স্ফীতাবস্থার দ্রুত সংশোধন অপরিহার্য-ঝুঁকিতে শেয়ারবাজার
কোনো সন্দেহ নেই, দেশের শেয়ারবাজার এখন মাত্রাতিরিক্ত স্ফীত হয়ে উঠেছে। এর পেছনে যতটা না বিভিন্ন আর্থ-বাণিজ্যিক সূচকের যৌক্তিকতা কাজ করছে, তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করছে ফটকাবাজির প্রবণতা। অবশ্য ফটকাবাজি বা স্পেকুলেশন শেয়ারবাজারের একটি অন্তর্নিহিত বিষয়, যা বাজারে নগদ অর্থপ্রবাহ বাড়াতে ও বাজারকে
গতিময়তা দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। কিন্তু বাজারের ঝুঁকির মাত্রা বা ফটকাবাজির কৌশল সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত না হয়ে, যুক্তি-বুদ্ধি প্রয়োগ না করে শুধু মুনাফার প্রত্যাশায় লাখ লাখ মানুষ যখন শেয়ারবাজারে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে, তখন এই ফটকাবাজি-তাড়িত স্ফীতি বাজারকে বিরাট ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিয়েছে। বাজার কার্যত জুয়াবাজির ময়দানে রূপ নিয়েছে।
এই বাস্তবতায় দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিয়োগকারী ও কারবারিদের এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে যে বাজার এখন ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং হিসেব নিকেশ না করে বিনিয়োগ করলে বিরাট লোকসানের শঙ্কা রয়েছে। এই সতর্কবার্তা অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। অবশ্য এর আগে গত কয়েক মাসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে বাজারের ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করার চেষ্টা করেছে। এই ধারাবাহিকতাতেই সর্বশেষ দৈনিক এক কোটি টাকার বেশি লেনদেনকারীর তথ্য প্রদান করা, বিভাগীয় শহরের বাইরে শেয়ারের ব্রোকারেজ হাউস স্থাপনের আর কোনো অনুমতি না দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত এসেছে গত সপ্তাহে। কিন্তু এসইসি ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বাজারের বিষয়ে নিজেদের অদক্ষতা প্রকাশ করেছে, যা ফটকাবাজির প্রবণতাকেই উৎসাহিত করেছে।
অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপে সরকারের দিক থেকে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। যেমন—বাজারে যখন প্রচুর অর্থের প্রবাহ বেড়েছে, ব্যক্তির পাশাপাশি গড়ে উঠছে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, তখন শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো অপরিহার্য। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, অর্থমন্ত্রী একাধিকবার নির্দেশ দেওয়ার পরও ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়ে কোনো অর্থবহ উদ্যোগ নেই। সংশ্লিষ্ট আমলারা অপকৌশলে এই প্রক্রিয়াকে আটকে রেখেছেন। আবার এসইসিকে দক্ষ লোকবল ও আনুষঙ্গিক উপাদান দিয়ে শক্তিশালী ও কর্মক্ষম করার কোনো প্রয়াসও সরকারের নেই। নেই ১৯৯৬-এর শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য কোনো সক্রিয় তৎপরতা। এভাবেই সরকার শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদক্ষেপকে সমন্বয়হীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, যার সুযোগ নিচ্ছেন কতিপয় বড় ফটকা কারবারি। তাঁরা ছোট বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করছেন উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনতে।
কিন্তু বাজারের নিয়মেই দর বেড়ে একটা পর্যায়ে যাওয়ার পর তা সংশোধন হতে বা কমতে বাধ্য। এভাবে বাড়া-কমার মধ্য দিয়েই শেয়ারবাজার অগ্রসর হয়, পরিণত হয়। সুতরাং যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদেরই এই কঠিন সত্যটি মাথায় রাখতে হবে। লাভ ও লোকসানের সমান ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করাই এই বাজারের বৈশিষ্ট্য। তাই বাজারে বড় দরপতন ঘটলে সরকার বিনিয়োগকারীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসবে—এই প্রত্যাশা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। বরং দরপতন বা সংশোধনের মাধ্যমে বাজারে জমে ওঠা মেদ ঝরে পড়লে দীর্ঘ মেয়াদে তা সুফল বয়ে আনবে।
এই বাস্তবতায় দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিয়োগকারী ও কারবারিদের এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে যে বাজার এখন ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং হিসেব নিকেশ না করে বিনিয়োগ করলে বিরাট লোকসানের শঙ্কা রয়েছে। এই সতর্কবার্তা অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। অবশ্য এর আগে গত কয়েক মাসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে বাজারের ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করার চেষ্টা করেছে। এই ধারাবাহিকতাতেই সর্বশেষ দৈনিক এক কোটি টাকার বেশি লেনদেনকারীর তথ্য প্রদান করা, বিভাগীয় শহরের বাইরে শেয়ারের ব্রোকারেজ হাউস স্থাপনের আর কোনো অনুমতি না দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত এসেছে গত সপ্তাহে। কিন্তু এসইসি ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বাজারের বিষয়ে নিজেদের অদক্ষতা প্রকাশ করেছে, যা ফটকাবাজির প্রবণতাকেই উৎসাহিত করেছে।
অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপে সরকারের দিক থেকে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। যেমন—বাজারে যখন প্রচুর অর্থের প্রবাহ বেড়েছে, ব্যক্তির পাশাপাশি গড়ে উঠছে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, তখন শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো অপরিহার্য। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, অর্থমন্ত্রী একাধিকবার নির্দেশ দেওয়ার পরও ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়ে কোনো অর্থবহ উদ্যোগ নেই। সংশ্লিষ্ট আমলারা অপকৌশলে এই প্রক্রিয়াকে আটকে রেখেছেন। আবার এসইসিকে দক্ষ লোকবল ও আনুষঙ্গিক উপাদান দিয়ে শক্তিশালী ও কর্মক্ষম করার কোনো প্রয়াসও সরকারের নেই। নেই ১৯৯৬-এর শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য কোনো সক্রিয় তৎপরতা। এভাবেই সরকার শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদক্ষেপকে সমন্বয়হীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, যার সুযোগ নিচ্ছেন কতিপয় বড় ফটকা কারবারি। তাঁরা ছোট বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করছেন উচ্চমূল্যে শেয়ার কিনতে।
কিন্তু বাজারের নিয়মেই দর বেড়ে একটা পর্যায়ে যাওয়ার পর তা সংশোধন হতে বা কমতে বাধ্য। এভাবে বাড়া-কমার মধ্য দিয়েই শেয়ারবাজার অগ্রসর হয়, পরিণত হয়। সুতরাং যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদেরই এই কঠিন সত্যটি মাথায় রাখতে হবে। লাভ ও লোকসানের সমান ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করাই এই বাজারের বৈশিষ্ট্য। তাই বাজারে বড় দরপতন ঘটলে সরকার বিনিয়োগকারীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসবে—এই প্রত্যাশা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। বরং দরপতন বা সংশোধনের মাধ্যমে বাজারে জমে ওঠা মেদ ঝরে পড়লে দীর্ঘ মেয়াদে তা সুফল বয়ে আনবে।
No comments