৯ ‘অনুসারী’র বিরুদ্ধে মামলা-সন্দ্বীপে সাংসদের কাছারি থেকে রকেট লঞ্চার ও বন্দুকসহ অস্ত্র উদ্ধার
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে স্থানীয় বিএনপিদলীয় সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার বাড়ির কাছারিঘর থেকে গতকাল শনিবার ভোরে রকেট লঞ্চার ও বন্দুকসহ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করার দাবি করেছে পুলিশ। তবে সাংসদ অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ‘নাটক’ সাজিয়েছে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে নয়টি রকেট লঞ্চার, ১১টি গুলিসহ একটি বন্দুক, গুলির ব্যবহূত একটি খোসা, দুটি কিরিচ ও একটি চাপাতি রয়েছে। ভোর সোয়া পাঁচটায় অভিযান চালানোর পর দুর্বৃত্তরা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে পুলিশ। আসামিরা হলো: হাসান, আলতাব, আনোয়ার, আবু তাহের (১), আবু তাহের (২), মশিউর, বাবলু, জাকের ও মোবারক।
পুলিশ সূত্র জানায়, আসামিরা সবাই বিএনপির সক্রিয় কর্মী ও সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার অনুসারী। এ বিষয়ে মোস্তফা কামাল পাশা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবে আমার বৈঠকখানায় এ নাটক সাজানো হয়েছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আমার বাড়ির পুকুরপাড়ে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। আসলে আমার জনপ্রিয়তা দেখে এ নাটক বারবার মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।’
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে আসামিরা সাংসদের অনুগত বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আসামিরা আগের দিন রহমতপুরের স্থানীয় একটি বাজারে কয়েকটি ভাঙচুর ও তিনজন যুবককে মারধর করে। এর সূত্র পুলিশ অভিযানে নেমে এ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে।’
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, গত শুক্রবার রহমতপুরে তিন যুবকের ওপর হামলা এবং ১৩-১৪টি দোকান ভাঙচুর হয়। তাঁরা খবর পান, হামলাকারীরা আরও বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিতে সাংসদের বাড়ির কাছারিঘরে অবস্থান নিয়েছে। এ খবর পাওয়ার পর তাঁরা অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য সন্দ্বীপে অভিযান চালানো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আসামিরা সবাই বিএনপির সক্রিয় কর্মী ও সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার অনুসারী। এ বিষয়ে মোস্তফা কামাল পাশা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবে আমার বৈঠকখানায় এ নাটক সাজানো হয়েছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আমার বাড়ির পুকুরপাড়ে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। আসলে আমার জনপ্রিয়তা দেখে এ নাটক বারবার মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।’
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে আসামিরা সাংসদের অনুগত বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আসামিরা আগের দিন রহমতপুরের স্থানীয় একটি বাজারে কয়েকটি ভাঙচুর ও তিনজন যুবককে মারধর করে। এর সূত্র পুলিশ অভিযানে নেমে এ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে।’
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, গত শুক্রবার রহমতপুরে তিন যুবকের ওপর হামলা এবং ১৩-১৪টি দোকান ভাঙচুর হয়। তাঁরা খবর পান, হামলাকারীরা আরও বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিতে সাংসদের বাড়ির কাছারিঘরে অবস্থান নিয়েছে। এ খবর পাওয়ার পর তাঁরা অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য সন্দ্বীপে অভিযান চালানো হচ্ছে।
No comments