কর্মসূচির নামে জনদুর্ভোগ বাড়াবেন না-সংযম দেখাতে হবে দুই পক্ষকেই
আগামী ১২ মার্চ রাজধানী ঢাকায় চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশের যে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা ঢাকাবাসী সাধারণ নাগরিকদের জন্য দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের বিষয়।বিএনপির ঢাকা মহানগরের এক নেতা বলেছেন, মহাসমাবেশে কমপক্ষে পাঁচ লাখ লোকের সমাগম নিশ্চিত করার প্রয়াস থাকবে।
চারদলীয় জোটের সব শরিক দল মিলে আরও বেশিসংখ্যক মানুষের সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা হবে। এমন বিপুল সমাবেশ ঘটানো হবে, যা হবে সরকারের হিসাবেরও বাইরে। সেদিনের সম্ভাব্য চিত্রটা মোটামুটি পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের কথায়: ‘সেদিন ঢাকা শহরের কোথাও গাড়ি বা রিকশায় চলার মতো জায়গা পাওয়া যাবে না।’ তাহলে জনজীবনে কী যে ভোগান্তি ও দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।
দ্বিতীয়ত, মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে তো? বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার যতই বাধার সৃষ্টি করুক না কেন, সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটানোর চেষ্টা তারা করবে। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে পালানোর পথ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ ধরনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করবে। বিরোধী দল বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে। সে ক্ষেত্রে কর্মী-সমর্থকদের বেআইনি তৎপরতা থেকে নিবৃত্ত করার দায়িত্বও তাদের। অন্যদিকে বিরোধী দলের মহাসমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়, সেই লক্ষ্যে সরকারকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রথম আলোয় সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাসমাবেশের দিন রাজধানী ঢাকার ছয়টি প্রবেশপথসহ মহানগরের অভ্যন্তরে ১৮টি স্থানে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবেন। আবাসিক হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, খাবারের দোকানগুলোও তাঁদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে—এ কথা চার দলের সূত্রেই জানানো হয়েছে। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণের স্বরূপ কী হবে, তাঁদের অবস্থান ও নিয়ন্ত্রণ কী রূপ পরিগ্রহ করবে, তা বলা কঠিন। জনসাধারণের চলাফেরায় ও কাজকর্মে স্বাভাবিক ছন্দ বিনষ্ট হতে পারে, কিন্তু সেটা যত উদ্বেগের বিষয় নয়, তার চেয়ে বেশি উদ্বেগ শক্তি প্রদর্শন ও শক্তি প্রয়োগের প্রবণতা নিয়ে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সময় সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে জনগণের ভোগান্তি সম্পর্কে সচেতনতা বা সংবেদনশীলতা লক্ষ করা যায় না। তাঁরা ধরেই নেন, দুর্ভোগ জনগণকে মেনে নিতে হবে। আবার কখনো কখনো ইচ্ছা করেই জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে একটা অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। জবরদস্তির এই প্রবণতা পরিত্যাগ করা উচিত। জনজীবনের স্বাভাবিক ছন্দে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সময় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা এবং সাধারণ মানুষের চলাফেরায়-কাজকর্মে বিঘ্ন যেন ন্যূনতম মাত্রায় থাকে।
চারদলীয় জোটের প্রধান দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব এটা নিশ্চিত করা যে ১২ মার্চের মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি পালনের নামে ইতিপূর্বে রাজপথে যে ধরনের দৌরাত্ম্য দেখিয়েছে, তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
দ্বিতীয়ত, মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে তো? বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার যতই বাধার সৃষ্টি করুক না কেন, সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটানোর চেষ্টা তারা করবে। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে পালানোর পথ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ ধরনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করবে। বিরোধী দল বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে। সে ক্ষেত্রে কর্মী-সমর্থকদের বেআইনি তৎপরতা থেকে নিবৃত্ত করার দায়িত্বও তাদের। অন্যদিকে বিরোধী দলের মহাসমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়, সেই লক্ষ্যে সরকারকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রথম আলোয় সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাসমাবেশের দিন রাজধানী ঢাকার ছয়টি প্রবেশপথসহ মহানগরের অভ্যন্তরে ১৮টি স্থানে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবেন। আবাসিক হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, খাবারের দোকানগুলোও তাঁদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে—এ কথা চার দলের সূত্রেই জানানো হয়েছে। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণের স্বরূপ কী হবে, তাঁদের অবস্থান ও নিয়ন্ত্রণ কী রূপ পরিগ্রহ করবে, তা বলা কঠিন। জনসাধারণের চলাফেরায় ও কাজকর্মে স্বাভাবিক ছন্দ বিনষ্ট হতে পারে, কিন্তু সেটা যত উদ্বেগের বিষয় নয়, তার চেয়ে বেশি উদ্বেগ শক্তি প্রদর্শন ও শক্তি প্রয়োগের প্রবণতা নিয়ে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সময় সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে জনগণের ভোগান্তি সম্পর্কে সচেতনতা বা সংবেদনশীলতা লক্ষ করা যায় না। তাঁরা ধরেই নেন, দুর্ভোগ জনগণকে মেনে নিতে হবে। আবার কখনো কখনো ইচ্ছা করেই জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে একটা অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। জবরদস্তির এই প্রবণতা পরিত্যাগ করা উচিত। জনজীবনের স্বাভাবিক ছন্দে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সময় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা এবং সাধারণ মানুষের চলাফেরায়-কাজকর্মে বিঘ্ন যেন ন্যূনতম মাত্রায় থাকে।
চারদলীয় জোটের প্রধান দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব এটা নিশ্চিত করা যে ১২ মার্চের মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি পালনের নামে ইতিপূর্বে রাজপথে যে ধরনের দৌরাত্ম্য দেখিয়েছে, তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
No comments