দ্রুত পুনর্নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন-ভঙ্গুর বেড়িবাঁধ বিপন্ন মানুষ
এবারের ঘূর্ণিঝড় সিডর বা আইলার মতো তীব্র ছিল না। কিন্তু শুধু অস্বাভাবিক জোয়ার ও অতিবর্ষণে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার বাঁধ পুরোপুরি ভেঙে গেছে। যদি বাঁধ ঠিক থাকত, তাহলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো। জানমালের নিরাপত্তা বিধানে বাঁধ ভাঙার কারণ অনুসন্ধান ও তার প্রতিকার প্রয়োজন।
মোটাদাগে বলা যায়, নিয়মিত সংস্কার ও মেরামত না করা, ভাঙা বাঁধ পুনর্নির্মাণে দুর্নীতি, একশ্রেণীর চিংড়িঘেরের মালিকের স্বেচ্ছাচারিতা প্রভৃতি কারণে বাঁধগুলো ক্ষণভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। ফলে উপকূলের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই উপকূলবাসীর জীবন-জীবিকা রক্ষা করতে হলে অন্তত এই তিনটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অর্ধেকেরও বেশি সিডর ও আইলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বল অবস্থায় ছিল। এরপর অনেক এলাকায় বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হলেও দাকোপ, কয়রা প্রভৃতি এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা যায়নি। ঠিকাদারদের অদক্ষতা ও দুর্নীতি এ জন্য দায়ী। এ অবস্থায় এবারের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সেসব ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকেছে। আর বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে গেছে। অর্থাৎ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার সুড়ঙ্গপথে এসেছে এবারের অভিশাপ।
উপকূলের বাঁধগুলো ষাটের দশকে নির্মাণ করা হয়েছিল। এগুলো সর্বশেষ মেরামত করা হয় আশির দশকে। বাঁধ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মেরামতের বিষয়টি দেখাশোনার জন্য স্থানীয় কমিটির একটি ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। এ জন্য কিছু ব্যয় হতো। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এ ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়। এটা উচিত হয়নি। কারণ, উপকূলীয় বাঁধ অরক্ষিত ফেলে রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই সুযোগে একশ্রেণীর চিংড়িঘেরের মালিক অবৈধভাবে বাঁধ কেটে স্লুইসগেট বসিয়ে সাগরের পানি আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসব দেখার কেউ নেই। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ইঁদুর মাটি খুঁড়ে বাঁধ দুর্বল করে ফেলে। ফলে অমাবস্যা-পূর্ণিমায় সামান্য ঘূর্ণিঝড়ও বিরাট বিপদ হয়ে দাঁড়ায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় জোয়ারের সময় ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ছে, ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জলবায়ুর বিপর্যয় রোধে বাঁধগুলো আরও অন্তত তিন ফুট উঁচু করতে হবে। ভাঙা ও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো পুনর্নির্মাণের সময় দেখা দরকার, যেন কাজটি দ্রুত হয় এবং বাঁধগুলো হয় আরও উঁচু। আর দুর্নীতি ও অদক্ষতা যেন বাঁধের আয়ু খেয়ে না ফেলে, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।
উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অর্ধেকেরও বেশি সিডর ও আইলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বল অবস্থায় ছিল। এরপর অনেক এলাকায় বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হলেও দাকোপ, কয়রা প্রভৃতি এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা যায়নি। ঠিকাদারদের অদক্ষতা ও দুর্নীতি এ জন্য দায়ী। এ অবস্থায় এবারের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সেসব ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকেছে। আর বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে গেছে। অর্থাৎ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার সুড়ঙ্গপথে এসেছে এবারের অভিশাপ।
উপকূলের বাঁধগুলো ষাটের দশকে নির্মাণ করা হয়েছিল। এগুলো সর্বশেষ মেরামত করা হয় আশির দশকে। বাঁধ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মেরামতের বিষয়টি দেখাশোনার জন্য স্থানীয় কমিটির একটি ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। এ জন্য কিছু ব্যয় হতো। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে এ ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়। এটা উচিত হয়নি। কারণ, উপকূলীয় বাঁধ অরক্ষিত ফেলে রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই সুযোগে একশ্রেণীর চিংড়িঘেরের মালিক অবৈধভাবে বাঁধ কেটে স্লুইসগেট বসিয়ে সাগরের পানি আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসব দেখার কেউ নেই। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ইঁদুর মাটি খুঁড়ে বাঁধ দুর্বল করে ফেলে। ফলে অমাবস্যা-পূর্ণিমায় সামান্য ঘূর্ণিঝড়ও বিরাট বিপদ হয়ে দাঁড়ায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায় জোয়ারের সময় ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ছে, ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জলবায়ুর বিপর্যয় রোধে বাঁধগুলো আরও অন্তত তিন ফুট উঁচু করতে হবে। ভাঙা ও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো পুনর্নির্মাণের সময় দেখা দরকার, যেন কাজটি দ্রুত হয় এবং বাঁধগুলো হয় আরও উঁচু। আর দুর্নীতি ও অদক্ষতা যেন বাঁধের আয়ু খেয়ে না ফেলে, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।
No comments