এদের ধরা গেল না কেন?-যুবদলের অস্ত্রবাজি
আবার অস্ত্রবাজি, এবার যুবদল, ঘটনাস্থল কুমিল্লা। পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে এই অস্ত্রবাজির যেসব ছবি দেখা গেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, এর পেছনে প্রস্তুতি ছিল। এটা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঘটা আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। কারণ অস্ত্রধারীরা অস্ত্রবাজির জন্য শুধু অস্ত্রই আনেননি, সঙ্গে মুখোশও নিয়ে এসেছেন।
তাঁরা মুখোশ পরে অস্ত্র উঁচিয়ে গোলাগুলি করেছেন। সারা দেশের লোকজন এসব ছবি দেখেছে, আর পুলিশের ভাষ্যমতে এ ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়ে স্থানীয় জনগণ। এ ঘটনায় যুবদলের সম্মেলনস্থল কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকার টাউন হল মিলনায়তন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহত হয়েছে চার পুলিশসহ ৩০ জন। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রস্তুতি নিয়ে এই যে অস্ত্রবাজি হলো, তা পুলিশ আগেভাগে টের পেল না কেন?
দেখা যাচ্ছে অস্ত্রবাজি, লাঠিবাজি বা ককটেলবাজিতে বিরোধী দলের অঙ্গসংগঠনও পিছিয়ে নেই। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে যুবদলের এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর যেভাবে হামলা করেছে, গোলাগুলি করেছে, ককটেল ছুড়ে মেরেছে—আইনশৃঙ্খলার বিবেচনায় তা খুবই গুরুতর। পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার একই দিনে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। মানুষ নিরাপদ বোধ করছে।’ গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় অস্ত্র হাতে যুবদল কর্মীদের এ ধরনের ছবি দেখে মানুষ কতটা নিরাপদ বোধ করছে, সেটা এক বড় প্রশ্ন।
যুবদলের দুই পক্ষের মারামারি ও অস্ত্রবাজি থামাতে পুলিশকে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করতে হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ ১৫ জনকে আটক করেছে। তবে অস্ত্রবাজির সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি। এটাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। এই অস্ত্রবাজেরা যদি ধরা না পড়েন ও তাঁদের বিরুদ্ধে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তবে জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ বাড়বে। আর রাজনীতির নামে যা খুশি তা করার প্রবণাতও বাড়বে।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার একদিকে নিজের দল ও দলের অঙ্গসংগঠনের লোকজনের দুর্বৃত্তপনাকে সামাল দিতে যেমন ব্যর্থ হচ্ছে, তেমনিভাবে রাজনীতির নামে বিরোধীপক্ষের দুর্বৃত্তপনাকেও সামাল দিতে পারছে না। আমরা মনে করি, সরকার যদি আইনকে নিজের গতিতে চলতে দেয় ও আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কোনো দলীয় বিবেচনাকে প্রশ্রয় না দেয়, তবে সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। আমরা আশা করব, রাজনীতির নামে সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে। আর প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উদ্দেশে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব নিশ্চয়ই সরকারের কিন্তু দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা যেভাবে অস্ত্রবাজি করলেন, তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। যাঁরা এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলটি কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা এখন দেখার বিষয়।
দেখা যাচ্ছে অস্ত্রবাজি, লাঠিবাজি বা ককটেলবাজিতে বিরোধী দলের অঙ্গসংগঠনও পিছিয়ে নেই। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে যুবদলের এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর যেভাবে হামলা করেছে, গোলাগুলি করেছে, ককটেল ছুড়ে মেরেছে—আইনশৃঙ্খলার বিবেচনায় তা খুবই গুরুতর। পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার একই দিনে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। মানুষ নিরাপদ বোধ করছে।’ গতকাল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় অস্ত্র হাতে যুবদল কর্মীদের এ ধরনের ছবি দেখে মানুষ কতটা নিরাপদ বোধ করছে, সেটা এক বড় প্রশ্ন।
যুবদলের দুই পক্ষের মারামারি ও অস্ত্রবাজি থামাতে পুলিশকে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করতে হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ ১৫ জনকে আটক করেছে। তবে অস্ত্রবাজির সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি। এটাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। এই অস্ত্রবাজেরা যদি ধরা না পড়েন ও তাঁদের বিরুদ্ধে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তবে জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ বাড়বে। আর রাজনীতির নামে যা খুশি তা করার প্রবণাতও বাড়বে।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার একদিকে নিজের দল ও দলের অঙ্গসংগঠনের লোকজনের দুর্বৃত্তপনাকে সামাল দিতে যেমন ব্যর্থ হচ্ছে, তেমনিভাবে রাজনীতির নামে বিরোধীপক্ষের দুর্বৃত্তপনাকেও সামাল দিতে পারছে না। আমরা মনে করি, সরকার যদি আইনকে নিজের গতিতে চলতে দেয় ও আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কোনো দলীয় বিবেচনাকে প্রশ্রয় না দেয়, তবে সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। আমরা আশা করব, রাজনীতির নামে সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে। আর প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উদ্দেশে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব নিশ্চয়ই সরকারের কিন্তু দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা যেভাবে অস্ত্রবাজি করলেন, তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। যাঁরা এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলটি কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা এখন দেখার বিষয়।
No comments