বগুড়া সরকারি মহিলা কলেজঃ নিবন্ধনবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট
বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজে ইংরেজি বিভাগের নিবন্ধনবঞ্চিত ৬৭ জন শিক্ষার্থীর নিবন্ধনপত্র (রেজিস্ট্রেশন) প্রদানের দাবিতে কলেজে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ধর্মঘট চলাকালে শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের বনানী-মাটিডালী সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে ধর্মঘট চলাকালে সেখানে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদা খাতুন রানী, রাবেয়া নাহার, নূর আক্তার, রাশেদা খাতুন, কেয়া মনি, শারমিন আক্তার, শাম্মি আক্তার প্রমুখ। এ সময় আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ছাত্রফ্রন্ট কলেজ শাখার সংগঠক বনানী রায় ববি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অদক্ষতার দায় তাঁরা কোনোভাবেই বহন করবেন না উল্লেখ করে বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই ইংরেজি বিষয়ে তাঁরা ভর্তি হয়েছেন। দ্বিতীয় বর্ষে ওঠার আগ মুহূর্তে এসে তাঁদের ভর্তি বাতিলের এই প্রক্রিয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। অবিলম্বে তাঁদের নিবন্ধনপত্র না দেওয়া হলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন। সূত্র জানায়, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে মহিলা কলেজে সম্মান শ্রেণীর প্রথম বর্ষে ১০৫ জন ছাত্রী ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকেই ভর্তি করা হয়েছে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রিলিজ স্লিপের (ছাড়পত্র) ভিত্তিতে। শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় অনলাইনে। ফরম পূরণ থেকে শুরু করে জমাদান প্রক্রিয়া শেষ হলেও তাঁরা ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে নূ্যনতম ১২ নম্বর পেয়েছেন কি না, তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। ভর্তির সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ শুধু ইংরেজিতে তাঁরা জিপিএ ৩ পেয়েছেন কি না, তা যাচাই করে ভর্তির অনুমতি দেন। এরপর নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে গত এক বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ক্লাসও করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁরা ক্লাস টেস্ট এবং টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়ও অংশ নেন। আগামী ১৮ মার্চ থেকে তাঁদের বর্ষ সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজ প্রশাসনকে জানায়, সম্মান শ্রেণীর ৬৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ১২ নম্বর না পাওয়ায় তাঁদের ভর্তি বাতিল করা হবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা রবিবার সকালে কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কলেজে প্রবেশ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে তাঁরা কলেজের সামনের রাস্তা অবরোধ করলে সেখানে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এবং কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে অবরোধ তুলে দেন। সেখান থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অধ্যক্ষ শামস-উল আলম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জানান, আগামী ৬ মার্চ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগ পর্যন্ত তিনি আন্দোলন না করার জন্য আহ্বান জানান।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা রবিবার সকালে কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কলেজে প্রবেশ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে তাঁরা কলেজের সামনের রাস্তা অবরোধ করলে সেখানে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এবং কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে অবরোধ তুলে দেন। সেখান থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অধ্যক্ষ শামস-উল আলম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জানান, আগামী ৬ মার্চ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগ পর্যন্ত তিনি আন্দোলন না করার জন্য আহ্বান জানান।
No comments