প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন ঘটলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিন-পোশাকশ্রমিকদের দুর্দশা
বিশ্বের সব থেকে কাম্য, সুন্দর ও দামি প্রতিষ্ঠানের পোশাক যাঁরা বানান, তাঁরাই পান সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত, অসুন্দর ও সস্তা জীবন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: নাইকি, পুমা ও অ্যাডিডাস। এরাই আগামী অলিম্পিক গেমসের পৃষ্ঠপোষক। পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের দুর্দশার কথা দেশের মানুষের জানা।
এবার খোদ যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত সংবাদপত্র দি অবজারভার তাদের পাঠকদের সামনে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরেছে। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পোশাক কারখানার মালিকেরা এবং তাঁদের আন্তর্জাতিক ক্রেতা কোম্পানিগুলোর টনক নড়া উচিত।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বাজার বিশ্বজুড়েই ছড়ানো। কিন্তু তা যে অর্জিত হচ্ছে পোশাকশিল্পের অল্প বয়সী নারীদের শ্রম শোষণ আর ক্ষেত্রবিশেষে নির্যাতনের বিনিময়ে, তা কি অস্বীকার করা যাবে? অনেক কারখানার চালচিত্রই এমন। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় যেমন বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি যেসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে পোশাক বানিয়ে নিয়ে থাকে, তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। যুক্তরাজ্যের দি অবজারভার-এর এই প্রতিবেদন থেকে আশা করি, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সে আরও দায়িত্বশীল হতে বাধ্য করবে।
পুমা, নাইকি বা অ্যাডিডাসের দাবি, অভিযোগগুলোর ব্যাপারে তারা সজাগ এবং প্রতিকারের চেষ্টাও তারা করছে। একটি প্রতিষ্ঠান বলেছে, কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজ করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে, তবে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা নেই। কিন্তু এখানে শুভংকরের ফাঁকি দেখা যায়। বড় বড় পোশাক কোম্পানি সাধারণত একটি বা দুটি কারখানা রাখে তাদের বিদেশি ক্রেতাদের পরিদর্শনের জন্য, যেখানে পরিবেশ মোটামুটি স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ কাজই হয় নিজ মালিকানাধীন অথবা তাদের সহযোগী ছোট ছোট কারখানায়। বিদেশি ক্রেতাদের পরিদর্শন কিংবা সরকারের তদারকির দৌড় এসব কারখানা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। তাই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ও আইনের লঙ্ঘন ঘটলে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা দরকার।
পোশাকশিল্পের শ্রমিক ও মালিক—উভয়ই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে। সরকারের বহুবিধ সহায়তাধন্য এই শিল্প কেন অমানবিকতা ছাড়া লাভজনক হবে না, তা বোধগম্য নয়। পরিষ্কারভাবেই অতিমুনাফাই অতিশোষণ ডেকে আনে, আর তার বলি হন লাখ লাখ পোশাকশ্রমিক। এই অমানবিক অবস্থার অবসান ঘটানোর দায় তাই বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিদেশি কোম্পানিগুলোর। একমাত্র তাদের চাপেই মালিকপক্ষ শ্রম আইন মেনে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বাজার বিশ্বজুড়েই ছড়ানো। কিন্তু তা যে অর্জিত হচ্ছে পোশাকশিল্পের অল্প বয়সী নারীদের শ্রম শোষণ আর ক্ষেত্রবিশেষে নির্যাতনের বিনিময়ে, তা কি অস্বীকার করা যাবে? অনেক কারখানার চালচিত্রই এমন। বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় যেমন বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি যেসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে পোশাক বানিয়ে নিয়ে থাকে, তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। যুক্তরাজ্যের দি অবজারভার-এর এই প্রতিবেদন থেকে আশা করি, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সে আরও দায়িত্বশীল হতে বাধ্য করবে।
পুমা, নাইকি বা অ্যাডিডাসের দাবি, অভিযোগগুলোর ব্যাপারে তারা সজাগ এবং প্রতিকারের চেষ্টাও তারা করছে। একটি প্রতিষ্ঠান বলেছে, কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজ করানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে, তবে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা নেই। কিন্তু এখানে শুভংকরের ফাঁকি দেখা যায়। বড় বড় পোশাক কোম্পানি সাধারণত একটি বা দুটি কারখানা রাখে তাদের বিদেশি ক্রেতাদের পরিদর্শনের জন্য, যেখানে পরিবেশ মোটামুটি স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ কাজই হয় নিজ মালিকানাধীন অথবা তাদের সহযোগী ছোট ছোট কারখানায়। বিদেশি ক্রেতাদের পরিদর্শন কিংবা সরকারের তদারকির দৌড় এসব কারখানা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। তাই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ও আইনের লঙ্ঘন ঘটলে প্রতিকারের ব্যবস্থা করা দরকার।
পোশাকশিল্পের শ্রমিক ও মালিক—উভয়ই দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে। সরকারের বহুবিধ সহায়তাধন্য এই শিল্প কেন অমানবিকতা ছাড়া লাভজনক হবে না, তা বোধগম্য নয়। পরিষ্কারভাবেই অতিমুনাফাই অতিশোষণ ডেকে আনে, আর তার বলি হন লাখ লাখ পোশাকশ্রমিক। এই অমানবিক অবস্থার অবসান ঘটানোর দায় তাই বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিদেশি কোম্পানিগুলোর। একমাত্র তাদের চাপেই মালিকপক্ষ শ্রম আইন মেনে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে বাধ্য হবে।
No comments