ্রামের মঞ্চে কবি আসার আগেই এ নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল ছিল এখানকার নাট্যপ্রেমীদের।
এ জন্যই হয়তো গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীতে প্রথম প্রদর্শনীর দিন দর্শক সমাগম ঘটেছে প্রচুর। সাতটার আগেই মিলনায়তন পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
কবির নাট্যরূপ দিয়েছেন সায়মন জাকারিয়া। নির্দেশনা দিয়েছেন শামীম হাসান।
নাটকের কাহিনি বিন্যাসে দেখা যায় অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষ নিতাই গ্রামের এক কবিগানের আসরে গান গেয়ে সবার মন জয় করে। গাইতে গাইতে কবিয়াল স্বীকৃতি পায়। নিতাই তার নিজস্ব ডোম সম্প্রদায়কে অস্বীকার করে বেছে নেয় কবিয়ালের জীবন। রেলস্টেশনে বন্ধু রাজনের সঙ্গে কুলির কাজ নেয় আর কবিগান করে। একসময় নিতাইয়ের সঙ্গে রাজনের ঠাকুরঝির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে, ঠাকুরঝিকে নিয়ে চলে গান বাঁধা। ঠাকুরঝি কবির গভীর প্রেমে পড়ে যায়। নিতাইও ঠাকুরঝিকে ভালোবেসে ফেলে; কিন্তু ‘ঠাকুরঝি’র তো সংসার আছে। তাকে কলঙ্কিত করতে নারাজ নিতাই। তাই সে বলে, ‘চাঁদে যে কলঙ্ক হবে, ও চাঁদ তোমার লাগি আমি হব বৈরাগী। আকাশের চাঁদ তুমি আকাশেই থাকো। আমি দেখব তোমায় খালি।’
এদিকে গ্রামে আসে ঝুমুর দল। ঝুমুর দলে নিতাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় বসন্তের। ঠাকুরঝির মঙ্গলের কথা ভেবেই কবিয়াল নিতাই গ্রাম ছেড়ে ঝুমুর দলের সঙ্গে অজানার উদ্দেশে যাত্রা করে। এভাবেই নাটকের কাহিনি ক্রমশ এগিয়ে চলে।
নাটক শেষে কথা হয় নাট্যজন মশিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এককথায় নাটকটি ভালো লেগেছে।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসাইন কবীর বলেন, ‘আমি উপন্যাসটি পড়েছি। এখন নাটকটি দেখলাম, ভালো লেগেছে।’
ফ্যাশন ডিজাইনার আইভি হাসান বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন, স্বতঃস্ফূর্ত একটি নাটক দেখলাম, আমার তো ভালোই লেগেছে।’
কবি নাটকের মঞ্চসজ্জায় ছিলেন আহমেদ নেওয়াজ ও সুব্রত বড়ুয়া। অভিনয়ে ছিলেন আকবর রেজা, সাবিরা সুলতানা বীণা, পঙ্কজ চৌধুরী, মধুমিতা বড়ুয়া প্রমুখ। এঁদের স্বতঃস্ফূর্ত এবং সাবলীল অভিনয় উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করেছে।
কবির নাট্যরূপ দিয়েছেন সায়মন জাকারিয়া। নির্দেশনা দিয়েছেন শামীম হাসান।
নাটকের কাহিনি বিন্যাসে দেখা যায় অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষ নিতাই গ্রামের এক কবিগানের আসরে গান গেয়ে সবার মন জয় করে। গাইতে গাইতে কবিয়াল স্বীকৃতি পায়। নিতাই তার নিজস্ব ডোম সম্প্রদায়কে অস্বীকার করে বেছে নেয় কবিয়ালের জীবন। রেলস্টেশনে বন্ধু রাজনের সঙ্গে কুলির কাজ নেয় আর কবিগান করে। একসময় নিতাইয়ের সঙ্গে রাজনের ঠাকুরঝির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে, ঠাকুরঝিকে নিয়ে চলে গান বাঁধা। ঠাকুরঝি কবির গভীর প্রেমে পড়ে যায়। নিতাইও ঠাকুরঝিকে ভালোবেসে ফেলে; কিন্তু ‘ঠাকুরঝি’র তো সংসার আছে। তাকে কলঙ্কিত করতে নারাজ নিতাই। তাই সে বলে, ‘চাঁদে যে কলঙ্ক হবে, ও চাঁদ তোমার লাগি আমি হব বৈরাগী। আকাশের চাঁদ তুমি আকাশেই থাকো। আমি দেখব তোমায় খালি।’
এদিকে গ্রামে আসে ঝুমুর দল। ঝুমুর দলে নিতাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় বসন্তের। ঠাকুরঝির মঙ্গলের কথা ভেবেই কবিয়াল নিতাই গ্রাম ছেড়ে ঝুমুর দলের সঙ্গে অজানার উদ্দেশে যাত্রা করে। এভাবেই নাটকের কাহিনি ক্রমশ এগিয়ে চলে।
নাটক শেষে কথা হয় নাট্যজন মশিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এককথায় নাটকটি ভালো লেগেছে।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোসাইন কবীর বলেন, ‘আমি উপন্যাসটি পড়েছি। এখন নাটকটি দেখলাম, ভালো লেগেছে।’
ফ্যাশন ডিজাইনার আইভি হাসান বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন, স্বতঃস্ফূর্ত একটি নাটক দেখলাম, আমার তো ভালোই লেগেছে।’
কবি নাটকের মঞ্চসজ্জায় ছিলেন আহমেদ নেওয়াজ ও সুব্রত বড়ুয়া। অভিনয়ে ছিলেন আকবর রেজা, সাবিরা সুলতানা বীণা, পঙ্কজ চৌধুরী, মধুমিতা বড়ুয়া প্রমুখ। এঁদের স্বতঃস্ফূর্ত এবং সাবলীল অভিনয় উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করেছে।
No comments