পরিস্থিতির উন্নতি, তবু রোহিঙ্গা আনতে দাতাদের নতুন যুক্তি-সীমান্ত খুলে দিতে এইচআরডাব্লিউয়ের চিঠি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও সেখান থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আসার সুযোগ দিতে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়
উল্লেখ করে যে যুক্তিগুলো দিয়েছেন, তা খণ্ডানোর চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। তাদের মতে, শরণার্থীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদগুলোতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর না করলেও মানবাধিকারবিষয়ক একাধিক সনদে স্বাক্ষরকারী হিসেবে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার দায়বদ্ধতা এড়াতে পারে না। নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে ওই দায়বদ্ধতার ব্যাপারে ছবক দিয়েছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতা সংস্থা ও বন্ধু-রাষ্ট্রগুলোকে মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর যে আহ্বান জানিয়েছিলেন সে বিষয়ে সংস্থাটি কোনো মন্তব্য করেনি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো দাতা সংস্থা, দেশ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের অবস্থানের সমালোচনা করে বলেছে, দাতাদের ভুলে গেলে চলবে না যে রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সমস্যা, বাংলাদেশের নয়। তাই সীমান্ত খুলে দিয়ে ওই সমস্যা বাংলাদেশের কাঁধে নেওয়া যৌক্তিক নয়। এ ছাড়া অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপও বাংলাদেশের নীতি নয়।
স্থানীয় প্রতিনিধি ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিক হতে চলেছে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতিও। জানা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টির পর সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দাতা ও মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে সেখানে কাজ শুরু করা উচিত বলে স্থানীয়রা মনে করে।
এদিকে ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্য পরিস্থিতি বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করছে এবং মিয়ানমারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে এবং সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো আরো জানায়, একাধিক বন্ধু-রাষ্ট্র, দাতা সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের অনুরোধ যেমন শুনছে, তেমনি এ ব্যাপারে দেশটি নিজস্ব অবস্থান তাদের কাছে তুলে ধরছে।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিবৃতির মধ্য দিয়েই সীমান্ত খুলে দিতে দাতাদের অনুরোধ বিষয়ে সরকারের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এর পরও সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। তারা আরো জানায়, এত দিন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাদের আহ্বান ছিল মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার সুযোগ দেওয়ার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংসদে বিবৃতি দেওয়ার পর এখন দাতা দেশ, সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া যুক্তিগুলোর বিপরীতে যুক্তি তুলে ধরে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
এইচআরডাব্লিউর চিঠি : মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে মানবাধিবার সংস্থা এইচআরডাব্লিউ গত বুধবার বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। গতকাল শনিবার সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা এক চিঠিতে সীমান্ত খুলে দিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছে। 'রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়'- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে সংস্থাটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশিদের ভারতে আশ্রয় নেওয়ার উদাহরণ দিয়েছে। এর পাশাপাশি সংস্থাটি বাংলাদেশের স্বাক্ষর করা বিভিন্ন সনদ, কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল'তে 'প্রিন্সিপাল অব ননরিফাউলমেন্ট'-এর প্রতি বাধ্যবাধকতার কথা তুলে ধরেছে।
মানবাধিকার সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আরো বলেছে, শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার মতো নিরাপদ অবস্থা মিয়ানমারে যত দিন না ফিরে আসছে, অন্তত তত দিন সাময়িকভাবে হলেও ওই শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া উচিত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছে, অতীতে বিভিন্ন সময় আসার পর বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ২৯ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো যায় না, তারা স্বেচ্ছায় যেতে চাইলেই কেবল বাংলাদেশ এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। শরণার্থী হিসেবে এ দেশে যে পরিমাণ সাহায্য ও সুযোগ-সুবিধা রোহিঙ্গারা পাচ্ছে তা ছেড়ে তারা আদৌ ফিরে যাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। শরণার্থীর বাইরে প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হয়। তারা বাংলাদেশে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন করে শরণার্থী নেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে কোনো অবস্থায়ই যৌক্তিক নয়। তিনি বলেন, 'আমরা খবর পাচ্ছি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। এখন দাতা সংস্থাগুলোর উচিত মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে রাখাইন রাজ্যে সাহায্য-সহযোগিতার চেষ্টা করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা এমন প্রচেষ্টা দেখছি না। তারা চাইছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে।'
সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বানের সমালোচনা করে ওই কূটনীতিক বলেন, 'যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে তখন ওই মানবাধিকার সংস্থা বা দাতাদের দিক থেকে তেমন কোনো উদ্বেগ আমরা দেখি না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবিক দিকটি আমরা বুঝি। সে জন্য আমরা সীমান্তে তাদের জরুরি চিকিৎসা, খাদ্য ও জ্বালানি সাহায্য দিচ্ছি। এ দেশের হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা হচ্ছে। অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত নয়। বরং এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের কাজ করাই যৌক্তিক হবে।' তিনি আরো বলেন, 'রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের। তাই প্রকৃত আগ্রহ থাকলে ওই সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারকে সহযোগিতা করা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা জানানো যৌক্তিক নয়।'
স্থানীয় প্রতিনিধি ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিক হতে চলেছে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতিও। জানা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টির পর সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দাতা ও মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে সেখানে কাজ শুরু করা উচিত বলে স্থানীয়রা মনে করে।
এদিকে ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্য পরিস্থিতি বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করছে এবং মিয়ানমারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে এবং সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো আরো জানায়, একাধিক বন্ধু-রাষ্ট্র, দাতা সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের অনুরোধ যেমন শুনছে, তেমনি এ ব্যাপারে দেশটি নিজস্ব অবস্থান তাদের কাছে তুলে ধরছে।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিবৃতির মধ্য দিয়েই সীমান্ত খুলে দিতে দাতাদের অনুরোধ বিষয়ে সরকারের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এর পরও সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। তারা আরো জানায়, এত দিন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাদের আহ্বান ছিল মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার সুযোগ দেওয়ার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংসদে বিবৃতি দেওয়ার পর এখন দাতা দেশ, সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া যুক্তিগুলোর বিপরীতে যুক্তি তুলে ধরে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
এইচআরডাব্লিউর চিঠি : মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে মানবাধিবার সংস্থা এইচআরডাব্লিউ গত বুধবার বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। গতকাল শনিবার সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা এক চিঠিতে সীমান্ত খুলে দিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছে। 'রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়'- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে সংস্থাটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশিদের ভারতে আশ্রয় নেওয়ার উদাহরণ দিয়েছে। এর পাশাপাশি সংস্থাটি বাংলাদেশের স্বাক্ষর করা বিভিন্ন সনদ, কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল'তে 'প্রিন্সিপাল অব ননরিফাউলমেন্ট'-এর প্রতি বাধ্যবাধকতার কথা তুলে ধরেছে।
মানবাধিকার সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আরো বলেছে, শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার মতো নিরাপদ অবস্থা মিয়ানমারে যত দিন না ফিরে আসছে, অন্তত তত দিন সাময়িকভাবে হলেও ওই শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া উচিত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলেছে, অতীতে বিভিন্ন সময় আসার পর বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় ২৯ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো যায় না, তারা স্বেচ্ছায় যেতে চাইলেই কেবল বাংলাদেশ এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। শরণার্থী হিসেবে এ দেশে যে পরিমাণ সাহায্য ও সুযোগ-সুবিধা রোহিঙ্গারা পাচ্ছে তা ছেড়ে তারা আদৌ ফিরে যাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। শরণার্থীর বাইরে প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হয়। তারা বাংলাদেশে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনীতিক গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন করে শরণার্থী নেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে কোনো অবস্থায়ই যৌক্তিক নয়। তিনি বলেন, 'আমরা খবর পাচ্ছি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। এখন দাতা সংস্থাগুলোর উচিত মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে রাখাইন রাজ্যে সাহায্য-সহযোগিতার চেষ্টা করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা এমন প্রচেষ্টা দেখছি না। তারা চাইছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে।'
সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বানের সমালোচনা করে ওই কূটনীতিক বলেন, 'যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে তখন ওই মানবাধিকার সংস্থা বা দাতাদের দিক থেকে তেমন কোনো উদ্বেগ আমরা দেখি না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবিক দিকটি আমরা বুঝি। সে জন্য আমরা সীমান্তে তাদের জরুরি চিকিৎসা, খাদ্য ও জ্বালানি সাহায্য দিচ্ছি। এ দেশের হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা হচ্ছে। অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত নয়। বরং এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের কাজ করাই যৌক্তিক হবে।' তিনি আরো বলেন, 'রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের। তাই প্রকৃত আগ্রহ থাকলে ওই সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারকে সহযোগিতা করা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা জানানো যৌক্তিক নয়।'
No comments