শেয়ারবাজার-ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে
শেয়ারবাজার নিয়ে সরকারের একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এর বিপরীতে যাঁরা ঋণসুবিধা নিয়েছেন, তাঁদের এক বছরের সুদের ৫০ শতাংশ মওকুফ এবং ২০১২ ও ২০১৩ সালে ইস্যু হওয়া শেয়ারের আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হবে।
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অংশ হিসেবেই এ ঘোষণা এসেছে।
শেয়ারবাজারে দরপতনের ঘটনা সারা বিশ্বেই ঘটে থাকে। নিয়মিত ওঠানামার ভেতর দিয়ে শেয়ারবাজার চলে। কিন্তু বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দরপতনের যে ধারা ছিল, সেখান থেকে উত্তরণের কোনো পথই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ধস নামতে শুরু করে বাজারে। তার আগে বাজারের যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা গেছে, সেটাও যে স্বাভাবিক ছিল, তা বলা যাবে না। বাজারের ঊর্ধ্বগতি মানুষকে আকৃষ্ট করেছে এই বাজারে। সীমিত অর্থনীতির দেশে অল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় এটা অস্বাভাবিক নয়। শেয়ারবাজারে টাকা ঢুকলে শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এসইসির দুর্বলতা ও নানা অনিয়ম বাজারকে প্রভাবিত করেছে। সেখান থেকে উঠে মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে বেশ কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়। এর আগে শেয়ারবাজারের কেলেঙ্কারি খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয় একটি তদন্ত কমিটি। সেই তদন্ত কমিটি শেয়ারবাজারের নানা অসংগতিও তুলে ধরে। পুনর্গঠিত এসইসি শেয়ারবাজার সংস্কারের অনেক কাজ করছে বলে জানা যায়।
শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে আস্থার। আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে শেয়ারবাজারের অস্বাভাবিকতা কাটিয়ে ওঠা যাবে না। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে বাজারে যে ধস নামে, তার নেপথ্যেও ছিল আস্থার সংকট। আবার এই সংকট তৈরি করা হয়েছে। বাজারকে উঠতে সাহায্য করেছে এমন একটি বিষয় হচ্ছে বুক বিল্ডিং। যেসব কম্পানি বুক বিল্ডিংয়ের জন্য এসেছিল, তারা বাজারকে ওপরে তোলার জন্য প্রভাবিত করেছে বলে অভিযোগ আছে। তাদের তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া স্টক এঙ্চেঞ্জের বাইরে প্লেসমেন্ট শেয়ার বেচাকেনার বাজার তৈরি হয়েছিল কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে। যেখানে অতিমূল্যায়িত দামে নতুন কম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার বেচাকেনা হতো। এতে এসইসির আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। কিন্তু আইনগত কোনো ব্যবস্থা তখন নেওয়া হয়নি। এখান থেকেই আস্থার সংকট শুরু। আস্থা ফেরাতে প্রণোদনা প্যাকেজ কাজে লাগাতে হবে।
শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গত নভেম্বরে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজেও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বিশেষ স্কিম ঘোষণার কথা বলা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ নভেম্বর ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রধান করে বিশেষ স্কিম প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ২২ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়। সেই প্রতিবেদনের আলোকে প্রণোদনা প্যাকেজের একটি হচ্ছে অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণা। পুরো বিষয়টি কিভাবে, কোন্ পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটা এখন দেখার বিষয়। তবে এই প্রস্তাবের প্রভাব এখনই বাজারে পড়বে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। মনে রাখতে হবে, শেয়ারবাজার দীর্ঘসময় বিনিয়োগের জায়গা। স্থিতিশীলতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে কিছুটা সময় দিতেই হবে। তবে এভাবে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে বাজার স্থিতিশীল হবেই, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
শেয়ারবাজারে দরপতনের ঘটনা সারা বিশ্বেই ঘটে থাকে। নিয়মিত ওঠানামার ভেতর দিয়ে শেয়ারবাজার চলে। কিন্তু বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দরপতনের যে ধারা ছিল, সেখান থেকে উত্তরণের কোনো পথই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ধস নামতে শুরু করে বাজারে। তার আগে বাজারের যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা গেছে, সেটাও যে স্বাভাবিক ছিল, তা বলা যাবে না। বাজারের ঊর্ধ্বগতি মানুষকে আকৃষ্ট করেছে এই বাজারে। সীমিত অর্থনীতির দেশে অল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় এটা অস্বাভাবিক নয়। শেয়ারবাজারে টাকা ঢুকলে শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এসইসির দুর্বলতা ও নানা অনিয়ম বাজারকে প্রভাবিত করেছে। সেখান থেকে উঠে মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে বেশ কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়। এর আগে শেয়ারবাজারের কেলেঙ্কারি খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয় একটি তদন্ত কমিটি। সেই তদন্ত কমিটি শেয়ারবাজারের নানা অসংগতিও তুলে ধরে। পুনর্গঠিত এসইসি শেয়ারবাজার সংস্কারের অনেক কাজ করছে বলে জানা যায়।
শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে আস্থার। আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে শেয়ারবাজারের অস্বাভাবিকতা কাটিয়ে ওঠা যাবে না। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে বাজারে যে ধস নামে, তার নেপথ্যেও ছিল আস্থার সংকট। আবার এই সংকট তৈরি করা হয়েছে। বাজারকে উঠতে সাহায্য করেছে এমন একটি বিষয় হচ্ছে বুক বিল্ডিং। যেসব কম্পানি বুক বিল্ডিংয়ের জন্য এসেছিল, তারা বাজারকে ওপরে তোলার জন্য প্রভাবিত করেছে বলে অভিযোগ আছে। তাদের তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া স্টক এঙ্চেঞ্জের বাইরে প্লেসমেন্ট শেয়ার বেচাকেনার বাজার তৈরি হয়েছিল কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে। যেখানে অতিমূল্যায়িত দামে নতুন কম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ার বেচাকেনা হতো। এতে এসইসির আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। কিন্তু আইনগত কোনো ব্যবস্থা তখন নেওয়া হয়নি। এখান থেকেই আস্থার সংকট শুরু। আস্থা ফেরাতে প্রণোদনা প্যাকেজ কাজে লাগাতে হবে।
শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গত নভেম্বরে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজেও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বিশেষ স্কিম ঘোষণার কথা বলা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ নভেম্বর ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রধান করে বিশেষ স্কিম প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ২২ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয়। সেই প্রতিবেদনের আলোকে প্রণোদনা প্যাকেজের একটি হচ্ছে অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণা। পুরো বিষয়টি কিভাবে, কোন্ পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে, সেটা এখন দেখার বিষয়। তবে এই প্রস্তাবের প্রভাব এখনই বাজারে পড়বে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। মনে রাখতে হবে, শেয়ারবাজার দীর্ঘসময় বিনিয়োগের জায়গা। স্থিতিশীলতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে কিছুটা সময় দিতেই হবে। তবে এভাবে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে বাজার স্থিতিশীল হবেই, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
No comments