সিপিডির বাজেট সংলাপ-শেয়ারবাজার নয়, সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় কিছু লোক দুষ্টু
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, শেয়ারবাজার দুষ্টু। কিন্তু শেয়ারবাজার কখনো দুষ্টু হতে পারে না। সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে কিছু দুষ্টু লোক এ বাজারে কাজ করছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সংলাপে এসব কথা বলা হয়।
এ সময় বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের এ বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর দেরি করা মোটেই উচিত হবে না।’
সংলাপে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের বড় অংশজুড়েই ছিল শেয়ারবাজার প্রসঙ্গ। শেয়ারবাজার নিয়ে আরও কথা বলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানি শোষক ও বাঙালি শোষকদের মধ্যে কোনো তফাত নেই। তাই এর যথাযথ শাস্তি চাই। সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনেই শেয়ারবাজার লুটপাটকারীদের নাম এসেছে। এত দিন হয়ে গেল, এখন পর্যন্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হলো না।’ তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনুন। দরকার হলে আমি স্বেচ্ছায় আইনি সহায়তা দেব।’
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে এই আইনজ্ঞ বলেন, ‘কারা সেই ক্ষমতাবান লোক, যাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী ক্ষমতাহীন লোক হতে পারেন, কিন্তু এ দেশের জনগণ ক্ষমতাহীন নয়, তারা ক্ষমতার উৎস। এ দেশের আইন ক্ষমতাহীন নয়। তাই সেসব ক্ষমতাবানের নাম বলুন। জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
ড. কামাল বলেন, ‘আমরা এখানে যারা আছি, তাদের সবাই কমবেশি জানি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে লাভবান কারা হয়েছেন। কারা অনৈতিকভাবে গরিব মানুষের ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। তা হলে এ জন্যই কি আমরা ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করেছি?’
দেশের অন্যতম এই সংবিধানপ্রণেতা বলেন, ‘শেয়ারবাজারের সমস্যা মূলত ১৯৯৬ সালে তৈরি হয়েছে। ওই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরও এখনো বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। এটি অনেক বিলম্বিত হয়ে আছে।’ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু কেন সেটি এখনো করা হলো না—এই প্রশ্নের কোনো উত্তরও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ড. কামাল।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে কারা যুক্ত, সেটি খুঁজে বের করার মতো অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এখন রয়েছে। তার পরও কেন তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না? দেশে একটা নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন—এসইসি) থাকার পরও যদি এত বড় কেলেঙ্কারি ঘটে, তাহলে তাদের প্রতি কী ধারণা করব। তাদের কি এই কেলেঙ্কারির বাইরে রাখা যায়? বিনিয়োগকারীরা কীভাবে এই বাজারের ওপর আস্থা রাখবে।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে কিছু দুুষ্টু লোক এ বাজারে কাজ করছে। একেক সময় একেকটা ঘোষণা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উত্তেজনা (হাইপ) তৈরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। কখনো বাংলাদেশ ফান্ড, কখনো বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়ে বাজারে উত্তেজনা তৈরি করা হলো। সেসব ফান্ডের কী অবস্থা, তা কেউই জানে না।’ তিনি বলেন, বাজারকে তার নিজস্ব নিয়মে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। বারবার সেখানে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। কিছু ব্যক্তিকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এসব করা হচ্ছে। কিন্তু হস্তক্ষেপ করে কখনো বাজার পরিচালনা করা যায় না।
সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এক বছর ধরে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা চলছে। অর্থমন্ত্রী তো এটাকে দুষ্টু বাজার বলেই ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু এর যে অবদান আছে, সেটা স্বীকার করে বাজেটে নির্দেশনা থাকা উচিত ছিল। বিনিয়োগকারীদের কথা ভাবার দরকার ছিল।’
সংলাপে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের বড় অংশজুড়েই ছিল শেয়ারবাজার প্রসঙ্গ। শেয়ারবাজার নিয়ে আরও কথা বলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানি শোষক ও বাঙালি শোষকদের মধ্যে কোনো তফাত নেই। তাই এর যথাযথ শাস্তি চাই। সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনেই শেয়ারবাজার লুটপাটকারীদের নাম এসেছে। এত দিন হয়ে গেল, এখন পর্যন্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হলো না।’ তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনুন। দরকার হলে আমি স্বেচ্ছায় আইনি সহায়তা দেব।’
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে এই আইনজ্ঞ বলেন, ‘কারা সেই ক্ষমতাবান লোক, যাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী ক্ষমতাহীন লোক হতে পারেন, কিন্তু এ দেশের জনগণ ক্ষমতাহীন নয়, তারা ক্ষমতার উৎস। এ দেশের আইন ক্ষমতাহীন নয়। তাই সেসব ক্ষমতাবানের নাম বলুন। জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
ড. কামাল বলেন, ‘আমরা এখানে যারা আছি, তাদের সবাই কমবেশি জানি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে লাভবান কারা হয়েছেন। কারা অনৈতিকভাবে গরিব মানুষের ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। তা হলে এ জন্যই কি আমরা ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করেছি?’
দেশের অন্যতম এই সংবিধানপ্রণেতা বলেন, ‘শেয়ারবাজারের সমস্যা মূলত ১৯৯৬ সালে তৈরি হয়েছে। ওই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরও এখনো বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। এটি অনেক বিলম্বিত হয়ে আছে।’ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু কেন সেটি এখনো করা হলো না—এই প্রশ্নের কোনো উত্তরও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ড. কামাল।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে কারা যুক্ত, সেটি খুঁজে বের করার মতো অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এখন রয়েছে। তার পরও কেন তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না? দেশে একটা নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন—এসইসি) থাকার পরও যদি এত বড় কেলেঙ্কারি ঘটে, তাহলে তাদের প্রতি কী ধারণা করব। তাদের কি এই কেলেঙ্কারির বাইরে রাখা যায়? বিনিয়োগকারীরা কীভাবে এই বাজারের ওপর আস্থা রাখবে।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে কিছু দুুষ্টু লোক এ বাজারে কাজ করছে। একেক সময় একেকটা ঘোষণা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উত্তেজনা (হাইপ) তৈরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। কখনো বাংলাদেশ ফান্ড, কখনো বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়ে বাজারে উত্তেজনা তৈরি করা হলো। সেসব ফান্ডের কী অবস্থা, তা কেউই জানে না।’ তিনি বলেন, বাজারকে তার নিজস্ব নিয়মে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। বারবার সেখানে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। কিছু ব্যক্তিকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এসব করা হচ্ছে। কিন্তু হস্তক্ষেপ করে কখনো বাজার পরিচালনা করা যায় না।
সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এক বছর ধরে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা চলছে। অর্থমন্ত্রী তো এটাকে দুষ্টু বাজার বলেই ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু এর যে অবদান আছে, সেটা স্বীকার করে বাজেটে নির্দেশনা থাকা উচিত ছিল। বিনিয়োগকারীদের কথা ভাবার দরকার ছিল।’
No comments