টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-সীমানা বড় সমস্যা নয়, নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে
প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার পুরোনো সীমানায় সিটি, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলো ছাপা হলো।
রফিক আহমেদ, চিকিৎসক, সাভার
সঠিক সীমানা নির্ধারণ: যা এ দেশে কোনো দিনই সম্ভব নয়। নির্বাচন: নাই মামার চেয়ে কানা মামাই ভালো।
মো. শামসুল আলম, ব্যবসায়ী
গোসাইরহাট, শরীয়তপুর
পুরোনো সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিগত সময়ে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রধান সমস্যা, ইউনিয়নের সীমানা এলাকার অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ভোটার করা—যার নজির বিদ্যমান। ফলে প্রকৃত ভোটারসংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। নতুন অনেক পৌরসভা সৃষ্টি হলেও এর সঠিক সীমানা নির্ধারণ হয়নি। পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে সমস্যা থেকেই যাবে।
মো. কামাল হোসেন
প্রভাষক, ক্যামব্রিয়ান কলেজ ,কুমিল্লা
যেহেতু পুরোনো সীমানায় নির্বাচনের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাই এ ব্যাপারে আর ঘাঁটাঘাঁটি না করে সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ সবার সদিচ্ছা আবশ্যক।
আবদুর রশিদ, চাকরিজীবী, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ
সমস্যা আছে বলেই তো নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণ প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ। দায়সারাগোছের নির্বাচন কাম্য নয়।
মো. নুরুল আনোয়ার, চাকরিজীবী, ফেনী
সীমানা নতুন আর পুরোনো—এ নিয়ে সাধারণ মানুষ খুব একটা চিন্তা করে না। ভোট একটা দিতে হবে, দিয়ে আসবে। একটা ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও তারা বোঝে না। যদি বুঝত, তবে এসএসসি পাস না করা ব্যক্তি কোনো দিন জাতীয় সংসদে যেতে পারতেন না। সময়ের প্রয়োজনে সীমানা অবশ্যই পরিবর্তনযোগ্য। এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন, সাধারণ মানুষকে বোঝানো, আপনি যে ব্যক্তিকে ভোট দেবেন তিনি যেন সৎ ও শিক্ষিত হন।
নাইমুর রশিদ, শিক্ষার্থী, ডুমুরিয়া, খুলনা
পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে সমস্যার পড়বে জনগণ। একটু দেরি হলেও সীমানা নির্ধারণের পরই নির্বাচন হওয়া উচিত।
ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক, রাজশাহী
বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে তারা নতুন-পুরোনো কোনো সীমানায়ই নির্বাচন দিতে পারেনি। বর্তমান সময়ে সেটা হতে চলেছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। অতএব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন হওয়া দরকার।
হরিদাস কুমার, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পৃথিবীর চিরচরিত নিয়ম হলো পরিবর্তনশীলতা। কোনো সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রে পরিবর্তন বা পরিবর্ধন জরুরি হয়ে পড়ে অনেক সময়। কিন্তু এই পরিবর্তন যদি দেশের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করে, তাহলে সেই পরিবর্তন দরকার নেই। আমার মনে হয়, এখনই নির্বাচন হওয়া জরুরি।
মাহমুদ আজহার, ব্যবসায়ী, তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়
আমার মতে, পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হওয়া উচিত। কারণ সীমানা নির্ধারণের পর নির্বাচন করতে গেলে জটিলতা তৈরি হবে। এতে সময় নষ্ট হবে। তাই সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেওয়া হোক।
মো. মোখলেসুর রহমান
চাকরিজীবী, কালীগঞ্জ, গাজীপুর
জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন আবার পুরোনো সীমানায় নির্বাচন করতে গেলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তাই সব রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শফিউল আবেদীন
সাংবাদিক, দক্ষিণ চরতা, কুমিল্লা
পুরোনো সীমানায় পৌরসভা নির্বাচন হোক। কারণ, মেয়র ও কাউন্সিলররা ক্ষমতায় বেশি দিন থাকার জন্য নিজেদের লোক দিয়ে মামলা করে সময় নষ্ট করেন। সরকার এ বিষয় আমল না দিয়ে তাড়াতাড়ি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক—এটা সবাই চায়।
মুইদ হাসান, সাংবাদিক, টাঙ্গাইল
পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে প্রথমত ভোটারদের কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। নতুন সীমানা হলে, অনেক সময় দেখা যায় ভোটাররা নিজের এলাকায় ভোট দিতে পারছেন না। এতে বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে।
কামরুল ইসলাম, মানব উন্নয়নকর্মী
রিকাবি বাজার, মুন্সিগঞ্জ
সীমানার জটিলতা নিরসন না করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলে সরকারের শত কোটি টাকা অপচয় হবে। কারণ ক্ষমতাসীন মেয়র, চেয়ারম্যান ও সম্ভাব্য পরাজিত প্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট করে নির্বাচন বন্ধ করার সুযোগ পাবেন বলে তাঁরা বহাল তবিয়তে থাকতে পারবেন।
আমানউল্লাহ, ব্যবসায়ী, শান্তিনগর, ঢাকা
পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা নেই।
শরিফ আহমেদ, শিক্ষক, তিতাস, কুমিল্লা
প্রতিনিয়ত সিটি ও পৌরসভাগুলোর সীমানা বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণ হওয়া উচিত। তারপর নির্বাচনে যাওয়া উচিত।
ফরিদুল ইসলাম, চাকরিজীবী, বিজয়নগর, ঢাকা
যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই সীমানা নির্ধারণের পরই সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়া উচিত।
সিরাজ-উল-ইসলাম, শিক্ষার্থী, মিরকাদিম, মুন্সিগঞ্জ
জাতীয় স্বার্থে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে গোলটেবিল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তফসিল ঘোষণার পর সীমানা জটিলতা নিয়ে কোনো রিট করা যাবে না। তবেই নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া সম্ভব।
এস এম সাইফুল্লাহ, মুক্ত সাংবাদিক
কুতুবদিয়া কক্সবাজার
কেন দীর্ঘ আট বছর পরও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণ করা হলো না? পুরোনো সীমানায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সরকার ও নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির অন্যতম কারণ। অবিলম্বে সীমানা পুনরায় নির্ধারণ করা আবশ্যক।
মো. জুয়েল হোসেন, মানব উন্নয়নকর্মী
রিকাবি বাজার মুন্সিগঞ্জ
সীমানা জটিলতা নিরসন না করে নির্বাচন হলে অনেকেই নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে ভোট দিতে পারবেন না। ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে।
মণি অরণ্য, কৃষক, নবীনগর, সাভার
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নির্বাচন এবং যথাযথ সময় নির্বাচন দিয়ে মানুষের নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা। রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলার মুখে এ নির্বাচন কতটা শান্তি বয়ে আনবে সে বিষয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। তাই নির্বাচনমুখী উত্তেজনা স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করছি।
এম জামান, ব্যবসায়ী, বকশিগঞ্জ, জামালপুর
স্থানীয় সরকারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। সীমানা নির্ধারণের অজুহাতে আর দেরি করা ঠিক হবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত।
মুহাম্মদ এরশাদুল ইসলাম, চাকরিজীবী
পটিয়া, চট্টগ্রাম
এখানে সীমানা মুখ্য বিষয় নয়, মুখ্য হলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। অতএব, যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়, ততই মঙ্গল।
এস ডি রুবেল, শিক্ষার্থী, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল
পুরোনো সীমানায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি।
সাদ্দাম হোসেন, শিক্ষার্থী, ছাগলনাইয়া, ফেনী
নতুন করে সীমানা নির্ধারণ করলে অনেক জটিলতা তৈরি হবে। তাই পুরোনো সীমানাতেই নির্বাচন করা উচিত।
মো. জামাল, ব্যবসায়ী, মাদারীপুর
পুরোনো সীমানায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন—সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভালো। এতে করে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো আবার সক্রিয় হবে এবং এতে জনগণও উপকৃত হবে।
আলমগীর কবীর, ব্যবসায়ী, সিলেট
স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার আগে নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা উচিত। কারণ আমরা দেখেছি, আগের সীমানা অনুযায়ী কোনো কোনো নির্বাচনী এলাকা খুবই ছোট, আবার কোনোটি অনেক বড়।
আফরোজ, চাকরিজীবী, মাদারীপুর
পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে ভালো হবে। কারণ নতুন সীমানা সম্পর্কে অনেকে না-ও জানতে পারেন।
মো. সাইফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী, নওগাঁ
বর্তমান স্থানীয় সরকারের মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। যদি সীমানা নতুনভাবে নির্ধারণ করে নির্বাচন করতে হয়, তবে এতে সময় নষ্ট হবে। পুরোনো সীমানায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত।
ওয়াহিদ মুরাদ, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
পুরোনো সীমানায় সিটি ও পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে, তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি না তোলাই যৌক্তিক।
শাহ্ মুহাম্মদ মোয়াজ্জম, শিক্ষার্থী, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সিলেট
সীমানা নির্ধারণের পর নির্বাচন হওয়া উচিত। যদি সীমানা নির্ধারণের পর নির্বাচন হয়, তাহলে এলাকাভিত্তিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত একটু হলেও হ্রাস পাবে। তাই এ বিষয়টি সরকারের বিবেচনা করা উচিত।
সঠিক সীমানা নির্ধারণ: যা এ দেশে কোনো দিনই সম্ভব নয়। নির্বাচন: নাই মামার চেয়ে কানা মামাই ভালো।
মো. শামসুল আলম, ব্যবসায়ী
গোসাইরহাট, শরীয়তপুর
পুরোনো সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিগত সময়ে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রধান সমস্যা, ইউনিয়নের সীমানা এলাকার অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ভোটার করা—যার নজির বিদ্যমান। ফলে প্রকৃত ভোটারসংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। নতুন অনেক পৌরসভা সৃষ্টি হলেও এর সঠিক সীমানা নির্ধারণ হয়নি। পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে সমস্যা থেকেই যাবে।
মো. কামাল হোসেন
প্রভাষক, ক্যামব্রিয়ান কলেজ ,কুমিল্লা
যেহেতু পুরোনো সীমানায় নির্বাচনের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাই এ ব্যাপারে আর ঘাঁটাঘাঁটি না করে সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ সবার সদিচ্ছা আবশ্যক।
আবদুর রশিদ, চাকরিজীবী, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ
সমস্যা আছে বলেই তো নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণ প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ। দায়সারাগোছের নির্বাচন কাম্য নয়।
মো. নুরুল আনোয়ার, চাকরিজীবী, ফেনী
সীমানা নতুন আর পুরোনো—এ নিয়ে সাধারণ মানুষ খুব একটা চিন্তা করে না। ভোট একটা দিতে হবে, দিয়ে আসবে। একটা ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও তারা বোঝে না। যদি বুঝত, তবে এসএসসি পাস না করা ব্যক্তি কোনো দিন জাতীয় সংসদে যেতে পারতেন না। সময়ের প্রয়োজনে সীমানা অবশ্যই পরিবর্তনযোগ্য। এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন, সাধারণ মানুষকে বোঝানো, আপনি যে ব্যক্তিকে ভোট দেবেন তিনি যেন সৎ ও শিক্ষিত হন।
নাইমুর রশিদ, শিক্ষার্থী, ডুমুরিয়া, খুলনা
পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে সমস্যার পড়বে জনগণ। একটু দেরি হলেও সীমানা নির্ধারণের পরই নির্বাচন হওয়া উচিত।
ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক, রাজশাহী
বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে তারা নতুন-পুরোনো কোনো সীমানায়ই নির্বাচন দিতে পারেনি। বর্তমান সময়ে সেটা হতে চলেছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। অতএব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন হওয়া দরকার।
হরিদাস কুমার, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পৃথিবীর চিরচরিত নিয়ম হলো পরিবর্তনশীলতা। কোনো সমস্যা মোকাবিলার ক্ষেত্রে পরিবর্তন বা পরিবর্ধন জরুরি হয়ে পড়ে অনেক সময়। কিন্তু এই পরিবর্তন যদি দেশের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করে, তাহলে সেই পরিবর্তন দরকার নেই। আমার মনে হয়, এখনই নির্বাচন হওয়া জরুরি।
মাহমুদ আজহার, ব্যবসায়ী, তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়
আমার মতে, পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হওয়া উচিত। কারণ সীমানা নির্ধারণের পর নির্বাচন করতে গেলে জটিলতা তৈরি হবে। এতে সময় নষ্ট হবে। তাই সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেওয়া হোক।
মো. মোখলেসুর রহমান
চাকরিজীবী, কালীগঞ্জ, গাজীপুর
জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন আবার পুরোনো সীমানায় নির্বাচন করতে গেলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তাই সব রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
শফিউল আবেদীন
সাংবাদিক, দক্ষিণ চরতা, কুমিল্লা
পুরোনো সীমানায় পৌরসভা নির্বাচন হোক। কারণ, মেয়র ও কাউন্সিলররা ক্ষমতায় বেশি দিন থাকার জন্য নিজেদের লোক দিয়ে মামলা করে সময় নষ্ট করেন। সরকার এ বিষয় আমল না দিয়ে তাড়াতাড়ি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক—এটা সবাই চায়।
মুইদ হাসান, সাংবাদিক, টাঙ্গাইল
পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে প্রথমত ভোটারদের কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। নতুন সীমানা হলে, অনেক সময় দেখা যায় ভোটাররা নিজের এলাকায় ভোট দিতে পারছেন না। এতে বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে।
কামরুল ইসলাম, মানব উন্নয়নকর্মী
রিকাবি বাজার, মুন্সিগঞ্জ
সীমানার জটিলতা নিরসন না করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলে সরকারের শত কোটি টাকা অপচয় হবে। কারণ ক্ষমতাসীন মেয়র, চেয়ারম্যান ও সম্ভাব্য পরাজিত প্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট করে নির্বাচন বন্ধ করার সুযোগ পাবেন বলে তাঁরা বহাল তবিয়তে থাকতে পারবেন।
আমানউল্লাহ, ব্যবসায়ী, শান্তিনগর, ঢাকা
পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা নেই।
শরিফ আহমেদ, শিক্ষক, তিতাস, কুমিল্লা
প্রতিনিয়ত সিটি ও পৌরসভাগুলোর সীমানা বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণ হওয়া উচিত। তারপর নির্বাচনে যাওয়া উচিত।
ফরিদুল ইসলাম, চাকরিজীবী, বিজয়নগর, ঢাকা
যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই সীমানা নির্ধারণের পরই সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়া উচিত।
সিরাজ-উল-ইসলাম, শিক্ষার্থী, মিরকাদিম, মুন্সিগঞ্জ
জাতীয় স্বার্থে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে গোলটেবিল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তফসিল ঘোষণার পর সীমানা জটিলতা নিয়ে কোনো রিট করা যাবে না। তবেই নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া সম্ভব।
এস এম সাইফুল্লাহ, মুক্ত সাংবাদিক
কুতুবদিয়া কক্সবাজার
কেন দীর্ঘ আট বছর পরও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণ করা হলো না? পুরোনো সীমানায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সরকার ও নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির অন্যতম কারণ। অবিলম্বে সীমানা পুনরায় নির্ধারণ করা আবশ্যক।
মো. জুয়েল হোসেন, মানব উন্নয়নকর্মী
রিকাবি বাজার মুন্সিগঞ্জ
সীমানা জটিলতা নিরসন না করে নির্বাচন হলে অনেকেই নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে ভোট দিতে পারবেন না। ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে।
মণি অরণ্য, কৃষক, নবীনগর, সাভার
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নির্বাচন এবং যথাযথ সময় নির্বাচন দিয়ে মানুষের নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা। রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলার মুখে এ নির্বাচন কতটা শান্তি বয়ে আনবে সে বিষয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। তাই নির্বাচনমুখী উত্তেজনা স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করছি।
এম জামান, ব্যবসায়ী, বকশিগঞ্জ, জামালপুর
স্থানীয় সরকারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। সীমানা নির্ধারণের অজুহাতে আর দেরি করা ঠিক হবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত।
মুহাম্মদ এরশাদুল ইসলাম, চাকরিজীবী
পটিয়া, চট্টগ্রাম
এখানে সীমানা মুখ্য বিষয় নয়, মুখ্য হলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। অতএব, যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়, ততই মঙ্গল।
এস ডি রুবেল, শিক্ষার্থী, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল
পুরোনো সীমানায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি।
সাদ্দাম হোসেন, শিক্ষার্থী, ছাগলনাইয়া, ফেনী
নতুন করে সীমানা নির্ধারণ করলে অনেক জটিলতা তৈরি হবে। তাই পুরোনো সীমানাতেই নির্বাচন করা উচিত।
মো. জামাল, ব্যবসায়ী, মাদারীপুর
পুরোনো সীমানায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন—সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভালো। এতে করে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো আবার সক্রিয় হবে এবং এতে জনগণও উপকৃত হবে।
আলমগীর কবীর, ব্যবসায়ী, সিলেট
স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার আগে নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা উচিত। কারণ আমরা দেখেছি, আগের সীমানা অনুযায়ী কোনো কোনো নির্বাচনী এলাকা খুবই ছোট, আবার কোনোটি অনেক বড়।
আফরোজ, চাকরিজীবী, মাদারীপুর
পুরোনো সীমানায় নির্বাচন হলে ভালো হবে। কারণ নতুন সীমানা সম্পর্কে অনেকে না-ও জানতে পারেন।
মো. সাইফুল ইসলাম, ব্যবসায়ী, নওগাঁ
বর্তমান স্থানীয় সরকারের মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। যদি সীমানা নতুনভাবে নির্ধারণ করে নির্বাচন করতে হয়, তবে এতে সময় নষ্ট হবে। পুরোনো সীমানায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত।
ওয়াহিদ মুরাদ, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
পুরোনো সীমানায় সিটি ও পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে, তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি না তোলাই যৌক্তিক।
শাহ্ মুহাম্মদ মোয়াজ্জম, শিক্ষার্থী, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সিলেট
সীমানা নির্ধারণের পর নির্বাচন হওয়া উচিত। যদি সীমানা নির্ধারণের পর নির্বাচন হয়, তাহলে এলাকাভিত্তিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত একটু হলেও হ্রাস পাবে। তাই এ বিষয়টি সরকারের বিবেচনা করা উচিত।
No comments